Dhaka 5:17 am, Friday, 1 December 2023

  • Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/page/header_design_two.php on line 68

শিক্ষকদের বিদেশে প্রশিক্ষণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

  • Reporter Name
  • Update Time : 02:55:35 pm, Tuesday, 21 January 2020
  • 19 Time View

টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজগুলোতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের বিদেশে প্রশিক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিকেল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্পসহ ২২ হাজার ৯৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্প। এ প্রকল্প এটা স্টার প্রকল্প। এটা প্রধানমন্ত্রী দেখেই লুফে নিয়েছেন। উপজেলা পর্যাকয়ে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন হবে । টেনিক্যালি অরিয়েন্টেট করতে হবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে সকল ধরনের। আমরা চাচ্ছি জাতীকে টেকনিক্যালি ওরিয়েন্ট করতে হবে সকল ধরনের। এর জন্য প্রশিক্ষণ জরুরি। প্রশিক্ষণার্থীদের টেকনিক্যালি ওরিয়েন্ট করতে হবে সকল ধরনের। প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ জরুরি।

এম এ মান্নান বলেন, নতুন টেকনিক্যাল স্কুলে শিক্ষক দিতে হবে । শিক্ষকদের প্রকট অভাব আছে। এ জন্য শিক্ষকদের ট্রেনিং দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছে আমরা ভালো মানের প্রশিক্ষণ দিব। ‘সুতরাং ক্র্যাশ প্রোগাম করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রয়োজনে তাদের বিদেশে পাঠাও। কয়েক শ হোক কোনো আপত্তি নেই। যাক একটা প্রশিক্ষণ নিয়ে আসুক।’

প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কা তুলে ধরে এম এ মান্নান জানান, ‘তার আশঙ্কা অনেক সময় অনেক সরকারি স্থাপনা হওয়ার পর দেখা যায় সেটা পরিচালনা করার লোক নেই, চেয়ার নেই, বেঞ্চ নেই, যন্ত্র নেই। এটা পরিহার করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এখানে (টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন) যেন এমন না হয়। তারাতারি প্রশিক্ষণ দেও। ক্র্যাশ প্রগাম নেও। এখানে যেন এমন না হয়। যেন নির্মান হতে হতে সব কিছু রেডি থাকে।’

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আমরা আরও ভালোমানের লোক বিদেশে পাঠাতে পারলে ভালো আয় হবে সে নীতি আমাদের আছে। সেই নীতির আলোকে ৩২৯ টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ আমরা বানাবো। এটা শেষ হবে ২০২৪ সালে।

মন্ত্রী জানান, দুর্গম হাওর এলাকায় শিক্ষকদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

শিল্প এলাকায় বর্জ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার আবারও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যেখানে সিটিইপি করতে হবে। জলাধার রাখো কাছে যাতে আগুন লাগলে পানি দেয়া যায়। আগুন লাগলে আনেক সময় জলাধার কাছে পাওয়া যায় না। তোমরা উন্নয়ন করবাই, কিছু মাটিতো কাটবাই, সেখানে জলাধার হয়ে যাবে। আল্লাহ না করুক আগুন লাগলে যেন আমরা পানি পেতে পারি’।

স্থপতিদের প্রতি আবদ্ধ ঘর না বানোরা নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবদ্ধ ঘর না বানিয়ে বারান্দা দিলে হাওয়া লাগবে। আমাদের যে জলবায়ু ও আবহাওয়ার যে বৈশিষ্ঠ সেখানে আবদ্ধঘরে থাকা ঠিক নয়।’

পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর নতুন ৬টি প্রকল্প এবং ২ টি সংশোধিত প্রকল্প পাস হয়।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৭১৯ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে বিসিক শিল্প পার্ক সিরাজগঞ্জ প্রকল্প, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৪৩ কোটি টাকা এসআরডিআই ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্প, স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে (সংশোধিত) ২৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩২৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে, ৩৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরার বেতগ্রাম- তালা-পাইকগাছা-কয়রা যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প, ৩৬৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়ক ও লক্ষ্মীপুর আলেকজান্ডার- সোনাপুর-মাইজদী সড়কের প্রকল্প ও ৮৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভোলা পরান তালুকদার হাট চরফ্যাশন আঞ্চলিক সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।

