তানভীর সরকার টুটুলঃ বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বেই লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে ক্যান্সারে, যার প্রধান কারণ সঠিকভাবে ক্যান্সার কোষকে নিরুপণ করতে না পারা এবং ক্যান্সারের বিস্তার সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা না পাওয়া। ফলস্বরূপ ক্যান্সারের প্রকোপ ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে।
তাই সঠিকভাবে যেন ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়, সেজন্য বায়োমার্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শুধু ক্যান্সার শনাক্তকরণই নয়, বরং ক্যান্সার কোষের হ্রাস বৃদ্ধি সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে এই বায়োমার্কার এর মাধ্যমে। এতে সুষ্ঠু চিকিৎসাও সম্ভবপর হবে।
বায়োমার্কার হচ্ছে একটি বস্তু বা পদার্থ যা দেহের বিশেষ অবস্থা নির্দেশ করে। দেহ সুস্থ নাকি অসুস্থ তা এই বায়োমার্কার দ্বারা বোঝা সম্ভব। যেমনঃ তাপমাত্রার মান দেখে জ্বরের পরিমাণ বুঝতে পারা যায়। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা হচ্ছে বায়োমার্কার। প্রোটিন বা এনজাইম, আইসোজাইম, এন্টিবডি, বিভিন্ন ড্রাগ বায়োমার্কারের কাজ করতে পারে।
ক্যান্সার শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধের জন্য ন্যানোসেন্সর বা ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম বায়োমার্কার খুঁজে বের করা তাই এখন সময়ের দাবি। যদিও ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু এর ব্যাপক প্রসার ঘটাতে হবে।
বাংলাদেশের গবেষণা খাত এ দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত বায়োকেমিস্ট এবং মলিকুলার বায়োলজিস্ট তৈরি হচ্ছে। তাদের জন্য গবেষণার এক দুর্দান্ত বিষয়বস্তু হতে পারে এই বায়োমার্কার। যত দ্রুত এবং যত বেশি এই বায়োমার্কার খুঁজে পাওয়া যাবে, তত দ্রুত এই মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
লেখকঃ তানভীর সরকার টুটুল, শিক্ষার্থী, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়