
ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে আজ, মঙ্গলবারই দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনদিনের এই সফরে ১৫ তম ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ব্রিকস-ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠকও করবেন তিনি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লি ছাড়ার আগে পিএমও অফিসের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “জোহানেসবার্গে উপস্থিত রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার ব্যাপারে আমি উন্মুখ।”
বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিনয় কোয়াতরা জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিকস সম্মেলন ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সূচি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ব্রিকস-ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পৃথকভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
মূলত, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক প্রসার ঘটাতে এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর ইস্যু নিয়ে মধ্যে ব্রাজিল, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে সেই তালিকায় চিনের প্রেসিডেন্টও থাকছেন কিনা তা স্পষ্ট করেননি বিদেশ সচিব। তবে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হচ্ছে কিনা তা জানা না গেলেও ব্রিকস সামিটে যে দুই রাষ্ট্রপ্রধান মুখোমুখি হচ্ছেন সেটা স্পষ্ট।
তবে যদি এবার চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়, তাহলে ২০২০-র মে মাসে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা হওয়ার পর এটাই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে প্রথম বৈঠক হবে।
ব্রিকস সামিট শেষে ২৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গ্রিস সফরে যাবেন। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই সেখানে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে আমন্ত্রণ রক্ষার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর গ্রিস সফরে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক