হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনদের মসজিদ, মন্দিরসহ যেকোনো জনসমাগম যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে যাদের জ্বর, সর্দি-কাশি তাদেরও এ নির্দেশ মানতে বলা হয়েছে। এটি নিশ্চিত করতে স্থানীয় জনগণসহ প্রশাসনকে কঠোর ও তৎপর হতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকা ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের এ ভিডিও কনফারেন্স আয়োজন করা হয়।
হোম কোয়ারেন্টাইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে, তাদের কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। হোম কোয়ারেন্টাইন ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। হোম কোয়ারেন্টাইন কঠোর ভাবে মানাতে হবে নইলে পুরো জাতিকে এ জন্য ভুগতে হবে।
হোম কোয়ারেন্টাইন মানার ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনকেও মসজিদে বা জনসমাগম স্থলে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের বিরত রাখতে স্থানীয় জনগণকে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলা হয়।
মসজিদ বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে কেন্দ্রীয় প্রশাসন থেকে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলা হয়, তবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনরা যেন মসজিদ, মন্দির বা কোনো জনসমাগমস্থলে না যায়। এ ছাড়া যাদের জ্বর, সর্দি-কাশি তারাও যেন মসজিদে না যান।
গত তিন মাসে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের তালিকা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। যাতে প্রশাসন এসব ব্যক্তিকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনা যায়।
সরকার সবকিছু মনিটরিং করছে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকার কথা জনগণ জানাতে বলা হয়, যাতে মানুষ আতঙ্কিত না হয়।
আপাতত ট্র্যান্সপোর্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেই বলে জানানো হয় সভায়। তবে কারও জ্বর, সর্দি-কাশি হলে তাদের যাতায়াত না করতে বলা হয়।
সচিবালয়ের কেবিনেট ডিভিশন থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্সে নেতৃত্ব দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, শিক্ষাসচিব মো. মাহবুব হোসেন।
সচিবালয়ের কেবিনেট ডিভিশন থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বাস্থ্যসচিব মো. আসাদুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।