Dhaka 1:30 pm, Thursday, 30 November 2023

  • Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/page/header_design_two.php on line 68

“ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ-২০১৯” আয়োজিত

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:31:49 pm, Friday, 22 March 2019
  • 147 Time View

আসমা হোসাইন মৌ, বিশেষ প্রতিনিধি: শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বের দীক্ষায় আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে “ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ”-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে “ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ সামিট ২০১৯”।

আজ ২২ শে মার্চ ২০১৯ (শুক্রবার), রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত “ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ  (আইডিইবি)” তে “ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ” এর আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর সম্প্রীতি প্রকল্পের সহযোগিতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে “ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ সামিট ২০১৯”।  এর মূল লক্ষ্য ছিল নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে কিভাবে তরুনরা সামাজিক নানা সমস্যা মোকাবেলা করে শান্তি-সমৃদ্দ্বির বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তা দিকনির্দেশ করা।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ এর কার্যনির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। উদ্ভোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন-

’আমাদের জেনারেশন যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিল, তাই এ নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। আর এখন আমাদের তরুনদের দায়িত্ব হলো দেশকে গড়া, আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া’।

তিনি তরুনদের প্রতি দেশ গড়ার প্রত্যায় গ্রহন করার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন,

‘প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কাছে নিজ নিজ কাজের জন্য দায়ী, তাই সবাইকেই নিজ নিজ দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করতে হবে এবং এর মাধ্যমেই সাস্টেইনেবল গোল অর্জন করা সম্ভব হবে। আমাদের জেনারেশন যেমন দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে, আমাদের পরবর্তী জেনারেশন চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশের উন্নয়নে এবং তোমরা তরুন জেনারেশন হিসেবে তোমাদের দায়িত্ব আরো বেশি’।

তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামাজিক উন্নয়নের প্রতিও জোর প্রদান করেন। তিনি বলেন,

‘’আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করা উচিৎ আমরা কোথায় আছি, কি করছি? আমাদের ভিন্নমত গ্রহনের মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে সহিংসতা, উগ্রবাদ ইত্যাদি কমে যাবে এবং সম্প্রীতি গড়ে উঠবে’’।

তরুন দের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,

‘তোমাদের ভাগ্য ভালো যে তোমরা একটি স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহন করেছো’’।

তিনি একটি ধর্ম নিরপেক্ষ, বৈষম্যহীণ দারিদ্রমুক্ত একটি দেশ গড়তে তরুনদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এন্টিটেররিজম ইউনিট ডিআইজি খন্দকার লুতফুল কবির। তিনি বলেন,

“জ্ঞান কে প্রজ্ঞায় পরিণত করতে হবে। সর্বপ্রথম আমাদের বাঙ্গালী হওয়া দরকার। সবার আগে অন্যকে ভালবাসার  সামর্থ বিবেচনা করতে হবে। সচেতন হলে শিক্ষিত হওয়া যায়। সেলফ মোটিভেশন এর মাধ্যমে লিডারশিপ তৈরী হওয়া সম্ভব। সময় থাকতেই অর্থ্যাৎ ১৫-২০ বছর থেকেই নিজের দেশ এর জন্য কিছু করতে হবে। বর্তমান সময়কে কাজে লাগিয়ে “এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার “ এই উক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তরুণদের অগ্রগতির সাহায্যে এটি করতে হবে। লিডারশিপ এর শিক্ষার মাধ্যমে আগাতে হবে। সমস্ত বিষয়ের মধ্যে মূল্যবোধ থাকতে হবে। আমাদের শুরু হয় লোকালভাবে। আমাদের চিন্তা থাকতে হবে বড় বিশ্ব দরবারে। নেতা হন প্রজ্ঞাবান পুরু। লিডারের কাজ হলো আসফলনকে কাজে রুপান্তর করা। অন্যের প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধি করতে হবে। কানেক্টিভিটি অনেক জরুরী। আস্থা অনেক জরুরী। আস্থার জায়গা তৈরী করতে হবে। নিজের সামর্থকে শ্রদ্ধা করতে পারলে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা এমনিতেই চলে আসবে। “

এছাড়া তিনি বিশেষভাবে স্মরণ করিয়ে দেন,

“leader is who know goes and shows এবং Be a change maker”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট মো শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন,

“যুবকদের মধ্যে সম্ভাবনার উপস্থিতি ১৫ বছর পরে খুজে পাওয়া যায়। এখন থেকে সময়কে কাজে লাগাতে হবে। যৌবন যার, তার যুদ্ধে যাওয়ার দিন। নিজের সাথেই নিজেকে যুদ্ধ করতে হবে। যা স্বপ্ন দেখেছেন অর্জন তার থেকে বেশি।”

তরুণদের সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনে আহবান জানান। শিক্ষা ও লিডারশিপে জোর প্রদান করেন। অন্য দেশের লোকজন কিভাবে উন্নত   হয়েছে তা দেখে অনুপ্রেরণা নিতে বলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন, Director of Smart Technology, মুজাহিদ আল বীরুনি সুজন। তিনি বলেন,

“তরুণদের নিয়ে কাজ করতে বিভিন্ন বাঁধা পাওয়া যায়, যা ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ সমাধান করে চলছ। পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম এর সাথে জড়িত থাকতে হয় এবং এ কার্যক্রম এর পাশাপাশি প্রয়োজন যোগাযোগ এর দক্ষতা বৃদ্ধি করা, যার সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যেই আয়োজন করা হয়েছে ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ সামিট ২০১৯।”

আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার কানবার হোসেইন বোর। তিনি তার বক্তব্য ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশর প্রশংসা করে বলেন,

“এরকম ইতিবাচক কাজে তরুণদের আর বেশি অংশগ্রহণ করা উচিত এবং এমন কাজে আমি সবসময়ই সাথে আছি।”

তিনি তরুণদের ইতিবচক কাজের জন্য অনুপ্রাণিত করেন এবং “মোরা ঝর্নার মতো উচ্ছল” গানটি উপস্থিত সদস্য বৃন্দদের সাথে সমস্বরে গেয়ে শুনান। এর মাধ্যমে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

সামিট চেয়ার হিসেবে ছিলেন “কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরামে”র সাধারন সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি, কো-চেয়ার হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ টুডে নিউজ এডিটর মো সাইফুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় পিপিডিএম কোওর্ডিনেটর মো.ফেরদৌস।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাগরিক টেলিভিশন এর সিইও ড. আবদুন নূর তুষার, ইপিবি এর সাবেক ডিজ়ি ফরিদুল হাসান , ড্যফোডিল গ্রুপ এর চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আগত অতিথিরা  ওয়াইসিবির এমন উদ্যোগ ও অংশগ্রহনকারীদের ভুয়সী প্রশংসা করেন।

চেঞ্জমেকার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ভবিষ্যতে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে শেষ হয় ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট ২০১৯।

ওয়াইসিবির সভাপতি আরিফিন রহমান হিমেল অনুষ্ঠানের সহযোগিতা সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এরকম আরো উদ্যোগ গ্রহনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য , এ আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফর পিস, ইয়ুথ ভিলেজ় বিডি, সিমুড ইভেন্টস, ক্লাব পার্টনার হিসেবে ছিল স্টাম্ফোর্ড ইউনিভার্সিটি ভলেন্টিয়ার্স ক্লাব, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সোসোলজি ক্লাব  ও লাইভ পার্টনার ছিল ইউ টিভি।


Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_two.php on line 177

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

Notice: Undefined index: footer_custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/footer.php on line 87

“ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ-২০১৯” আয়োজিত

Update Time : 01:31:49 pm, Friday, 22 March 2019

আসমা হোসাইন মৌ, বিশেষ প্রতিনিধি: শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বের দীক্ষায় আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে “ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ”-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে “ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ সামিট ২০১৯”।

আজ ২২ শে মার্চ ২০১৯ (শুক্রবার), রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত “ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ  (আইডিইবি)” তে “ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ” এর আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর সম্প্রীতি প্রকল্পের সহযোগিতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে “ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ সামিট ২০১৯”।  এর মূল লক্ষ্য ছিল নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে কিভাবে তরুনরা সামাজিক নানা সমস্যা মোকাবেলা করে শান্তি-সমৃদ্দ্বির বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তা দিকনির্দেশ করা।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ এর কার্যনির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। উদ্ভোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন-

’আমাদের জেনারেশন যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিল, তাই এ নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। আর এখন আমাদের তরুনদের দায়িত্ব হলো দেশকে গড়া, আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া’।

তিনি তরুনদের প্রতি দেশ গড়ার প্রত্যায় গ্রহন করার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন,

‘প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কাছে নিজ নিজ কাজের জন্য দায়ী, তাই সবাইকেই নিজ নিজ দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করতে হবে এবং এর মাধ্যমেই সাস্টেইনেবল গোল অর্জন করা সম্ভব হবে। আমাদের জেনারেশন যেমন দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে, আমাদের পরবর্তী জেনারেশন চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশের উন্নয়নে এবং তোমরা তরুন জেনারেশন হিসেবে তোমাদের দায়িত্ব আরো বেশি’।

তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামাজিক উন্নয়নের প্রতিও জোর প্রদান করেন। তিনি বলেন,

‘’আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করা উচিৎ আমরা কোথায় আছি, কি করছি? আমাদের ভিন্নমত গ্রহনের মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে সহিংসতা, উগ্রবাদ ইত্যাদি কমে যাবে এবং সম্প্রীতি গড়ে উঠবে’’।

তরুন দের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,

‘তোমাদের ভাগ্য ভালো যে তোমরা একটি স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহন করেছো’’।

তিনি একটি ধর্ম নিরপেক্ষ, বৈষম্যহীণ দারিদ্রমুক্ত একটি দেশ গড়তে তরুনদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এন্টিটেররিজম ইউনিট ডিআইজি খন্দকার লুতফুল কবির। তিনি বলেন,

“জ্ঞান কে প্রজ্ঞায় পরিণত করতে হবে। সর্বপ্রথম আমাদের বাঙ্গালী হওয়া দরকার। সবার আগে অন্যকে ভালবাসার  সামর্থ বিবেচনা করতে হবে। সচেতন হলে শিক্ষিত হওয়া যায়। সেলফ মোটিভেশন এর মাধ্যমে লিডারশিপ তৈরী হওয়া সম্ভব। সময় থাকতেই অর্থ্যাৎ ১৫-২০ বছর থেকেই নিজের দেশ এর জন্য কিছু করতে হবে। বর্তমান সময়কে কাজে লাগিয়ে “এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার “ এই উক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তরুণদের অগ্রগতির সাহায্যে এটি করতে হবে। লিডারশিপ এর শিক্ষার মাধ্যমে আগাতে হবে। সমস্ত বিষয়ের মধ্যে মূল্যবোধ থাকতে হবে। আমাদের শুরু হয় লোকালভাবে। আমাদের চিন্তা থাকতে হবে বড় বিশ্ব দরবারে। নেতা হন প্রজ্ঞাবান পুরু। লিডারের কাজ হলো আসফলনকে কাজে রুপান্তর করা। অন্যের প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধি করতে হবে। কানেক্টিভিটি অনেক জরুরী। আস্থা অনেক জরুরী। আস্থার জায়গা তৈরী করতে হবে। নিজের সামর্থকে শ্রদ্ধা করতে পারলে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা এমনিতেই চলে আসবে। “

এছাড়া তিনি বিশেষভাবে স্মরণ করিয়ে দেন,

“leader is who know goes and shows এবং Be a change maker”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট মো শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন,

“যুবকদের মধ্যে সম্ভাবনার উপস্থিতি ১৫ বছর পরে খুজে পাওয়া যায়। এখন থেকে সময়কে কাজে লাগাতে হবে। যৌবন যার, তার যুদ্ধে যাওয়ার দিন। নিজের সাথেই নিজেকে যুদ্ধ করতে হবে। যা স্বপ্ন দেখেছেন অর্জন তার থেকে বেশি।”

তরুণদের সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনে আহবান জানান। শিক্ষা ও লিডারশিপে জোর প্রদান করেন। অন্য দেশের লোকজন কিভাবে উন্নত   হয়েছে তা দেখে অনুপ্রেরণা নিতে বলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন, Director of Smart Technology, মুজাহিদ আল বীরুনি সুজন। তিনি বলেন,

“তরুণদের নিয়ে কাজ করতে বিভিন্ন বাঁধা পাওয়া যায়, যা ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ সমাধান করে চলছ। পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম এর সাথে জড়িত থাকতে হয় এবং এ কার্যক্রম এর পাশাপাশি প্রয়োজন যোগাযোগ এর দক্ষতা বৃদ্ধি করা, যার সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যেই আয়োজন করা হয়েছে ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ সামিট ২০১৯।”

আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার কানবার হোসেইন বোর। তিনি তার বক্তব্য ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশর প্রশংসা করে বলেন,

“এরকম ইতিবাচক কাজে তরুণদের আর বেশি অংশগ্রহণ করা উচিত এবং এমন কাজে আমি সবসময়ই সাথে আছি।”

তিনি তরুণদের ইতিবচক কাজের জন্য অনুপ্রাণিত করেন এবং “মোরা ঝর্নার মতো উচ্ছল” গানটি উপস্থিত সদস্য বৃন্দদের সাথে সমস্বরে গেয়ে শুনান। এর মাধ্যমে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

সামিট চেয়ার হিসেবে ছিলেন “কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরামে”র সাধারন সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি, কো-চেয়ার হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ টুডে নিউজ এডিটর মো সাইফুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় পিপিডিএম কোওর্ডিনেটর মো.ফেরদৌস।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাগরিক টেলিভিশন এর সিইও ড. আবদুন নূর তুষার, ইপিবি এর সাবেক ডিজ়ি ফরিদুল হাসান , ড্যফোডিল গ্রুপ এর চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আগত অতিথিরা  ওয়াইসিবির এমন উদ্যোগ ও অংশগ্রহনকারীদের ভুয়সী প্রশংসা করেন।

চেঞ্জমেকার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ভবিষ্যতে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে শেষ হয় ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট ২০১৯।

ওয়াইসিবির সভাপতি আরিফিন রহমান হিমেল অনুষ্ঠানের সহযোগিতা সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এরকম আরো উদ্যোগ গ্রহনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য , এ আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফর পিস, ইয়ুথ ভিলেজ় বিডি, সিমুড ইভেন্টস, ক্লাব পার্টনার হিসেবে ছিল স্টাম্ফোর্ড ইউনিভার্সিটি ভলেন্টিয়ার্স ক্লাব, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সোসোলজি ক্লাব  ও লাইভ পার্টনার ছিল ইউ টিভি।