দুদিনের সরকারী সফরে ভারতে এসে পৌঁছেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন। নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিতব্য রাইসিনা ডায়লগের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে ভারতে এসেছেন তিনি। ২৪ এপ্রিল, রবিবার, নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁকে স্বাগত জানান ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা।
ভারতে অবতরণ করেই উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘনীষ্ঠভাবে কাজ করছে।”
আন্তর্জাতিক সৌর জোটে নিজের বক্তব্য সম্পর্কে এক টুইট করে তিনি বলেন, “পরিচ্ছন্ন শক্তির প্রয়োজনীয়তা পূর্বে এত দৃশ্যমান ছিলো না। কিন্তু, আমাদের পৃথিবী ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে, শক্তির চাহিদা এখানে প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এমতাবস্থায়, আমাদেরকে অবশ্যই নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য শক্তি সরবরাহের দিকে যেতে হবে। সেজন্যেই আন্তর্জাতিক সৌর জোটের মতো উদ্যোগগুলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।”
পরবর্তীতে ভিন্ন আরেক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত এবং ইইউ একজোট। আমরা একত্রে আমাদের নেট শূন্যের পথে যাত্রা শুরু করেছি। আর সেখানে পৌঁছাতে সৌরশক্তি মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। আমরা আন্তর্জাতিক সৌর জোটসহ সৌর শক্তির অন্যান্য সকল খাতে আমাদের সহযোগিতা বাড়াব।”
ইইউ কমিশনের সভাপতি বলেন, “ইউরোপ ২০৫০ সালের মধ্যে এবং ভারত ২০৭০ সালের মধ্যে জলবায়ু কার্বন নিরপেক্ষ হতে চায়। তবে, এর পাশাপাশি ভারত ইতিমধ্যেই ২০৩০ সালের মধ্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য উত্স থেকে তার শক্তির চাহিদার অর্ধেক পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি আশ্চর্যজনক ভালো খবর। এটা খুব উচ্চাভিলাষী! অভিনন্দন!”
ইউরোপ নিজেদের জন্যেও একই ধরনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা জানি এসব লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো কতটা কঠিন! কিন্তু যখন জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের প্রতিদিন দেখায় যে, আমরা এর বিরুদ্ধে কাজ করছি না, তখন কী ঘটতে পারে, ভাবুন! এই সময়ে আপনাকে উচ্চাভিলাষী হতে হবে। যখন আমরা উদ্ভাবনী, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং কার্যকর সমাধান নিয়ে আসি না, তখন এর ভিন্ন উপায় নেই!”
শক্তির চাহিদা বাড়ছে উল্লেখ করে উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, “গত দুই দশকে ভারতের শক্তির ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে এবং তা বাড়তে থাকবে। ভারত এবং ইউরোপ উভয়ই জানে যে সৌর শক্তি এসব লক্ষ্য অর্জনে নির্ধারক ভূমিকা পালন করবে। সুতরাং, পরিষ্কার শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি স্পষ্ট।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক