ভারত একটি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ এবং সংঘবদ্ধ আসিয়ানকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে। ১৬ জুন, বৃহস্পতিবার, নয়াদিল্লিতে বিশেষ আসিয়ান-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন জয়শঙ্কর। তিনি আরও বলেন, “আসিয়ানের ভূমিকা আমাদের কাছে আগেও যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, বর্তমানে তা আরও ঢের বেড়েছে!”
উল্লেখ্য, আসিয়ান-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বিশেষ এই বৈঠকটি উভয়ের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ বছর এবং কৌশলগত সম্পর্কের ১০ম বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে।
বৈঠকে নিজের সূচনা বক্তব্যে জয়শঙ্কর বলেন, “আসিয়ানকে আঞ্চলিকতা, বহুপাক্ষিকতা এবং বিশ্বায়নের আলোকবর্তিকা হিসাবে বর্ণনা করা যায়। সফলভাবে এই অঞ্চলে নিজের জন্য একটি বলয় প্রতিষ্ঠা করেছে আসিয়ান। সংগঠনটি ইন্দো-প্যাসিফিকের বিকশিত কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক স্থাপত্যের ভিত্তি প্রদান করেছে।”
জয়শঙ্করের মতে, “বিশ্ব যে ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আসিয়ানের ভূমিকা আজ সম্ভবত আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভারত সম্পূর্ণরূপে একটি শক্তিশালী, একীভূত এবং সমৃদ্ধ আসিয়ানকে সমর্থন করে, যার ইন্দো-প্যাসিফিকের কেন্দ্রীয়তা সম্পূর্ণরূপে স্বীকৃত।”
মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য বলেন, আসিয়ান-ভারত সম্পর্ক সময়ের সকল পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। ১৯৯২ সালে আমাদের সেক্টরাল পার্টনারশিপ ২০০২ সালে শীর্ষ সম্মেলন স্তরের অংশীদারিত্বে পরিণত হয়। ২০১২ সালে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত হয় আমাদের মিত্রতা। আমাদের সম্পর্ক এখন চতুর্থ দশকে রয়েছে। আশা করি সামনে আরও অনেক দূর পথ চলতে পারবো আমরা একসঙ্গে।”
জয়শঙ্কর বলেন, “বিকেন্দ্রীভূত বিশ্বায়ন এবং স্থিতিস্থাপক ও নির্ভরযোগ্য সরবরাহ চেইন ভারত এবং আসিয়ানকে সংযুক্ত করতে মূখ্য ভূমিকা রাখবে। করোনা মহামারী পরবর্তী প্রেক্ষাপটও আমাদের বন্ধুত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক