পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন নওয়াজ শরীফের ভাই শেহবাজ শরিফ। ১১ এপ্রিল, সোমবার, ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে হারানোর পর পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। এর ঠিক পরপরই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিনন্দন বার্তায় পাক প্রধানমন্ত্রীকে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার কথা বলেন মোদী।
টুইটারে মোদী লিখেছেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য শেহবাজ শরিফকে অভিনন্দন। সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চায় ভারত। এটি উভয় দেশকে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জের দিকে মনোনিবেশ করতে এবং জনগণের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।”
উল্লেখ্য, ৭০ বছর বয়সী শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা। সোমবার ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের পার্লামেন্ট সদস্যরা ভোট বর্জন করার পর জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে ১৭৪ জন আইনপ্রণেতা তার পক্ষে ভোট দেন।
এর আগে, শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তা এবং মধ্যরাতে সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পদত্যাগের পর অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। দেশটির ৩৪২ সদস্যের সংসদের ১৭৪ জনই ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট দেন। এতে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের সাত দশকের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হলেন। পাক প্রধানমন্ত্রীদের ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারার ধারাবাহিক ইতিহাসের অংশ হয়েছেন সাবেক এ ক্রিকেট তারকা। পাকিস্তানের আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে গত ৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। তবে এ প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল তা খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি।
সেদিনই প্রধানমন্ত্রী ইমরানের পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এ পরিস্থিতিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। টানা পাঁচ দিন শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট ৭ এপ্রিল অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ এবং জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেন এবং অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক