০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশেষে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে চীন

প্রায় দুই বছর চীনে ফেরার সুযোগ পেতে যাচ্ছে সেখানে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। ২৯ এপ্রিল, শুক্রবার, ভারতীয় এসব শিক্ষার্থীদের ফেরানোর অনুমোদনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে চীন। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বেইজিংয়ের আরোপ করা ভিসা ও ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব শিক্ষার্থী নিজ দেশে আটকে পড়ে।

বেইজিংয়ে এক ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, পড়াশোনার জন্য চীনে ফিরতে চাওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে চীন। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের চীনে ফেরার প্রক্রিয়া নিয়ে ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আর অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের চীনে ফেরার অভিজ্ঞতাও ভারতীয় পক্ষকে জানানো হয়েছে।

ঝাও লিজিয়ান বলেন, প্রকৃত অর্থে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ফেরার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বাকি যা আছে তা হচ্ছে ভারতীয় পক্ষকে শিক্ষার্থীদের তালিকা দিতে হবে। যাদের সত্যিকার অর্থেই চীনে ফেরার প্রয়োজন রয়েছে এই তালিকায় কেবল তারাই থাকতে পারবে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতে ফেরত এসে আটকে পড়ে প্রায় ২৩ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই চীনের কলেজগুলোতে চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করতে গিয়েছিলো। সংক্রমণ এড়াতে বেইজিং কর্তৃপক্ষের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এসব শিক্ষার্থীরা চীনে ফেরার সুযোগ পাচ্ছিলেন না।

তারপর থেকেই ক্লাসে যোগ দিতে চীনে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। তবে বেইজিং ভারতীয়দের জন্য ভিসা ও ফ্লাইট বাতিল করলে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে আটকে পড়েন। ভিসা ও ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাওয়ায় চীনে কর্মরত শত শত ভারতীয় পরিবারও আটকে নিজ দেশেই পড়েন।

চীনা মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, আমরা বুঝতে পারছি চীনে ভারতের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। নাম সংগ্রহ করতে ভারতের কিছুটা সময় লাগতে পারে।

এদিকে, চীনের দাবি মতো বৈধ শিক্ষার্থীদের তালিকা করতে আরম্ভ করে দিয়েছে ভারত সরকার। ইতোমধ্যে চীনে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে একটি গুগল লিঙ্ক ফর্ম তৈরী করা হয়েছে চীনে পড়ুয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য, যা ০৪ মে তারিখের মধ্যে পূরণ করতে হবে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চীনা নাগরিকদের ট্যুরিস্ট ভিসা স্থগিত করে ভারত। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

প্রায় ২২ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সশরীরে ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না। এসব শিক্ষার্থীদের চীনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বেইজিং তাতে সাড়া দেয়নি। এসব শিক্ষার্থীর বিষয়ে উপযুক্ত কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোর দরুণ বেইজিংয়ের এমন কর্মকাণ্ডের জবাবেই ভারত এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

অবশেষে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে চীন

প্রকাশ: ০৮:২১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

প্রায় দুই বছর চীনে ফেরার সুযোগ পেতে যাচ্ছে সেখানে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। ২৯ এপ্রিল, শুক্রবার, ভারতীয় এসব শিক্ষার্থীদের ফেরানোর অনুমোদনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে চীন। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বেইজিংয়ের আরোপ করা ভিসা ও ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব শিক্ষার্থী নিজ দেশে আটকে পড়ে।

বেইজিংয়ে এক ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, পড়াশোনার জন্য চীনে ফিরতে চাওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে চীন। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের চীনে ফেরার প্রক্রিয়া নিয়ে ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আর অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের চীনে ফেরার অভিজ্ঞতাও ভারতীয় পক্ষকে জানানো হয়েছে।

ঝাও লিজিয়ান বলেন, প্রকৃত অর্থে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ফেরার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বাকি যা আছে তা হচ্ছে ভারতীয় পক্ষকে শিক্ষার্থীদের তালিকা দিতে হবে। যাদের সত্যিকার অর্থেই চীনে ফেরার প্রয়োজন রয়েছে এই তালিকায় কেবল তারাই থাকতে পারবে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতে ফেরত এসে আটকে পড়ে প্রায় ২৩ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই চীনের কলেজগুলোতে চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করতে গিয়েছিলো। সংক্রমণ এড়াতে বেইজিং কর্তৃপক্ষের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এসব শিক্ষার্থীরা চীনে ফেরার সুযোগ পাচ্ছিলেন না।

তারপর থেকেই ক্লাসে যোগ দিতে চীনে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। তবে বেইজিং ভারতীয়দের জন্য ভিসা ও ফ্লাইট বাতিল করলে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে আটকে পড়েন। ভিসা ও ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাওয়ায় চীনে কর্মরত শত শত ভারতীয় পরিবারও আটকে নিজ দেশেই পড়েন।

চীনা মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, আমরা বুঝতে পারছি চীনে ভারতের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। নাম সংগ্রহ করতে ভারতের কিছুটা সময় লাগতে পারে।

এদিকে, চীনের দাবি মতো বৈধ শিক্ষার্থীদের তালিকা করতে আরম্ভ করে দিয়েছে ভারত সরকার। ইতোমধ্যে চীনে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে একটি গুগল লিঙ্ক ফর্ম তৈরী করা হয়েছে চীনে পড়ুয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য, যা ০৪ মে তারিখের মধ্যে পূরণ করতে হবে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চীনা নাগরিকদের ট্যুরিস্ট ভিসা স্থগিত করে ভারত। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

প্রায় ২২ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সশরীরে ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না। এসব শিক্ষার্থীদের চীনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বেইজিং তাতে সাড়া দেয়নি। এসব শিক্ষার্থীর বিষয়ে উপযুক্ত কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোর দরুণ বেইজিংয়ের এমন কর্মকাণ্ডের জবাবেই ভারত এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক