ভারতে ক্লিন এনার্জি টেকনোলজির বিশাল বাজারের উত্থান ঘটছে জানিয়ে জি-৭ রাষ্ট্রসমূহকে এখানে গবেষণা, উদ্ভাবন এবং উত্পাদনে বিনিয়োগ করার আহবান জানালেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে জি-৭ সম্মেলনে ‘একটি ভাল ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ: জলবায়ু, শক্তি, স্বাস্থ্য’ -শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য প্রদান করার সময় তিনি বলেন, “প্রতিটি নতুন প্রযুক্তির জন্য ভারত যে স্কেল সরবরাহ করতে পারে, তা সমগ্র বিশ্বের জন্য সেই প্রযুক্তিকে সাশ্রয়ী করে তুলতে পারে।”

মোদী বলেন, “বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনে ভারতের অবদান মাত্র ০৫ শতাংশ। আপনারা সবাই একমত হবেন যে শক্তি অ্যাক্সেস শুধুমাত্র ধনীদের বিশেষাধিকার হওয়া উচিত নয় – একটি দরিদ্র পরিবারেরও শক্তির উপর একই অধিকার রয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে যখন জ্বালানি খরচ আকাশচুম্বী ছিল, তখন মনে রাখার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।”

ভারত সরকারের সুপ্রিমো বলেন, “ভারত প্রান্তিক পর্যায়ে এলইডি বাল্ব এবং পরিষ্কার রান্নার গ্যাস সরবরাহ করছে এবং দেখিয়েছে যে, দরিদ্রদের জন্য শক্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কার্বন নির্গমন সংরক্ষণ করা যেতে পারে। আমাদের জলবায়ু প্রতিশ্রুতির প্রতি আমাদের নিবেদন আমাদের কর্মক্ষমতা থেকে স্পষ্ট।”

তিনি তার বক্তব্যের সমর্থনে কিছু বিষয় তুলে ধরেন। সেগুলো যথাক্রমে,

* ভারত সময়ের ০৯ বছর আগে অ-ফসিল উত্স থেকে ৪০ শতাংশ শক্তি-ক্ষমতার লক্ষ্য অর্জন করেছিল।

* পেট্রোলে ১০ শতাংশ ইথানল-মিশ্রণের লক্ষ্যমাত্রা ৫ মাস আগেই অর্জিত হয়েছে।

* ভারতে বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ সৌরশক্তি চালিত বিমানবন্দর রয়েছে।

* ভারতের বিশাল রেল ব্যবস্থা এই দশকে নেট জিরো হয়ে যাবে।

মানব ও গ্রহের স্বাস্থ্য একে অপরের সাথে জড়িত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ভারত এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্যের পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। মহামারী চলাকালীন, ভারত স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য অনেক সৃজনশীল উপায় খুঁজে পেয়েছে। জি৭ দেশগুলো ভারতের এই উদ্ভাবন অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।”

তিনি সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের কথাও উল্লেখ করেছেন নিজ বক্তৃতায়। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক