3S HOSTT সফটওয়্যার কর্মের কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কিত অভিযোগের চূড়ান্ত শুনানী পূর্বক রায় ঘোষণা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। গত ০২ এপ্রিল, ২০২৪ (মঙ্গলবার) কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উপ-সচিব) জনাব আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক স্বাক্ষরিত স্মারক নং: CRS – ২০২২৪২৩২-১৬১৪৭ বিজ্ঞপ্তি মতে এই রায় প্রকাশ করা হয়।
এতে 3S HOSTT; 3S Prokriyon এবং HOSTT Restaurant Management System, Prokriyon ও Star-warehouse Management Software -শীর্ষক সৃজিত সফটওয়্যারসমূহের প্রণেতা ও কপিরাইটের একক স্বত্বাধিকারী হিসেবে জনাব তাওহীদ রিজওয়ান রাজ্জাকের নাম ঘোষণা করা হয় এবং তাঁর কাছে থাকা কপিরাইট নিবন্ধন সনদ নং, যথাক্রমে, CRS – 26927, CRS – 28663 এবং CRS – 28660 বৈধ ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে, একই কপিরাইটের অন্য দাবিদার, 3s এর প্রোপাইটর জনাব মোঃ তৌফিক হাসান এর নিকট থাকা পূর্বোক্ত সফটওয়্যারসমূহের কপিরাইট সনদ সমূহ (CRS-২৭১৫৬ এবং CRS-২৭১৫৭) ‘প্রকৃত তথ্য গোপন’ পূর্বক অসত্য তথ্য সন্নিবেশ করে নিবন্ধনের অভিযোগে ‘কপিরাইট আইন – ২০২৩’ এর ধারা ১০ (১), ১০ (২) এবং ৫৩ (৩) -এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাতিল বলে ঘোষণা করা হয় এবং বাতিলকৃত সনদের মূলকপি পুনরায় অফিসে জমা দিতে নির্দেশ করা হয়।
উল্লেখ্য, উক্ত সফটওয়্যারের মালিকানা দাবি করে গত ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং তারিখে কপিরাইট অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন 3s প্রোপাইটর জনাব তৌফিক হাসান। অন্যদিকে, চলতি বছরের ০১ ফেব্রুয়ারী একই দাবিতে কপিরাইট অফিসে অভিযোগ করেন জনাব তাওহীদ রিজওয়ান রাজ্জাক। গত ১৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে দুই পক্ষের আইনজীবিসহ কপিরাইট অফিসে দীর্ঘ শুনানী হয়। কিন্তু, প্রথমে আবেদন করলেও চূড়ান্ত শুনানীতে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে হেরে গেলেন জনাব তৌফিক।
রায় পাবার পর সফটওয়্যারের বৈধ স্বত্বাধিকারী তাওহীদ রিজওয়ান রাজ্জাক বলেন, “২০২২ সাল থেকে কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, সুপার শপ, ফার্মেসি ও শোরুমে সফটওয়্যার সেবা দিচ্ছে 3s নামক প্রতিষ্ঠানটি। মূলত সফটওয়্যারগুলো ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারের জন্য তাওহীদ রিজওয়ান রাজ্জাক অনুমোদন দিয়েছে অটোমেটিক নামক সফটওয়্যার পরিচালন প্রতিষ্ঠানকে।”
এছাড়া, জানা গিয়েছে, তাওহীদ রিজওয়ান রাজ্জাক এর তৈরী এই তিনটি সফটওয়্যার পূর্ব অনুমতি ছাড়া অনুলিপি তৈরি ও বাজারজাতকরণের জন্য গত ৪ জানুয়ারি থ্রিএস সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর তওফীক হাসান এবং ফয়েজ আহমেদ তালুকদার বাধনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন ঢাকা মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী। এই মামলা এখনও বিচারাধীন আছে।