নিজস্ব প্রতিবেদক: সমাজের নিম্নবিত্ত স্তরে দারিদ্রতা দূরীকরণের প্রয়াসে প্রথমবারের মতো যাকাত ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সমাজসেবামূলক সংগঠন সঞ্জীবন। জানা গিয়েছে, শুভাকাঙ্খী দাতাদের থেকে সংগৃহীত মোট অর্থে প্রান্তিক পর্যায়ের অন্তত একটি পরিবারকে সাবলম্বী করণের চিন্তা থেকে উদ্যোগটি নিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল সঞ্জীবন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পর্ষদের সভাপতি ফাহিম আহম্মেদ মন্ডলের ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি সবার সামনে নিয়ে আসেন। তাঁর পোস্টটি নবযুগের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো,
“আজকে একটি স্পর্শকাতর, কিন্তু মৌলিক এক বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। আমার কাজকর্ম বিগত ৫-৬ বছরে যারা দেখেছেন, তাঁদের আমার প্রতি যে বিশ্বাস, ভালোবাসা, স্নেহ ও সম্মান রয়েছে, সেই ভরসা ও অধিকারের জায়গা থেকে লিখছি। ভুল ভ্রান্তি থেকে থাকলে ক্ষমা করবেন।
যাকাত আমাদের ইসলাম ধর্মের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের অধিকারী ব্যাক্তির উপর অবশ্য পালনীয় বিধান। আমার ধর্মজ্ঞান খুব বেশি নেই, হয়তো সমুদ্রের মধ্যে এক ফোঁটা পানি কণার মতো! এই অল্প জ্ঞানেই যতোটা বুঝেছি, জেনেছি এবং শুনেছি, যাকাতের সুষ্ঠু বন্টনের মাধ্যমে কয়েক বছরের মধ্যেই যেকোনো এলাকায় বা অঞ্চলে বিদ্যমান দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব।
কিন্তু খুব অদ্ভুত লাগে, যখন দেখি সমাজের উঁচু স্তরের অনেকেই বস্তাভরে শাড়ী কিনে, তা দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে নামকা ওয়াস্তে ফরজ আদায় করেন! এইভাবে লাইনে দাড় করিয়ে শাড়ী দেয়াতে কার কী পরিমাণে দারিদ্র দূর হয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য আমার জানা নেই। এই ব্যাপারটা কতোটা বাস্তবসম্মত সে বিষয়েও আমি সন্দিহান। এ ব্যাপারে কারুর দ্বিমত থাকলে কিংবা বেশি জানা থাকলে, দয়া করে আমাকে সঠিক পথ দেখানোর অনুরোধ থাকবে।
এবার আসি আসল কথায়! আমরা আমাদের সংগঠন, সঞ্জীবন -এর পক্ষে এবার যাকাত সংগ্রহের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। যাকাত দানে সামর্থ্যবান ব্যাক্তিগণ যদি তাঁদের যাকাতের পরিমাণ থেকে আমাদেরকে একটি ন্যূনতম পরিমাণ অর্থ দিয়েও সহায়তায় করেন, সেক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করবো মোট সংগৃহীত অর্থ দিয়ে অন্তত একটি দুঃস্থ অসহায় পরিবারের সহায়তা করতে, যেনো পরেরবার তাঁকে আর যাকাতের জন্য অপেক্ষা না করতে হয়। স্বচ্ছলভাবে যেনো তিনি তাঁর পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।
এখানে উল্লেখ্য, যারা যাকাতের মিনিমাম একটা অর্থ আমাদের দান করবেন, তাঁদেরকে আমরা আমাদের কার্যক্রমের পূর্ণ বিবরণ এবং গতিবিধি সম্পর্কে প্রতি মুহূর্তে আপডেট প্রদান করতে থাকবো। চাইলেই আপনি বা আপনারা এগিয়ে এসে সাহায্য করতে পারেন এমন কোনো পরিবারকে যারা কী না হয়তো আজকের এই করোনা মহামারীর দিনে না খেয়ে, না পড়ে, হয়তো পড়ে আছে ঘরের কোন এক কোনে কিংবা ভাবছে কীভাবে বাইরে গিয়ে খাবার সংগ্রহের পথ তৈরী করা যায়।
যাকাতের ব্যাপারটি খুবই স্পর্শকাতর এবং আমি যতোটা জানি, নিজ আত্মীয় স্বজনের মাঝে অস্বচ্ছল কাউকে যাকাত দান করা সর্বোত্তম। এমন অবস্থায় আমি সবাইকে উৎসাহিত করবো নিজের পরিবারের, আত্মীয় স্বজনের মাঝেই যাকে প্রয়োজন, তাঁকে যাকাত দেয়ার চেষ্টা করুন।
তবে, যদি আপনি বা আপনাদের পরিচিত কারুর যাকাত দান করার মতো তেমন নির্দিষ্ট কেউ না থেকে থাকেন, তাহলে অনুরোধ থাকবে আমাদের যাকাত তহবিলে আপনার যাকাতের মোট পরিমাণ থেকে ন্যূনতম একটি অর্থ দিয়ে সহায়তায় করুন।
আমরা আপনার সহায়তা পৌছে দেবো প্রান্তিক পর্যায়ের এমন কোনো খেটে খাওয়া মানুষকে, যে বা যার পরিবার হয়তো আপনার দান করা অর্থেই পরের বছর সেই পরিমাণ সাবলম্বী হয়ে উঠবে যে তাঁর আর যাকাত নেবার মতো অবস্থা থাকবেনা!
সবাইকে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের যাকাত ফান্ডে টাকা পাঠাতে চাইলে যোগাযোগ করুন,
ফাহিম আহম্মেদ মন্ডল, 01615-271492 (Bkash), 01861-608167-1 (Rocket)
নূর হোসেন হৃদয়, 01903-307134 (Bkash)”