ভারতে সারের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া। মঙ্গলবার, সাম্প্রতিক জর্ডান সফর নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ভারত আসন্ন ফসলের মৌসুমে অবশ্যম্ভাবী সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য জর্ডানের সাথে একাধিক চুক্তি করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।”
এর আগে, গত ১৩ থেকে ১৫ মে অবধি সময়কালে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে জর্ডান সফর করেন মান্ডাভিয়া। সফরটিকে ঐতিহাসিক বলেও উদ্ধৃত করেন তিনি। মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা বলেন, “স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে সার এবং কাঁচামাল সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে জর্ডানকে ভারত কর্তৃক ফসফরিক এবং পটাসিয়াম সার সরবরাহের আশ্বাস দেওয়ার জন্য সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।”
এছাড়া, ভারতের রাসায়নিক ও সার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমান বিশ্বব্যাপী সার সংকটের প্রেক্ষাপটে এই সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, জর্ডান ফসফেট মাইনিং কোম্পানি (জেপিএমসি) বর্তমান বছরের জন্য ৩০ এলএমটি রক ফসফেট, ২.৫ এলএমটি ড্যাপ, এবং ১ এলএমটি ফসফরিক অ্যাসিড সরবরাহের জন্য ভারতের পাবলিক, সমবায় এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোগগুলোর সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে৷
রাসায়নিক ও সার মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ভারত জর্ডানকে ২.৭৫ এলএমটি বার্ষিক সরবরাহের জন্য জর্ডানের সাথে একটি ৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৩.২৫ এলএমটি-তে উন্নীত হবে।
মান্দাভিয়া বলেন, এই সরবরাহ ভারতে আসন্ন শস্য মৌসুমের জন্য নিশ্চিত সার সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য দেশের সাথে অংশীদারিত্ব উভয়ই খরিফ মৌসুমের আগে কৃষকদের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছি।
সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার সময়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জর্ডানকে ‘ভারতের পছন্দের সার অংশীদার’ হিসাবে অভিহিত করেন। উল্লেখ্য, ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে ভারত ও জর্ডানের। বহুপাক্ষিক ফোরামগুলোতে প্রায়শই এঁকে অন্যকে সমর্থন দিয়ে থাকে দেশ দুটো। এছাড়াও, বিভিন্ন সামরিক মহড়াতেও একত্রে দেখা যায় দু দেশের সামরিক বাহিনীকে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক