রাহুল দ্রাবিড় এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন তখন জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন সুরেশ রায়না। কিন্তু ২০১৭ সালে বিরাট কোহলি ভারতের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই জাতীয় দলে অনিয়মিত সুরেশ রায়না
সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না জানান, রাহুল দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বে খেলতে পারায় নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করেছিলাম। আমাকে অনেক সুযোগ দেয়া হয়েছিল। তারপর মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বেও ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেছি।
ভারতের হয়ে ১৮টি টেস্ট, ২২৬টি ওয়ানডে আর ৭৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ৭টি সেঞ্চুরির সাহায্যে ৭ হাজার ৯৮৮ রান করেন সুরেশ রায়না। আর বল হাতে জাতীয় দলের হয়ে ৩২২ ম্যাচে ৬২টি উইকেট শিকার করেন এ অফ স্পিনার।
ভারতের হয়ে সবশেষ ২০১৮ সালের জুলাইয়ে খেলেন সুরেশ রায়না। তারপর থেকেই জাতীয় দলে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার।
রায়না আরও বলেন, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি শুরুতে আউট হলে মিডল অর্ডারে অনেক চাপ আসত। সেই সময়ে আমি যে পজিশনে খেলতাম প্রতিটা ম্যাচেই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে নিজের উপরে বিশ্বাস ছিল আমার। কারণ ক্রিকেটারের পারফর্ম করার পিছনে অধিনায়কের ভূমিকা থাকে। কিন্তু আমি কোহলির অধীনে যথাযথ সুযোগ পাইনি।
ভারতীয় বর্তমান দলের মিডল অর্ডার নিয়ে রায়না বলেন, জাতীয় দলে মিডল অর্ডার নিয়ে যে নাটক চলছে, তা টিম ম্যানেজমেন্ট আর অধিনায়ককেই সমাধান করতে হবে। স্রেয়াশ আয়ার ও রিশব প্যান্টের কাছ থেকে প্রতি ম্যাচে বড় রান আশা করা উচিত নয়। ওদেরকে বলে দেয়া উচিত যে পরের ম্যাচে তোমরা খেলছ, বাদ পড়ার শঙ্কা নেই নিজেদের মতো করে পারফর্ম কর।
প্রসঙ্গত, বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে সুরেশ রায়না মাত্র তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। সেই তিন ম্যাচে একটিতে ব্যাট করার সুযোগ হয়নি রায়নার। বাকি দুই ম্যাচের একটিতে রায়না খেলেন ৪৬ রানের ইনিংস, আরেক ম্যাচে আউট হন ১ রানে।
সূত্র: ইন্ডয়ান এক্সপ্রেস