Dhaka 5:47 am, Friday, 1 December 2023

  • Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/page/header_design_two.php on line 68

গড়ে ৩ দিন অধিবেশনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন এমপিরা

  • Reporter Name
  • Update Time : 03:20:44 pm, Tuesday, 9 June 2020
  • 12 Time View

বুধবার ( ১০ জুন) শুরু হতে যাওয়া জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা গড়ে তিন দিন করে অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এরমধ্যে ১ দিন তারা বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন। তবে কোনও কোনও সংসদ সদস্য তিন দিন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেলেও বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, মন্ত্রিসভার অত্যাবশ্যকীয় কয়েকজন সদস্য, সরকারি ও বিরোধী দলের হুইপদের ক্ষেত্রে শিডিউল মানার প্রয়োজন পড়ছে না। এদিকে বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০ থেকে ২২ জন সংসদ সদস্যকে বাজেট অধিবেশনে অংশগ্রহণ না করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন নারী সংসদ সদস্যও রয়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া সরকারদলীয় সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারকেও অধিবেশনে যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা এবং একাধিক হুইপের সঙ্গে আলোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা রোস্টারভিত্তিক যোগ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এরই আলোকে সংসদের চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ এবং অন্য হুইপরা বসে ইতোমধ্যে রোস্টার করেছেন। রোস্টার অনুযায়ী, বেশিরভাগ সংসদ সদস্য ৩ দিন করে অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কয়েকজন সদস্য পাচ্ছেন দুই দিন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ। আবার মন্ত্রীসহ আবশ্যকীয় কিছু এমপি তিন দিনের বেশি বৈঠকে আসার সুযোগ পাচ্ছেন। কারও কারও জন্য অধিবেশনের সব কার্যদিবসে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। ৩০ জুন বাজেট পাসের দিন প্রয়োজনীয়তার তাগিদে যতদূর সম্ভব মন্ত্রীদের বেশি উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, অধিবেশন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কেবল কোরাম পূর্ণ হওয়ার (৬০ জন) ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের উপস্থিতি সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৯০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল (১০ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। ইতোমধ্যে সংসদ থেকে এ অধিবেশনের একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অধিবেশনের মেয়াদ হবে ১২ কার্যদিবস। অধিবেশন আগামী ৮ বা ৯ জুলাই শেষ হবে। অধিবেশনে ১১ জুন আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ হবে। বাজেট পাস হবে ৩০ জুন। সম্পূরক এবং মূল বাজেট নিয়ে ২০/২২ ঘণ্টা আলোচনা হবে বলে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

করোনা সংকটকালে অনুষ্ঠেয় এ বাজেট অধিবেশনে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সংসদ সচিবালয়। এক্ষেত্রে শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং বয়স্ক সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। রোস্টারভিত্তিক সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংসদের অধিবেশন কক্ষসহ অত্যাবশ্যকীয় প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। করোনা পজিটিভ পাওয়া এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব থেকে বিরতি দিয়ে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নেগেটিভ হয়েছে, তারাও সংসদ অধিবেশন চলাকালে নিজেদের বাসায় কিংবা সংসদ সচিবালয়ের ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

অধিবেশন চলাকালে কক্ষে স্বাস্থ্য নিরাপত্তায়ও বড় ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সাময়িকভাবে আসন বিন্যাসেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আসন বিন্যাসকে বিবেচনায় নিয়ে রোস্টার করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আশপাশের বেশ কয়েকটি আসন ফাঁকা রাখা হবে। এক্ষেত্রে সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীকে আরও এক সারি পেছনে এবং প্রধানমন্ত্রীর ডান পাশের আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যদের আরও কয়েক আসন দূরে বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। অর্থমন্ত্রীর আসনও সাময়িকভাবে বিন্যাস হতে পারে।

আসন বিন্যাস এবং তালিকা করে সংসদ সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে প্রধান হুইপের নেতৃত্বে হুইপরা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক একাধিক বৈঠক করে রোস্টার সম্পন্ন করেছেন। কোন সদস্য কবে সংসদে অংশ নেবেন তা মোবাইলে এসএমএস করে এবং টেলিফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে সংসদের শিডিউল অনুযায়ী তারা সংসদে যোগ দেবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত এই সংকটকালে রোস্টারভিত্তিক বৈঠকে অংশগ্রহণকে তারা যৌক্তিক মনে করেন। তাদের মতে, বাস্তবতার কারণে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।

স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ ও প্রবীণ রাজনীতিক সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবারের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না। তবে যোগ দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। শিডিউল অনুযায়ী তিনি পাঁচ দিন অধিবেশনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তার জন্য ১০, ১৫, ২৪ ও ৩০ জুন এবং সমাপনী দিনে যাওয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান। বাজেটের ওপর আলোচনা কবে করবেন তা এখনও চূড়ান্ত করেননি বলে তিনি জানান।

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জানান, তিনি যেহেতু বিরোধী দলের চিফ হুইপ, এজন্য তার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে তাদের পার্টির সংসদ সদস্যরা গড়ে তিন দিন করে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রত্যেককেই ইতোমধ্যে তাদের শিডিউল জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের এ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি জানান।

জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানিয়েছেন, শিডিউল নিয়ে তার সঙ্গে সংসদের দায়িত্বশীলদের কথা হয়েছে। তিনি ৩৬ বছর ধরে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার ক্ষেত্রে শিডিউল কোনও বিষয় নয়। তিনি যেদিনই চাইবেন সংসদে যাবেন। দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে সময় নিয়ে সংসদে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী জানান, তাকে ১১, ২৩ ও ৩০ জুন অধিবেশনে যোগ দিতে বলা হয়েছে। এরমধ্যে ২৩ জুন তার বাজেটের ওপর আলোচনার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সংসদে যোগদান করার বিষয়ে নিজেই উদ্বেগে রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাকে তিন দিন যেতে বলা হয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা উদ্বেগে রয়েছি। ২৩ জুন আলোচনায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে মোটামুটি মনস্থির করেছি। অন্য দুদিন যাবো কিনা পরিস্থিতি বিবেচনা সিদ্ধান্ত নেবো। বর্তমান পরিস্থিতিতে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকও যেতে নিরুৎসাহিত করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের জন্যও তিন দিন সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার শিডিউল জানানো হয়েছে। তিনি ১০, ২৩ এবং ২৪ জুন বৈঠকে যোগ দেবেন। ২৩/২৪ জুনের যেকোনও একদিন তিনি বাজেটের ওপর বক্তব্য দেবেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান।

জাসদ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তার শিডিউল অনুযায়ী ১০, ১৬ ও ২৪ জুন সংসদের বৈঠকে যোগ দেবেন। তিনি ১৬ জুন বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন বলেও জানান। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অধিবেশন প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, সংসদের কাছে বাজেট পাসের কোনও বিকল্প নেই। বাজেট পাস না হলে আগামী অর্থবছর থেকে সরকারি যে খরচ হবে তার সবই হবে অবৈধ।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শিডিউল অনুযায়ী চার দিন বৈঠকে যোগ দেবেন। বাজেট উপস্থাপনের দিন ১১ জুন এবং বাজেট পাসের দিন ৩০ জুন উপস্থিত থাকছেন তিনি। এছাড়া তিনি ১৫ ও ২৪ জুনও যোগ দেবেন। ২৪ জুন তিনি বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন। তার মতো অন্য সব মন্ত্রীর ক্ষেত্রেও শিডিউল করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সংসদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি মনে করছেন কিনা জানতে চাইলে সরকারি দলের এই এমপি বলেন, এটা আমাদের জন্য কোনও ঝুঁকি নয়। রাজনীতিবিদদের কাজই তো ঝুঁকি নেওয়া। কাজেই সংসদের ভেতরে বাইরে কোথাও আমরা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করি না। রাজনীতিবিদ হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। আমরা সেটাই করছি এবং করবো।

সরকারি দলের এমপি ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বাজেট পেশের দিন ১১ জুন সংসদের বৈঠকে যোগ দেবেন। এছাড়া শিডিউল অনুযায়ী তিনি ১৭ ও ২৯ জুনও বৈঠকে অংশ নেবেন। তিনি শেষ দুই দিনের যেকোনও একদিন বাজেটের ওপর বক্তব্য দিতে পারেন বলে জানান।

সিরাজগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার হাবিবে মিল্লাত জানান, শিডিউল অনুযায়ী তিনি ১৪ ও ২২ জুন এবং অধিবেশনের সমাপনী দিনে যোগদান করবেন। তিনি জানান, বাজেটের ওপর আলোচনার ব্যাপারে তিনি এখনও কোনও শিডিউল পাননি। এটা ১৪ অথবা ২২ জুনের কোনও একদিন হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান জানান, শিডিউল অনুযায়ী তিনি ১৪ ও ২২ জুন এবং অধিবেশনের সমাপনী দিনে অংশ নেবেন। তিনি ১৪ জুন সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেবেন বলেও বাংলা ট্রিবিউনকে জানান। সরকারি দলের এই এমপি আরও জানান, করোনা সংকটকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি দীর্ঘদিন এলাকায় ছিলেন। তবে তিনি সংসদ অধিবেশনে যোগদানের জন্য কয়েকদিন আগে ঢাকায় এসেছেন। অন্তত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে আগেভাগে ঢাকায় এসেছেন বলেও জানান।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সংসদের বৈঠকে কবে যেতে চাই তা জানতে হুইপের দফতর থেকে আমাকে ফোন দেওয়া হয়েছিল। আমি এখনও সিদ্ধান্ত জানাইনি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। আমার জন্য হয়তো অল ডে ওপেন থাকবে। তবে আমি ১০ ও ১১ জুন যাচ্ছি না, সেটা এখন বলতে পারি। পরবর্তী সময়ে কবে যাবো সেটা পরে জানাবো।

বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার জন্য সংসদে যাওয়ার জন্য চার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী তার ১৪, ১৫, ১৭ ও ৩০ জুন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা। উল্লেখিত দিনগুলোতে তিনি অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। বাজেটের ওপর আলোচনার বিষয় এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি বলেও তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া নওগাঁ-২ আসনের সরকারদলীয় এমপি শহীদুজ্জামান সরকারকে বাজেট অধিবেশনে যোগ না দিতে বলা হয়েছে বলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনের কাছে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাকে ফোন করে অধিবেশনে যোগ না দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে তিনি আশা করছেন শেষ দিকে কোনও একদিন অধিবেশনে যোগ দেবেন। শহীদুজ্জামান সরকার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর বেশ কিছু দিন আগে সুস্থ হয়েছেন। ইতোমধ্যে তার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের সময় পার হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর তিনি সংসদ ভবনের নিজ কার্যালয়ে একদিন গিয়েছেন বলেও জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হুইপ ইকবালুর রহিম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আমরা উপস্থিতির বিষয়ে বাজেট পেশ বা পাস কোনও দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। গুরুত্ব দিচ্ছি স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর। এক্ষেত্রে আমরা প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০ জনের উপস্থিতি সীমাবদ্ধ রাখতে চাই। আমরা চাই না কোনোক্রমেই সংখ্যা একশ’র ওপরে উঠুক।

তিনি জানান, সংসদ সদস্যদের উপস্থিতির ব্যাপারে তারা একটি শিডিউল করেছে। সংসদ সদস্যরা গড়ে তিন দিনের মতো বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। কোনও কোনও সংসদ সদস্যের ক্ষেত্রে দুই দিনেরও আছে আবার কারও কারও তিন দিনের বেশি আছে। অধিবেশনের প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে এটা করা হয়েছে। কিছু কিছু সিনিয়র সংসদ সদস্যকে শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে বৈঠকে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এই সংখ্যা ২০ থেকে ২২ জনের মতো হবে বলেও তিনি জানান। তবে হুইপদের সব দিবসে উপস্থিতির জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

Tag :

Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_two.php on line 177

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Choton Mia

Popular Post

Notice: Undefined index: footer_custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/footer.php on line 87

গড়ে ৩ দিন অধিবেশনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন এমপিরা

Update Time : 03:20:44 pm, Tuesday, 9 June 2020

বুধবার ( ১০ জুন) শুরু হতে যাওয়া জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা গড়ে তিন দিন করে অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এরমধ্যে ১ দিন তারা বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন। তবে কোনও কোনও সংসদ সদস্য তিন দিন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেলেও বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, মন্ত্রিসভার অত্যাবশ্যকীয় কয়েকজন সদস্য, সরকারি ও বিরোধী দলের হুইপদের ক্ষেত্রে শিডিউল মানার প্রয়োজন পড়ছে না। এদিকে বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০ থেকে ২২ জন সংসদ সদস্যকে বাজেট অধিবেশনে অংশগ্রহণ না করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন নারী সংসদ সদস্যও রয়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া সরকারদলীয় সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারকেও অধিবেশনে যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা এবং একাধিক হুইপের সঙ্গে আলোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা রোস্টারভিত্তিক যোগ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এরই আলোকে সংসদের চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ এবং অন্য হুইপরা বসে ইতোমধ্যে রোস্টার করেছেন। রোস্টার অনুযায়ী, বেশিরভাগ সংসদ সদস্য ৩ দিন করে অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কয়েকজন সদস্য পাচ্ছেন দুই দিন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ। আবার মন্ত্রীসহ আবশ্যকীয় কিছু এমপি তিন দিনের বেশি বৈঠকে আসার সুযোগ পাচ্ছেন। কারও কারও জন্য অধিবেশনের সব কার্যদিবসে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। ৩০ জুন বাজেট পাসের দিন প্রয়োজনীয়তার তাগিদে যতদূর সম্ভব মন্ত্রীদের বেশি উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, অধিবেশন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কেবল কোরাম পূর্ণ হওয়ার (৬০ জন) ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের উপস্থিতি সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৯০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল (১০ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। ইতোমধ্যে সংসদ থেকে এ অধিবেশনের একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অধিবেশনের মেয়াদ হবে ১২ কার্যদিবস। অধিবেশন আগামী ৮ বা ৯ জুলাই শেষ হবে। অধিবেশনে ১১ জুন আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ হবে। বাজেট পাস হবে ৩০ জুন। সম্পূরক এবং মূল বাজেট নিয়ে ২০/২২ ঘণ্টা আলোচনা হবে বলে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

করোনা সংকটকালে অনুষ্ঠেয় এ বাজেট অধিবেশনে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সংসদ সচিবালয়। এক্ষেত্রে শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং বয়স্ক সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। রোস্টারভিত্তিক সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংসদের অধিবেশন কক্ষসহ অত্যাবশ্যকীয় প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। করোনা পজিটিভ পাওয়া এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব থেকে বিরতি দিয়ে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নেগেটিভ হয়েছে, তারাও সংসদ অধিবেশন চলাকালে নিজেদের বাসায় কিংবা সংসদ সচিবালয়ের ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

অধিবেশন চলাকালে কক্ষে স্বাস্থ্য নিরাপত্তায়ও বড় ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সাময়িকভাবে আসন বিন্যাসেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আসন বিন্যাসকে বিবেচনায় নিয়ে রোস্টার করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আশপাশের বেশ কয়েকটি আসন ফাঁকা রাখা হবে। এক্ষেত্রে সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীকে আরও এক সারি পেছনে এবং প্রধানমন্ত্রীর ডান পাশের আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যদের আরও কয়েক আসন দূরে বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। অর্থমন্ত্রীর আসনও সাময়িকভাবে বিন্যাস হতে পারে।

আসন বিন্যাস এবং তালিকা করে সংসদ সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে প্রধান হুইপের নেতৃত্বে হুইপরা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক একাধিক বৈঠক করে রোস্টার সম্পন্ন করেছেন। কোন সদস্য কবে সংসদে অংশ নেবেন তা মোবাইলে এসএমএস করে এবং টেলিফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে সংসদের শিডিউল অনুযায়ী তারা সংসদে যোগ দেবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত এই সংকটকালে রোস্টারভিত্তিক বৈঠকে অংশগ্রহণকে তারা যৌক্তিক মনে করেন। তাদের মতে, বাস্তবতার কারণে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।

স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ ও প্রবীণ রাজনীতিক সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবারের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না। তবে যোগ দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। শিডিউল অনুযায়ী তিনি পাঁচ দিন অধিবেশনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তার জন্য ১০, ১৫, ২৪ ও ৩০ জুন এবং সমাপনী দিনে যাওয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান। বাজেটের ওপর আলোচনা কবে করবেন তা এখনও চূড়ান্ত করেননি বলে তিনি জানান।

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জানান, তিনি যেহেতু বিরোধী দলের চিফ হুইপ, এজন্য তার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে তাদের পার্টির সংসদ সদস্যরা গড়ে তিন দিন করে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রত্যেককেই ইতোমধ্যে তাদের শিডিউল জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের এ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি জানান।

জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানিয়েছেন, শিডিউল নিয়ে তার সঙ্গে সংসদের দায়িত্বশীলদের কথা হয়েছে। তিনি ৩৬ বছর ধরে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার ক্ষেত্রে শিডিউল কোনও বিষয় নয়। তিনি যেদিনই চাইবেন সংসদে যাবেন। দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে সময় নিয়ে সংসদে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী জানান, তাকে ১১, ২৩ ও ৩০ জুন অধিবেশনে যোগ দিতে বলা হয়েছে। এরমধ্যে ২৩ জুন তার বাজেটের ওপর আলোচনার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সংসদে যোগদান করার বিষয়ে নিজেই উদ্বেগে রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাকে তিন দিন যেতে বলা হয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা উদ্বেগে রয়েছি। ২৩ জুন আলোচনায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে মোটামুটি মনস্থির করেছি। অন্য দুদিন যাবো কিনা পরিস্থিতি বিবেচনা সিদ্ধান্ত নেবো। বর্তমান পরিস্থিতিতে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকও যেতে নিরুৎসাহিত করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের জন্যও তিন দিন সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার শিডিউল জানানো হয়েছে। তিনি ১০, ২৩ এবং ২৪ জুন বৈঠকে যোগ দেবেন। ২৩/২৪ জুনের যেকোনও একদিন তিনি বাজেটের ওপর বক্তব্য দেবেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান।

জাসদ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তার শিডিউল অনুযায়ী ১০, ১৬ ও ২৪ জুন সংসদের বৈঠকে যোগ দেবেন। তিনি ১৬ জুন বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন বলেও জানান। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অধিবেশন প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, সংসদের কাছে বাজেট পাসের কোনও বিকল্প নেই। বাজেট পাস না হলে আগামী অর্থবছর থেকে সরকারি যে খরচ হবে তার সবই হবে অবৈধ।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শিডিউল অনুযায়ী চার দিন বৈঠকে যোগ দেবেন। বাজেট উপস্থাপনের দিন ১১ জুন এবং বাজেট পাসের দিন ৩০ জুন উপস্থিত থাকছেন তিনি। এছাড়া তিনি ১৫ ও ২৪ জুনও যোগ দেবেন। ২৪ জুন তিনি বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন। তার মতো অন্য সব মন্ত্রীর ক্ষেত্রেও শিডিউল করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সংসদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি মনে করছেন কিনা জানতে চাইলে সরকারি দলের এই এমপি বলেন, এটা আমাদের জন্য কোনও ঝুঁকি নয়। রাজনীতিবিদদের কাজই তো ঝুঁকি নেওয়া। কাজেই সংসদের ভেতরে বাইরে কোথাও আমরা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করি না। রাজনীতিবিদ হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। আমরা সেটাই করছি এবং করবো।

সরকারি দলের এমপি ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বাজেট পেশের দিন ১১ জুন সংসদের বৈঠকে যোগ দেবেন। এছাড়া শিডিউল অনুযায়ী তিনি ১৭ ও ২৯ জুনও বৈঠকে অংশ নেবেন। তিনি শেষ দুই দিনের যেকোনও একদিন বাজেটের ওপর বক্তব্য দিতে পারেন বলে জানান।

সিরাজগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার হাবিবে মিল্লাত জানান, শিডিউল অনুযায়ী তিনি ১৪ ও ২২ জুন এবং অধিবেশনের সমাপনী দিনে যোগদান করবেন। তিনি জানান, বাজেটের ওপর আলোচনার ব্যাপারে তিনি এখনও কোনও শিডিউল পাননি। এটা ১৪ অথবা ২২ জুনের কোনও একদিন হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান জানান, শিডিউল অনুযায়ী তিনি ১৪ ও ২২ জুন এবং অধিবেশনের সমাপনী দিনে অংশ নেবেন। তিনি ১৪ জুন সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেবেন বলেও বাংলা ট্রিবিউনকে জানান। সরকারি দলের এই এমপি আরও জানান, করোনা সংকটকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি দীর্ঘদিন এলাকায় ছিলেন। তবে তিনি সংসদ অধিবেশনে যোগদানের জন্য কয়েকদিন আগে ঢাকায় এসেছেন। অন্তত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে আগেভাগে ঢাকায় এসেছেন বলেও জানান।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সংসদের বৈঠকে কবে যেতে চাই তা জানতে হুইপের দফতর থেকে আমাকে ফোন দেওয়া হয়েছিল। আমি এখনও সিদ্ধান্ত জানাইনি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। আমার জন্য হয়তো অল ডে ওপেন থাকবে। তবে আমি ১০ ও ১১ জুন যাচ্ছি না, সেটা এখন বলতে পারি। পরবর্তী সময়ে কবে যাবো সেটা পরে জানাবো।

বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার জন্য সংসদে যাওয়ার জন্য চার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী তার ১৪, ১৫, ১৭ ও ৩০ জুন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা। উল্লেখিত দিনগুলোতে তিনি অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। বাজেটের ওপর আলোচনার বিষয় এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি বলেও তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া নওগাঁ-২ আসনের সরকারদলীয় এমপি শহীদুজ্জামান সরকারকে বাজেট অধিবেশনে যোগ না দিতে বলা হয়েছে বলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনের কাছে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাকে ফোন করে অধিবেশনে যোগ না দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে তিনি আশা করছেন শেষ দিকে কোনও একদিন অধিবেশনে যোগ দেবেন। শহীদুজ্জামান সরকার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর বেশ কিছু দিন আগে সুস্থ হয়েছেন। ইতোমধ্যে তার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের সময় পার হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর তিনি সংসদ ভবনের নিজ কার্যালয়ে একদিন গিয়েছেন বলেও জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হুইপ ইকবালুর রহিম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আমরা উপস্থিতির বিষয়ে বাজেট পেশ বা পাস কোনও দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। গুরুত্ব দিচ্ছি স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর। এক্ষেত্রে আমরা প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০ জনের উপস্থিতি সীমাবদ্ধ রাখতে চাই। আমরা চাই না কোনোক্রমেই সংখ্যা একশ’র ওপরে উঠুক।

তিনি জানান, সংসদ সদস্যদের উপস্থিতির ব্যাপারে তারা একটি শিডিউল করেছে। সংসদ সদস্যরা গড়ে তিন দিনের মতো বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। কোনও কোনও সংসদ সদস্যের ক্ষেত্রে দুই দিনেরও আছে আবার কারও কারও তিন দিনের বেশি আছে। অধিবেশনের প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে এটা করা হয়েছে। কিছু কিছু সিনিয়র সংসদ সদস্যকে শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে বৈঠকে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এই সংখ্যা ২০ থেকে ২২ জনের মতো হবে বলেও তিনি জানান। তবে হুইপদের সব দিবসে উপস্থিতির জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।