Notice: Undefined index: custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/header.php on line 27
Dhaka 7:34 am, Monday, 2 October 2023

  • Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/page/header_design_two.php on line 68

খাদ্যশস্য নিয়ে বাংলাদেশের পথে ভারতীয় জাহাজ

  • Reporter Name
  • Update Time : 03:26:03 am, Monday, 7 February 2022
  • 3 Time View

ভারতের বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসামের পান্ডু পর্যন্ত নৌপথে পণ্যবাহী কার্গো ভেসেল বা পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। গত ০৫ ফেব্রুয়ারী, শনিবার, পাটনায় ভার্চ্যুয়ালি এই নৌ পরিষেবার উদ্বোধন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচলমন্ত্রী ও আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ভারতের এমভি লালবাহাদুর শাস্ত্রী নামের কার্গো ভেসেলের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় এ পরিষেবা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার নৌ প্রটোকল বা ‘প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ (পিআইডব্লিউটিটি)-এর আওতায় পাটনা থেকে দুই হাজার টন খাদ্যশস্য আসামে পাঠানো হচ্ছে।

প্রথম দিন এ কার্গো ভেসেলে ২০০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য নিয়ে পাটনা থেকে বাংলাদেশের নদীপথ হয়ে রওনা দিয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, অশ্বিনী কুমার চৌবে এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু ঠাকুর।

এ প্রসঙ্গে সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, “পাটনা থেকে পাণ্ডু পর্যন্ত এই নৌ চলাচলটি প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি জাতীয় মহাপরিকল্পনার একটি উদাহরণ যার লক্ষ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করার মাধ্যমে বিরামহীন পণ্য ও জন পরিবহণের জন্য একটি মাল্টি-মডেল সংযোগ তৈরি করা। অভ্যন্তরীণ জলপথ হল ভারতকে সংযুক্ত করার সর্বোত্তম, সবচেয়ে পরিবেশ-বান্ধব ও অর্থনৈতিকভাবে দক্ষ উপায়।”

তিনি আরও বলেন, “অভ্যন্তরীণ জলপথের গুণক প্রভাব নদীগুলোর দৃশ্যমান উপকূলের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। যখন পণ্য ও মানুষ ফেরি বা জাহাজে চলাচল করে, তখন এটি একটি পরিচর্যাকারী ইকোসিস্টেম তৈরি করতেও সাহায্য করে যা ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে সাথে বিভিন্ন পরিষেবা-চালিত অর্থনৈতিক কার্যকলাপের পরিধি বজায় রাখার পাশাপাশি সিমেন্ট ও স্টিলের মতো মধ্যবর্তী শিল্পগুলোকেও উপকৃত করে। কারিগরি খরচ কমাতে, ভারতীয় শিল্পকে প্রতিযোগিতামূলক করতে এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথগুলিকে একটি কার্যকর, উন্নয়নশীল পরিবহণ, বিশেষ করে পণ্য পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে মোদী সরকারের। অভ্যন্তরীণ নৌপথের নেটওয়ার্ক নদী, চ্যানেল, বদ্ধ জলাশয় ও খাঁড়ি মিলে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত।”

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “বিহারের পাটনা থেকে গুয়াহাটির পাণ্ডু পর্যন্ত জাহাজে প্রথমবার খাদ্য শস্য পরিবহন উত্তর-পূর্বের প্রবেশ দ্বারের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করবে। এর ফলে, উত্তর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দ্বার খুলে যাবে। ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটের উন্নয়নে ৩০৫ কোটি টাকার বাজেট সংস্থান করা হয়েছে। এ ছাড়াও উত্তর পূর্বাঞ্চলের পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে ভারত।”

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ট্রানজিট চুক্তি ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই ভারতকে এ সুবিধা দিয়ে আসছে। তবে এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে আসামের পাণ্ডুতে পণ্য পাঠাচ্ছে ভারত।

