ইরাকের রাজধানী বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস কম্পাউন্ডে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। সম্প্রতি ইরাকে মার্কিন বিমান হামলার প্রতিবাদে ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢল নামে মানুষের। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ স্লোগান দেয়। আগুন ধরিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ও দূতাবাসের দেয়ালে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলায় উস্কানি দেয়ার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন।
রোববার ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে মিলিশিয়াদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালায়, তাতে অন্তত ২৫ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছিলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা কিরকুকে ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলার জবাব দিয়েছে, যে হামলায় একজন মার্কিন বেসামরিক ঠিকাদার নিহত হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, মঙ্গলবার তাদেরই শেষকৃত্য হচ্ছিলো বাগদাদে। আর সেখান থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটে।
বড় ধরনের বিক্ষোভটি সহিংসতার দিকে অগ্রসর হলেও নিরাপত্তা বাহিনীকে কোনও অভিযান চালাতে দেখা যায়নি। এমনকি দূতাবাস অভিমুখে আসা মিছিলে কোনও প্রতিবন্ধকতাও তৈরি করেনি সরকারি বাহিনী। যদিও ইতোপূর্বে স্পর্শকাতর কূটনৈতিক এলাকায় কোনও আন্দোলনকারীকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।
আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ কয়েকজন সিনিয়র মিলিশিয়া ও প্যারামিলিটারি নেতা হাজার হাজার শোকাহত মানুষের সঙ্গে হেঁটে ইরাকের গ্রিন জোনের দিকে যান। ওই এলাকায়ই ইরাকের অধিকাংশ সরকারি অফিস ও বিদেশি দূতাবাস অবস্থিত।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইটে লিখেছেন, ইরান আমেরিকান ঠিকাদারকে খুন করেছে। বহু মানুষকে আহত করেছে। আমরা শক্ত জবাব দেব। এখন ইরান দূতাবাসে হামলার ঘটনা সংগঠিত করেছে। তাদেরকে এজন্য জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে আশা করি ইরাক দূতাবাস সুরক্ষায় তার ফোর্স ব্যবহার করবে।