Tag :

Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_two.php on line 177

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Choton Mia

Popular Post

Notice: Undefined index: footer_custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/footer.php on line 87

শিক্ষকদের বিদেশে প্রশিক্ষণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

Update Time : 02:55:35 pm, Tuesday, 21 January 2020

টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজগুলোতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের বিদেশে প্রশিক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিকেল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্পসহ ২২ হাজার ৯৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্প। এ প্রকল্প এটা স্টার প্রকল্প। এটা প্রধানমন্ত্রী দেখেই লুফে নিয়েছেন। উপজেলা পর্যাকয়ে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন হবে । টেনিক্যালি অরিয়েন্টেট করতে হবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে সকল ধরনের। আমরা চাচ্ছি জাতীকে টেকনিক্যালি ওরিয়েন্ট করতে হবে সকল ধরনের। এর জন্য প্রশিক্ষণ জরুরি। প্রশিক্ষণার্থীদের টেকনিক্যালি ওরিয়েন্ট করতে হবে সকল ধরনের। প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ জরুরি।

এম এ মান্নান বলেন, নতুন টেকনিক্যাল স্কুলে শিক্ষক দিতে হবে । শিক্ষকদের প্রকট অভাব আছে। এ জন্য শিক্ষকদের ট্রেনিং দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছে আমরা ভালো মানের প্রশিক্ষণ দিব। ‘সুতরাং ক্র্যাশ প্রোগাম করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রয়োজনে তাদের বিদেশে পাঠাও। কয়েক শ হোক কোনো আপত্তি নেই। যাক একটা প্রশিক্ষণ নিয়ে আসুক।’

প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কা তুলে ধরে এম এ মান্নান জানান, ‘তার আশঙ্কা অনেক সময় অনেক সরকারি স্থাপনা হওয়ার পর দেখা যায় সেটা পরিচালনা করার লোক নেই, চেয়ার নেই, বেঞ্চ নেই, যন্ত্র নেই। এটা পরিহার করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এখানে (টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন) যেন এমন না হয়। তারাতারি প্রশিক্ষণ দেও। ক্র্যাশ প্রগাম নেও। এখানে যেন এমন না হয়। যেন নির্মান হতে হতে সব কিছু রেডি থাকে।’

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আমরা আরও ভালোমানের লোক বিদেশে পাঠাতে পারলে ভালো আয় হবে সে নীতি আমাদের আছে। সেই নীতির আলোকে ৩২৯ টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ আমরা বানাবো। এটা শেষ হবে ২০২৪ সালে।

মন্ত্রী জানান, দুর্গম হাওর এলাকায় শিক্ষকদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

শিল্প এলাকায় বর্জ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার আবারও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যেখানে সিটিইপি করতে হবে। জলাধার রাখো কাছে যাতে আগুন লাগলে পানি দেয়া যায়। আগুন লাগলে আনেক সময় জলাধার কাছে পাওয়া যায় না। তোমরা উন্নয়ন করবাই, কিছু মাটিতো কাটবাই, সেখানে জলাধার হয়ে যাবে। আল্লাহ না করুক আগুন লাগলে যেন আমরা পানি পেতে পারি’।

স্থপতিদের প্রতি আবদ্ধ ঘর না বানোরা নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবদ্ধ ঘর না বানিয়ে বারান্দা দিলে হাওয়া লাগবে। আমাদের যে জলবায়ু ও আবহাওয়ার যে বৈশিষ্ঠ সেখানে আবদ্ধঘরে থাকা ঠিক নয়।’

পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর নতুন ৬টি প্রকল্প এবং ২ টি সংশোধিত প্রকল্প পাস হয়।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৭১৯ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে বিসিক শিল্প পার্ক সিরাজগঞ্জ প্রকল্প, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৪৩ কোটি টাকা এসআরডিআই ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্প, স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে (সংশোধিত) ২৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩২৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে, ৩৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরার বেতগ্রাম- তালা-পাইকগাছা-কয়রা যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প, ৩৬৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়ক ও লক্ষ্মীপুর আলেকজান্ডার- সোনাপুর-মাইজদী সড়কের প্রকল্প ও ৮৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভোলা পরান তালুকদার হাট চরফ্যাশন আঞ্চলিক সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।