জানা গিয়েছে, পণ্যবাহী জাহাজটি মার্চের একেবারে প্রথম দিকে পৌঁছাবে আসামের রাজধানী গুয়াহাটির কাছের পান্ডু বন্দরে। এদিন অবশ্য কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচলমন্ত্রী বিহারের সারণের আন্তর্জাতিক নৌ টার্মিনালেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ বন্দর দিয়ে ভবিষ্যতে আরও যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের সুবিধা হবে। এর ফলে এ বন্দর নিয়ে বাংলাদেশেরও পণ্য আমদানি-রপ্তানির এক নতুন পথ খুলে যেতে পারে।

পিআইডব্লিউটিটির দ্বিতীয় সংশোধনী অনুযায়ী নতুন রুট ব্যবহার করে এমভি লালবাহাদুর শাস্ত্রী নামের কার্গো ভেসেলটি পাটনা থেকে গঙ্গা নদীতে যাত্রা শুরু করে ভাগলপুর, মণিহারি, সাহিবগঞ্জ, ফারাক্কা, ত্রিবেণী, কলকাতা, হলদিয়া হেমনগর হয়ে পণ্যবাহী জাহাজ ঢুকে পড়বে বাংলাদেশের খুলনায়।

সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ, চিলমারী হয়ে আসামের ধুবরী, যোগীখোপা হয়ে পৌঁছাবে পান্ডু। পথের দূরত্ব হবে ২ হাজার ৩৫০ কিলোমিটার। পৌঁছাতে সময় লাগবে ২৫ দিন। এর মাঝে জাহাজটি পাটনা থেকে বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছাবে ৮-৯ দিন পরে। নৌযানটি সম্ভাব্য পাঁচ দিনে চিলমারী হয়ে বাংলাদেশের জলসীমা ছেড়ে যাবে।

উল্লেখ্য, দুই দেশের ট্রানজিট ট্রান্সশিপমেন্ট ১৯৭২ সালে শুরু হলেও ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে পিআইডব্লিউটিটি নবায়ন ও উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তির মাধ্যমে এটিকে আবার সক্রিয় করা হয়।

খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

 

Tag :

Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_two.php on line 177

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

Notice: Undefined index: footer_custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/footer.php on line 87

খাদ্যশস্য নিয়ে বাংলাদেশের পথে ভারতীয় জাহাজ

Update Time : 03:26:03 am, Monday, 7 February 2022

ভারতের বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসামের পান্ডু পর্যন্ত নৌপথে পণ্যবাহী কার্গো ভেসেল বা পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। গত ০৫ ফেব্রুয়ারী, শনিবার, পাটনায় ভার্চ্যুয়ালি এই নৌ পরিষেবার উদ্বোধন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচলমন্ত্রী ও আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ভারতের এমভি লালবাহাদুর শাস্ত্রী নামের কার্গো ভেসেলের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় এ পরিষেবা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার নৌ প্রটোকল বা ‘প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ (পিআইডব্লিউটিটি)-এর আওতায় পাটনা থেকে দুই হাজার টন খাদ্যশস্য আসামে পাঠানো হচ্ছে।

প্রথম দিন এ কার্গো ভেসেলে ২০০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য নিয়ে পাটনা থেকে বাংলাদেশের নদীপথ হয়ে রওনা দিয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, অশ্বিনী কুমার চৌবে এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু ঠাকুর।

এ প্রসঙ্গে সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, “পাটনা থেকে পাণ্ডু পর্যন্ত এই নৌ চলাচলটি প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি জাতীয় মহাপরিকল্পনার একটি উদাহরণ যার লক্ষ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করার মাধ্যমে বিরামহীন পণ্য ও জন পরিবহণের জন্য একটি মাল্টি-মডেল সংযোগ তৈরি করা। অভ্যন্তরীণ জলপথ হল ভারতকে সংযুক্ত করার সর্বোত্তম, সবচেয়ে পরিবেশ-বান্ধব ও অর্থনৈতিকভাবে দক্ষ উপায়।”

