জাপান-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পূর্তিতে মোদী বললেন, “সম্ভব সব খাতে গভীর হয়েছে আমাদের সম্পর্ক।” ১৪ তম ভারত-জাপান বার্ষিক সম্মেলনের জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর মার্চের নয়াদিল্লি সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “করোনা পরবর্তী বিশ্বে বিশেষ কৌশলগত এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে ভারত ও জাপান।”
৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক টুইটবার্তায় মোদী বলেন, “আমরা যখন ভারত ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর উদযাপন করছি, আমি এটা দেখে আনন্দিত যে, আমাদের সম্পর্ক প্রতিটি ক্ষেত্রেই গভীর হয়েছে, তা সে হোক কৌশলগত, কিংবা অর্থনৈতিক কিংবা জনগণের মধ্যে যোগাযোগ।”
মোদী আরও লিখেছেন, “আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য সাম্প্রতিক ভারত সফর কোভিড-পরবর্তী বিশ্বে আমাদের বিশেষ কৌশলগত এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে৷ আমি সেই উদ্দেশ্যটি উপলব্ধি করতে প্রধানমন্ত্রী কিশিদার সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ৷”
এদিকে, দু দেশের মধ্যকার সম্পর্কের জন্য একটি বিশেষ লোগো উন্মোচন করা হয়েছে। লোগোতে একটি ময়ূর এবং একটি সবুজ তিতির চিত্রিত করা হয়েছে, যা যথাক্রমে ভারত ও জাপানের জাতীয় পাখি।
উল্লেখ্য, জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এই বছরের ১৯-২০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে ১৪ তম ভারত-জাপান বার্ষিক সম্মেলনের জন্য নয়াদিল্লিতে ছিলেন। শীর্ষ সম্মেলনের সময় দুই নেতা ভারত-জাপান বিশেষ কৌশলগত এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নেওয়ার সংকল্প করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটিই ছিলো কিশিদার প্রথম ভারত সফর। ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর কিশিদার সঙ্গে ফোনালাপ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেসময় উভয় পক্ষ থেকেই সম্পর্ক শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
গত বছরও ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও পর্যালোচনা ইস্যুতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছিল। মহামারির অবহে ভার্চুয়াল বৈঠক ও ফোনকলের মাধ্যমে দুই দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিরা কথা বলেছিলেন।
মুম্বই-আহমেদাবাদ হাইস্পিড রেল, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর, মেট্রো প্রকল্প, দিল্লি মুম্বই শিল্প করিডোরসহ একাধিক প্রকল্প ভারত-জাপান যৌথ উদ্যোগে হচ্ছে। এছাড়াও বেশ কিছু অবকাঠামোগত প্রকল্পের কাজও চলছে এই দেশে। সেই প্রকল্পের কাজ নিয়েও দুই দেশের শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
ভারত-জাপান ২০১৮ সালে এরটি ডিজিটাল অংশীদারিত্ব স্বাক্ষর করেছিল। যেখানে বর্তমানে ভারতীয় স্টার্টআপগুলি জাপানিজ ভেঞ্চার ক্যাপিটালগুলি থেকে ১০ বিলিয়ান মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছিল। অন্যদিকে প্রযুক্তিগত স্টার্টআপের ক্ষেত্রে ভারতের সংগ্রহ প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও ৫জি, সমুদ্রের তলা দিয়ে কেবল, টেলিকম, নেটওয়ার্কের সুরক্ষা-সহ একাধিক ক্ষেত্রেও দুই দেশ যৌথভাবে সমিল হয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক