এনামুল হক ছোটন :
ময়মনসিংহের অন্যতম ও সবচেয়ে পুরাতন সেবা কেন্দ্র হলো সাঁকো মাদকাসক্ত পূর্নবাসন কেন্দ্র। সাঁকো মাদকাসক্ত পূর্নবাসন কেন্দ্রটি ময়মনসিংহের কাঠগোলা বাজার এলাকায় নূরানী মসজিদ সংলগ্ন, প্রতিষ্টানটি ২০০৪ ইং সালে ময়ময়সিংহে প্রথম মাদকাসক্ত পূর্নবাসন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠে।আর ময়মনসিংহের প্রথম মাদকাসক্ত পূর্নবাসন সেবা কেন্দ্র হিসেবে এর পরিচিত দক্ষ পরিচালক মোঃ মোশাররফ হোসেন শামীমের কর্মদক্ষতায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অনেক পরিবার তাদের অসহায় ও অত্যাচারী জীবন থেকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে, অনেক মাদকাসক্তরাও নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা শুরু করে এই মাদকাসক্ত পূর্নবাসন কেন্দ্রকে ঘিরে। সাঁকো মাদকাসক্ত পূর্নবাসন কেন্দ্র ছাড়া ময়মনসিংহে আর কোন পুর্নবাসন কেন্দ্র না থাকায় অনেক পরিবার ও মাদকাসক্তের পক্ষে ঢাকা মাদকাসক্ত পূর্নবাসন কেন্দ্র গিয়ে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা বা সেবা নেওয়া সম্ভব ছিলো না। তাই সকল পরিবার ও মাদকাসক্তদেরকে নতুন করে বাঁচার ও নতুন জীবন ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখায় মোশাররফ হোসেন শামীমের সাঁকো মাদকাসক্ত পূর্নবাসন কেন্দ্র। এটি শুধু একটি মাদকাসক্ত পূর্নবাসন কেন্দ্রই নয় এটি একটি মানবসেবা কেন্দ্র নামেও পরিচিত,পরিচালক শামীমের কর্মপ্রচেষ্টায় সাঁকো মাদকাসক্ত পূর্নবাসন কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ডাক্তার, নার্স এবং কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।
এখানে অবস্থানকারী রোগীদেরকে উন্নত মানের খাবারের পাশাপাশি, একজন ইমামের মাধ্যমে নামাজ এবং কুরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি এসি ব্যবস্থাসহ সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এছাড়া প্রতি ৩ মাস করে একটি কোর্স এবং বছরে প্রায় ৪ টি কোর্স পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে সব মিলিয়ে প্রায় ১০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০০ জন মাদকাসক্তকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রায় ৪০০ জন মাদকাসক্তকে পূর্নবাসন জীবনে ফিরে আনা সম্ভব হয়েছে ।পরিচালক মোঃ মোশারফ হোসেন শামীমের কর্মদক্ষতায় ময়মনসিংহে আজ এই প্রতিষ্ঠানটি মাদকাসক্ত পূর্নবাসন কেন্দ্রের সেবা প্রদানের দিক দিয়ে শিখরে অবস্থান করছে ।