তিনি আরও বলেন, “অভ্যন্তরীণ জলপথের গুণক প্রভাব নদীগুলোর দৃশ্যমান উপকূলের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। যখন পণ্য ও মানুষ ফেরি বা জাহাজে চলাচল করে, তখন এটি একটি পরিচর্যাকারী ইকোসিস্টেম তৈরি করতেও সাহায্য করে যা ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে সাথে বিভিন্ন পরিষেবা-চালিত অর্থনৈতিক কার্যকলাপের পরিধি বজায় রাখার পাশাপাশি সিমেন্ট ও স্টিলের মতো মধ্যবর্তী শিল্পগুলোকেও উপকৃত করে। কারিগরি খরচ কমাতে, ভারতীয় শিল্পকে প্রতিযোগিতামূলক করতে এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথগুলিকে একটি কার্যকর, উন্নয়নশীল পরিবহণ, বিশেষ করে পণ্য পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে মোদী সরকারের। অভ্যন্তরীণ নৌপথের নেটওয়ার্ক নদী, চ্যানেল, বদ্ধ জলাশয় ও খাঁড়ি মিলে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত।”

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “বিহারের পাটনা থেকে গুয়াহাটির পাণ্ডু পর্যন্ত জাহাজে প্রথমবার খাদ্য শস্য পরিবহন উত্তর-পূর্বের প্রবেশ দ্বারের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করবে। এর ফলে, উত্তর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দ্বার খুলে যাবে। ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটের উন্নয়নে ৩০৫ কোটি টাকার বাজেট সংস্থান করা হয়েছে। এ ছাড়াও উত্তর পূর্বাঞ্চলের পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে ভারত।”

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ট্রানজিট চুক্তি ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই ভারতকে এ সুবিধা দিয়ে আসছে। তবে এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে আসামের পাণ্ডুতে পণ্য পাঠাচ্ছে ভারত।

জানা গিয়েছে, পণ্যবাহী জাহাজটি মার্চের একেবারে প্রথম দিকে পৌঁছাবে আসামের রাজধানী গুয়াহাটির কাছের পান্ডু বন্দরে। এদিন অবশ্য কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচলমন্ত্রী বিহারের সারণের আন্তর্জাতিক নৌ টার্মিনালেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ বন্দর দিয়ে ভবিষ্যতে আরও যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের সুবিধা হবে। এর ফলে এ বন্দর নিয়ে বাংলাদেশেরও পণ্য আমদানি-রপ্তানির এক নতুন পথ খুলে যেতে পারে।

পিআইডব্লিউটিটির দ্বিতীয় সংশোধনী অনুযায়ী নতুন রুট ব্যবহার করে এমভি লালবাহাদুর শাস্ত্রী নামের কার্গো ভেসেলটি পাটনা থেকে গঙ্গা নদীতে যাত্রা শুরু করে ভাগলপুর, মণিহারি, সাহিবগঞ্জ, ফারাক্কা, ত্রিবেণী, কলকাতা, হলদিয়া হেমনগর হয়ে পণ্যবাহী জাহাজ ঢুকে পড়বে বাংলাদেশের খুলনায়।

সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ, চিলমারী হয়ে আসামের ধুবরী, যোগীখোপা হয়ে পৌঁছাবে পান্ডু। পথের দূরত্ব হবে ২ হাজার ৩৫০ কিলোমিটার। পৌঁছাতে সময় লাগবে ২৫ দিন। এর মাঝে জাহাজটি পাটনা থেকে বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছাবে ৮-৯ দিন পরে। নৌযানটি সম্ভাব্য পাঁচ দিনে চিলমারী হয়ে বাংলাদেশের জলসীমা ছেড়ে যাবে।

উল্লেখ্য, দুই দেশের ট্রানজিট ট্রান্সশিপমেন্ট ১৯৭২ সালে শুরু হলেও ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে পিআইডব্লিউটিটি নবায়ন ও উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তির মাধ্যমে এটিকে আবার সক্রিয় করা হয়।

খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক