Dhaka 2:24 pm, Thursday, 30 November 2023

  • Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/page/header_design_two.php on line 68

তীব্র আন্দোলনের মুখে গরম মোদির নরম সুর

  • Reporter Name
  • Update Time : 02:23:11 pm, Sunday, 22 December 2019
  • 18 Time View

নিউজ ডেস্ক:

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা নিয়ে বিরোধী দল কংগ্রেস মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ এনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেছেন, ভারতে কোনো বন্দিশিবির নেই এবং কোনো মুসলিমকে আটক করা হচ্ছে না।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপির প্রচারণায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মোদি বলেন, কংগ্রেস এবং তাদের মিত্ররা-কিছু কিছু শহুরে নকশালপন্থী গুজব ছড়াচ্ছে যে, সব মুসলিমকে বন্দিশিবিরে পাঠানো হবে। কমপক্ষে আপনাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল্যায়ন করুন…অন্তত এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি পড়ুন। এটা মিথ্যাচার এবং তারা জাতিকে বিভক্ত করছে।

যারা এই দেশের মাটির মুসলিম, তাদের সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির কোনো সম্পর্ক নেই। দেশের কোনো মুসলমানকে বন্দিশিবিরে পাঠানো হচ্ছে না। এমনকি এই দেশে কোনো বন্দিশিবির নেই। এটা ডাহা মিথ্যাচার।

দেশের তরুণদের নাগরিকত্ব আইন পুরোপুরি পড়তে এবং গুজবের কাছে আত্মসমর্পণ না করার আহ্বান জানান নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, এটা অবাক করার মতো বিষয় যে, এ ধরনের গুজবও ছড়ানো হচ্ছে।

ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংশোধনী আইন কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেবে না। এটা শুধু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে; যারা কয়েক বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং এ আইনে কোনো শরণার্থীই উপকৃত হবেন না।

ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী সরকার গত ১১ ডিসেম্বর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাসের পর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ২০১৪ সালে দেশটিতে ক্ষমতায় আসার পর এমন তীব্র বিক্ষোভ এবং বিরোধিতার মুখে প্রথমবারের মতো পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পার্সি এবং জৈন সম্প্রদায়ের সদস্যরা সে দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে এ আইনে মুসলিম শরণার্থীদের ব্যাপারে একই ধরনের বিধান রাখা হয়নি।

সমালোচকরা বলেছেন, ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ভারতে বিভাজন তৈরি করতে এ নতুন নাগরিকত্ব আইন তৈরি করেছে, যা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে।

বিতর্কিত এ আইনে মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে কিছু না বলায় ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তবে বিক্ষোভের দাবানল বেশি ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে। বৃহস্পতিবার দেশটির বৃহৎ ১৩টি শহরে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা তীব্র বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ।

দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার বিক্ষোভকারীদের দমনে নিষ্ঠুর পন্থা বেছে নেয়ায় শুক্রবার কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধী তীব্র নিন্দা জানান। দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে মানুষের মতামতকে চরম অবজ্ঞা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সোনিয়া গান্ধী বলেন, বিজেপি সরকার ভিন্নমত প্রকাশে বাধা দিতে নিষ্ঠুর পন্থা বেছে নিয়েছে। গণতান্ত্রিক একটি দেশে যা গ্রহণযোগ্য নয়।

Tag :

Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_two.php on line 177

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Choton Mia

Popular Post

Notice: Undefined index: footer_custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/footer.php on line 87

তীব্র আন্দোলনের মুখে গরম মোদির নরম সুর

Update Time : 02:23:11 pm, Sunday, 22 December 2019

নিউজ ডেস্ক:

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা নিয়ে বিরোধী দল কংগ্রেস মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ এনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেছেন, ভারতে কোনো বন্দিশিবির নেই এবং কোনো মুসলিমকে আটক করা হচ্ছে না।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপির প্রচারণায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মোদি বলেন, কংগ্রেস এবং তাদের মিত্ররা-কিছু কিছু শহুরে নকশালপন্থী গুজব ছড়াচ্ছে যে, সব মুসলিমকে বন্দিশিবিরে পাঠানো হবে। কমপক্ষে আপনাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল্যায়ন করুন…অন্তত এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি পড়ুন। এটা মিথ্যাচার এবং তারা জাতিকে বিভক্ত করছে।

যারা এই দেশের মাটির মুসলিম, তাদের সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির কোনো সম্পর্ক নেই। দেশের কোনো মুসলমানকে বন্দিশিবিরে পাঠানো হচ্ছে না। এমনকি এই দেশে কোনো বন্দিশিবির নেই। এটা ডাহা মিথ্যাচার।

দেশের তরুণদের নাগরিকত্ব আইন পুরোপুরি পড়তে এবং গুজবের কাছে আত্মসমর্পণ না করার আহ্বান জানান নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, এটা অবাক করার মতো বিষয় যে, এ ধরনের গুজবও ছড়ানো হচ্ছে।

ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংশোধনী আইন কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেবে না। এটা শুধু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে; যারা কয়েক বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং এ আইনে কোনো শরণার্থীই উপকৃত হবেন না।

ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী সরকার গত ১১ ডিসেম্বর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাসের পর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ২০১৪ সালে দেশটিতে ক্ষমতায় আসার পর এমন তীব্র বিক্ষোভ এবং বিরোধিতার মুখে প্রথমবারের মতো পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পার্সি এবং জৈন সম্প্রদায়ের সদস্যরা সে দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে এ আইনে মুসলিম শরণার্থীদের ব্যাপারে একই ধরনের বিধান রাখা হয়নি।

সমালোচকরা বলেছেন, ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ভারতে বিভাজন তৈরি করতে এ নতুন নাগরিকত্ব আইন তৈরি করেছে, যা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে।

বিতর্কিত এ আইনে মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে কিছু না বলায় ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তবে বিক্ষোভের দাবানল বেশি ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে। বৃহস্পতিবার দেশটির বৃহৎ ১৩টি শহরে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা তীব্র বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ।

দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার বিক্ষোভকারীদের দমনে নিষ্ঠুর পন্থা বেছে নেয়ায় শুক্রবার কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধী তীব্র নিন্দা জানান। দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে মানুষের মতামতকে চরম অবজ্ঞা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সোনিয়া গান্ধী বলেন, বিজেপি সরকার ভিন্নমত প্রকাশে বাধা দিতে নিষ্ঠুর পন্থা বেছে নিয়েছে। গণতান্ত্রিক একটি দেশে যা গ্রহণযোগ্য নয়।