বর্তমানে রাজধানীর শ্যামলীর বেসরকারি এই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভেন্টিলেশনে আছেন মোহাম্মদ নাসিম। অচেতন অবস্থায় তাকে লাইফসাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, এখনও কোমায় আছে তিনি। এমতাবস্থায় নাসিমকে দেশের বাইরে নেয়ার একটা চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের কোভিড-১৯ টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। তার আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার যোগাযোগ চলছে।
এদিকে মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, উনার এখন কোভিড-১৯ বড় সমস্যা নয়। বড় বিষয় যেটি, সেটি হলো– ব্রেনস্ট্রোক। করোনা থেকে মোহাম্মদ নাসিম আরোগ্য লাভ করছিলেন। উনাকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে মুহূর্তে ব্রেনস্ট্রোক করেন। এখনও উনার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ বিষয়ে ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ওনাকে দেশের বাইরে নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছুই জানি না। বর্তমান শারীরিক অবস্থায় তাকে দেশের বাইরে নেয়া সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাইলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নেয়া সম্ভব।
এর আগে রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এর পর ৪ জুন তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি ম্যাসিভ ব্রেনস্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। এর পর ডিপ কোমায় চলে যান নাসিম। গত কয়দিনে তার স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি হয়নি।