
তামিলনাড়ু উপকূল থেকে ১৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরে আটকে পড়া ৩৬ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনল নৌসেনার জাহাজ ‘খঞ্জর’৷ মাছ ধরার মোট তিনটি ট্রলার বঙ্গোপসাগরে আটকে পড়েছিল৷ সেই ট্রলারগুলিকে ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময়ের চেষ্টায় সফলভাবে উপকূলে টেনে নিয়ে আসে আইএনএস খঞ্জর৷ জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের গভীরে উত্তাল সমুদ্রে ফেঁসে যায় ট্রলারগুলি৷ উত্তাল সমুদ্রে ট্রলার তিনটিকে চিহ্নিত করে আইএনএস খঞ্জর৷ এর পর সেগুলিকে উদ্ধারের কাজে নামে৷
ভারতীয় নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, শবরীনাথ, কালাবণী ও ভি স্বামী নামে তিনটি ট্রলার উত্তরপ্রদেশের নাগাপত্তিনম উপকূল থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে বেরোয়৷ তিনটি ট্রলারে মোট ৩৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন৷ কিন্তু, গভীর সমুদ্রে হঠাৎই সামুদ্রিক ঝড়ের মধ্যে পড়ে ট্রলারগুলি৷ সমুদ্র উত্তাল থাকায় সেগুলির ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়৷ এই পরিস্থিতিতে উপকূলে খবর দেওয়া হয় ট্রলার থেকে৷ সেই মতো উপকূল রক্ষায় মোতায়েন আইএনএস খঞ্জর ট্রলার থেকে আসা বিপদ বার্তা গ্রহণ করে৷ কঠিন পরিস্থিতি হওয়া সত্ত্বেও উদ্ধার কাজে নামে আইএনএস খঞ্জর৷
জানা গিয়েছে, খারাপ আবহাওয়া এবং উত্তাল সমুদ্রের মধ্যে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে আটকে ছিলেন৷ তার মধ্যে ট্রলারের জ্বালানি এবং অন্যান্য সামগ্রী ফুরিয়ে গিয়েছিল৷ আর সেই সবের মধ্যে সামুদ্রিক ঝড়ের কারণে ট্রলারের ইঞ্জিন ভেঙে গিয়েছিল৷ ফলে উপকূলে ফিরে আসার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না মৎস্যজীবীদের৷ এই পরিস্থিতিতে ৩৬ জনকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামে আইএনএস খঞ্জর৷ ট্রলারের অবস্থান নিশ্চিত করে সেখানে পৌঁছায় নৌসেনার জাহাজ৷
ট্রলারে উপস্থিত মৎস্যজীবীদের খাবার ও জল-সহ প্রয়োজনী সামগ্রী সরবরাহ করে নৌসেনা৷ এর পর তিনটি ট্রলারকে ‘খঞ্জর’-এর সঙ্গে টেনে ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উপকূলে আনা হয়৷ গতকাল রাতে ৩ টি ট্রলারকে নিয়ে নিরাপদে চেন্নাইয়ের হারবার বন্দরে পৌঁছয় আইএনএস খঞ্জর৷ এই আইএনএস খঞ্জর দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি খুকরি শ্রেণির কোর্ভেট, যা বর্তমানে ভারতীয় নৌসেনার হয়ে কাজ করছে৷ খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক