০১:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গত অর্থবছরে ভারতের পরিষেবা রপ্তানি $২৫০ বিলিয়ন

প্রথমবারের মতো পরিষেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ২৫০ বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত। গত অর্থবছরের তুলনায় ২১.৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে দেশটির পরিষেবা রপ্তানির পরিমাণ। গত ১৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার, এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

দপ্তরের দেয়া তথ্যানুসারে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে পরিষেবা রপ্তানির মার্চ মাসে রপ্তানির আনুমানিক পরিমাণ ছিলো ২২.৫২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের মার্চের তুলনায় প্রায় ৮.৩১ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের সামগ্রিক রপ্তানি (পণ্য ও পরিষেবা) সর্বকালের সর্বোচ্চ ৬৬৯.৬৫ ডলারের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা এর পূর্বের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩৪.৫০ শতাংশ বেশি।

জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র গত মার্চ মাসেই প্রায় ৬৪.৭৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি অঙ্ক ছুঁয়েছে ভারত, যা ২০২১ সালের মার্চের (৩৫.২৬ বিলিয়ন ডলার) তুলনায় প্রায় ১৫.৫১ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের মার্চে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ২১.৪৯ বিলিয়ন ডলার। মার্চে ভারতের পণ্যদ্রব্য রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ৪২.২২ বিলিয়ন ডলার।

গত ফেব্রুয়ারী মাসেও প্রায় ৩৩.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য রপ্তানী করেছে ভারত, অঙ্কের হিসেবে যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের (২৭.৬৩ বিলিয়ন ডলার) রপ্তানীর চেয়ে প্রায় ২২.৩৬ শতাংশ বেশি এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের (২৭.৭৪ বিলিয়ন ডলার) চেয়ে ২১.৮৮ শতাংশ বেশি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নন-পেট্রোলিয়াম এবং নন-জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি রপ্তানি ২০২২ সালের মার্চ মাসে ছিলো ৩০.৬৭ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের মার্চ মাসে ২৮.০৩ বিলিয়ন ডলার। এই বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের নন-পেট্রোলিয়াম আমদানির মূল্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল ৩২ বিলিয়ন ডলার।”

এর আগে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ভারতের মোট রপ্তানির পরিমাণ ৪১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছিলো। পরিসংখ্যানের হিসেবে বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৪৮.৮০ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সালে ভারতের মোট রপ্তানী ছিলো ২৫৬.৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারতের মোট রপ্তানী ছিলো ২৯১.৮৭ বিলিয়ন ডলার। এসময়, ভারতের শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, হংকং, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম এবং জার্মানি।

অন্যদিকে, ২০২২ সালে ভারতের পণ্যদ্রব্য আমদানির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে নয়াদিল্লী। ২০২১ সালের চেয়ে যা প্রায় ৩৫.৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে প্রায় ৪০.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করেছিলো কেন্দ্রীয় সরকার। আর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই আমদানির পরিমাণ ছিলো ৩৭.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, গত অর্থবছরে মোট ৫৫০.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করে ভারত। অন্যদিকে, ২০২০-২১ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ৩৪৫.৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি এসে দাঁড়িয়েছে ২১.১৯ বিলিয়ন ডলার এবং গোটা অর্থবছরে এই ঘাটতি হয়েছে মোট ১৭৬.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০২২ সালে ফেব্রুয়ারিতে ভারতের নন-পেট্রোলিয়াম রপ্তানির মূল্য ছিল প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে যা ছিলো ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই খাতে প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে রপ্তানী। ২০২০ সালের পরিসংখ্যানের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এই পরিমাণ।

আবার, একই বছর মার্চ ও ফেব্রুয়ারিতে ভারতের নন-পেট্রোলিয়াম আমদানির মূল্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল ৩২ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহেই জানা গিয়েছিলো, সাত বছরে ভারতের ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৮৮%। সংখ্যার হিসেবে যা প্রায় ১২,৪০০ মিলিয়ন ডলার। বিগত ২০১৩-১৪ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৮৮ শতাংশ বেড়েছে ভারতের ইলেকট্রিক পণ্য রপ্তানী।

এসব ইস্যুতে নয়াদিল্লিতে একটি সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, “আমাদের এমএসএমই সেক্টর, রপ্তানিকারক, কৃষক, সবাই মিলে সফলভাবে ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মহামারী করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে এবং আকাশ ছোঁয়া শিপিং খরচের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল বাধা সত্ত্বেও, ভারত ২০২২ সালের মার্চ মাসে এত পরিমাণে মাসিক উচ্চ রপ্তানি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।”

মাত্র দু দশক পূর্বেও বেশিরভাগ ইলেকট্রনিক পণ্যের নিট আমদানীকারক ছিলো ভারত। মোবাইল ফোন, আইটি হার্ডওয়্যার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স, অন্যান্য শিল্প ইলেকট্রনিক্স এবং অটো ইলেকট্রনিকস খাতে রপ্তানির বদলে আমদানির উপরই নির্ভরশীল ছিলো ভারত।

কিন্তু গোটা পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর থেকে। রপ্তানী খাতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে থাকে ভারত। এ নিয়ে এক বিশেষ টুইটে দেশটির কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল লিখেছেন, “বিশ্ব ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রোডাক্ট চায়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে আমাদের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ প্রায় ৮৮ শতাংশ বেড়েছে। আমাদের সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলো বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে ও আভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাঁড়াতে সাহায্য করছে।”

বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বাণিজ্য রপ্তানী বৃদ্ধিতে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছে। বিশেষ করে মহামারী চলাকালীন রপ্তানি খাতের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ভারত সরকারের স্থাপন করা রপ্তানি মনিটরিং ডেস্ক বেশ কাজে লেগেছে।

তাছাড়া, ভারতকে বিশ্ব বাজারে এক নতুন ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করতেও সফল হয়েছে নয়াদিল্লী। ফলত, বিশ্বব্যাপী বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সাধনে সক্ষম হয়েছে তারা। একই সঙ্গে, ভারত জুড়ে ‘এক জেলা এক পণ্য’ (ওডিওপি) এর মতো উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশের প্রতি জেলাকে রপ্তানি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে আরম্ভ করেছে মোদী সরকার। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

গত অর্থবছরে ভারতের পরিষেবা রপ্তানি $২৫০ বিলিয়ন

প্রকাশ: ০৮:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০২২

প্রথমবারের মতো পরিষেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ২৫০ বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত। গত অর্থবছরের তুলনায় ২১.৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে দেশটির পরিষেবা রপ্তানির পরিমাণ। গত ১৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার, এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

দপ্তরের দেয়া তথ্যানুসারে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে পরিষেবা রপ্তানির মার্চ মাসে রপ্তানির আনুমানিক পরিমাণ ছিলো ২২.৫২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের মার্চের তুলনায় প্রায় ৮.৩১ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের সামগ্রিক রপ্তানি (পণ্য ও পরিষেবা) সর্বকালের সর্বোচ্চ ৬৬৯.৬৫ ডলারের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা এর পূর্বের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩৪.৫০ শতাংশ বেশি।

জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র গত মার্চ মাসেই প্রায় ৬৪.৭৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি অঙ্ক ছুঁয়েছে ভারত, যা ২০২১ সালের মার্চের (৩৫.২৬ বিলিয়ন ডলার) তুলনায় প্রায় ১৫.৫১ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের মার্চে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ২১.৪৯ বিলিয়ন ডলার। মার্চে ভারতের পণ্যদ্রব্য রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ৪২.২২ বিলিয়ন ডলার।

গত ফেব্রুয়ারী মাসেও প্রায় ৩৩.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য রপ্তানী করেছে ভারত, অঙ্কের হিসেবে যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের (২৭.৬৩ বিলিয়ন ডলার) রপ্তানীর চেয়ে প্রায় ২২.৩৬ শতাংশ বেশি এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের (২৭.৭৪ বিলিয়ন ডলার) চেয়ে ২১.৮৮ শতাংশ বেশি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নন-পেট্রোলিয়াম এবং নন-জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি রপ্তানি ২০২২ সালের মার্চ মাসে ছিলো ৩০.৬৭ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের মার্চ মাসে ২৮.০৩ বিলিয়ন ডলার। এই বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের নন-পেট্রোলিয়াম আমদানির মূল্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল ৩২ বিলিয়ন ডলার।”

এর আগে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ভারতের মোট রপ্তানির পরিমাণ ৪১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছিলো। পরিসংখ্যানের হিসেবে বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৪৮.৮০ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সালে ভারতের মোট রপ্তানী ছিলো ২৫৬.৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারতের মোট রপ্তানী ছিলো ২৯১.৮৭ বিলিয়ন ডলার। এসময়, ভারতের শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, হংকং, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম এবং জার্মানি।

অন্যদিকে, ২০২২ সালে ভারতের পণ্যদ্রব্য আমদানির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে নয়াদিল্লী। ২০২১ সালের চেয়ে যা প্রায় ৩৫.৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে প্রায় ৪০.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করেছিলো কেন্দ্রীয় সরকার। আর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই আমদানির পরিমাণ ছিলো ৩৭.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, গত অর্থবছরে মোট ৫৫০.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করে ভারত। অন্যদিকে, ২০২০-২১ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ৩৪৫.৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি এসে দাঁড়িয়েছে ২১.১৯ বিলিয়ন ডলার এবং গোটা অর্থবছরে এই ঘাটতি হয়েছে মোট ১৭৬.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০২২ সালে ফেব্রুয়ারিতে ভারতের নন-পেট্রোলিয়াম রপ্তানির মূল্য ছিল প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে যা ছিলো ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই খাতে প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে রপ্তানী। ২০২০ সালের পরিসংখ্যানের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এই পরিমাণ।

আবার, একই বছর মার্চ ও ফেব্রুয়ারিতে ভারতের নন-পেট্রোলিয়াম আমদানির মূল্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল ৩২ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহেই জানা গিয়েছিলো, সাত বছরে ভারতের ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৮৮%। সংখ্যার হিসেবে যা প্রায় ১২,৪০০ মিলিয়ন ডলার। বিগত ২০১৩-১৪ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৮৮ শতাংশ বেড়েছে ভারতের ইলেকট্রিক পণ্য রপ্তানী।

এসব ইস্যুতে নয়াদিল্লিতে একটি সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, “আমাদের এমএসএমই সেক্টর, রপ্তানিকারক, কৃষক, সবাই মিলে সফলভাবে ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মহামারী করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে এবং আকাশ ছোঁয়া শিপিং খরচের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল বাধা সত্ত্বেও, ভারত ২০২২ সালের মার্চ মাসে এত পরিমাণে মাসিক উচ্চ রপ্তানি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।”

মাত্র দু দশক পূর্বেও বেশিরভাগ ইলেকট্রনিক পণ্যের নিট আমদানীকারক ছিলো ভারত। মোবাইল ফোন, আইটি হার্ডওয়্যার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স, অন্যান্য শিল্প ইলেকট্রনিক্স এবং অটো ইলেকট্রনিকস খাতে রপ্তানির বদলে আমদানির উপরই নির্ভরশীল ছিলো ভারত।

কিন্তু গোটা পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর থেকে। রপ্তানী খাতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে থাকে ভারত। এ নিয়ে এক বিশেষ টুইটে দেশটির কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল লিখেছেন, “বিশ্ব ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রোডাক্ট চায়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে আমাদের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ প্রায় ৮৮ শতাংশ বেড়েছে। আমাদের সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলো বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে ও আভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাঁড়াতে সাহায্য করছে।”

বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বাণিজ্য রপ্তানী বৃদ্ধিতে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছে। বিশেষ করে মহামারী চলাকালীন রপ্তানি খাতের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ভারত সরকারের স্থাপন করা রপ্তানি মনিটরিং ডেস্ক বেশ কাজে লেগেছে।

তাছাড়া, ভারতকে বিশ্ব বাজারে এক নতুন ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করতেও সফল হয়েছে নয়াদিল্লী। ফলত, বিশ্বব্যাপী বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সাধনে সক্ষম হয়েছে তারা। একই সঙ্গে, ভারত জুড়ে ‘এক জেলা এক পণ্য’ (ওডিওপি) এর মতো উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশের প্রতি জেলাকে রপ্তানি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে আরম্ভ করেছে মোদী সরকার। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক