রোববার ২০২০ সালের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ডের সেই চুক্তিতে নেই জাতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার।
বিসিবির চুক্তিতে সৌম্যর না থাকা নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, সৌম্যকে রাখা হয়নি নান্নুর (প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর) ভুলের জন্য।
তবে প্রধান নির্বাচক নান্নু জানিয়েছেন, অনেক কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে সৌম্যর নাম বাদ পড়ে যায়। জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক জানান, তবে সৌম্যকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হবে।
তিন ফরম্যাটে এখন বাংলাদেশের তিন অধিনায়ক। এবার চুক্তিতে টেস্ট ক্রিকেটারদের বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের বেতনও বেশি। চুক্তিতে মোট ১৬ ক্রিকেটারের নাম রয়েছে। সৌম্য এলে সেটা হবে ১৭ জন।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশের ৩০ ম্যাচের ২৫টিতেই ছিলেন সৌম্য। শুধু মাহমুদউল্লাহ (২৯টি) ও মুশফিকুর রহিম (২৮টি) তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছিলেন।
গত বছর নিয়মিত জাতীয় দলে খেলায় আর্থিকভাবে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি সৌম্যর। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের আলাদাভাবে দেখা হয়। তারা সম্মানের দিক থেকেও অনেক এগিয়ে থাকেন।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, সাদা বলের ক্রিকেটের চুক্তিতে সৌম্যকে রাখা হবে। এবার আলাদাভাবে তিন রকমের চুক্তি করা হয়েছে। সাদা ও লাল বলের ক্রিকেটারদের আলাদা করা হয়েছে। অনেক বাছাই ও কাটছাঁট করতে গিয়ে সৌম্য বাদ পড়েছে।
এদিকে অবাক করে নাজমুল হোসেন শান্তকে সাদা ও লাল দুই বলের ক্রিকেটেই রাখা হয়েছে। এখনও জাতীয় দলে থিতু হতে পারেননি। তা সত্ত্বেও তাকে কেন দুই বলের চুক্তিতে রাখা হল, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রুবেল হোসেনের বাদ পড়া নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। মিনহাজুল বলেন, রুবেলের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়। তবে সে দলের বাইরে নয়। আর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কিছু তরুণ খেলোয়াড় রাখা হয়। সেখানেই আমরা নাজমুল হোসেন শান্ত, নাঈম, আফিফদের রেখেছি।