
ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বে গোয়ায় তিন দিনের সুপ্রিম অডিট ইনস্টিটিউশনস – এসএআই-২০ শীর্ষ সম্মেলন সোমবার শুরু হয়েছে। চলবে বুধবার পর্যন্ত। আয়োজন করছে ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল – ক্যাগ। জি-২০ সদস্য দেশগুলির অডিট সংস্থার একটি গোষ্ঠী হল সাই।
আগামীকাল সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন ক্যাগ গিরিশ চন্দ্র মুর্মু। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, সৌদি আরব, তুর্কি, বাংলাদেশ সহ বেশ কিছু দেশের অডিট গোষ্ঠী ছাড়াও আমন্ত্রিত দেশ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবর্গ এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে। এতে মূলত সমুদ্র অর্থনীতি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বশীল ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এর আগে সোমবার (১২ জুন) থেকে বারাণসীতে জি২০ গোষ্ঠীর ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টারদের সম্মেলনও শুরু হয়েছে। ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এই সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানেই তিনি তথ্য বন্টনের ক্ষেত্রে কোনও দেশ বা গোষ্ঠীর মধ্যে যাতে বিভাজন না থাকে, তার জন্য প্রযুক্তির গণতন্ত্রীকরণের আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে ডিজিটালাইজেশন। মিত্র দেশগুলির সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে ইচ্ছুক ভারত। একইসঙ্গে, অভাবী দেশগুলির যাতে প্রয়োজনের সময় অর্থ সহায়তার অভাব না হয়, তার জন্য বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কার করার, তাদের যোগ্যতার মাপকাঠিগুলি আরও প্রসারিত করার উপরও জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তথ্য বন্টনের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ক্রমে বিভাজন বাড়ছে। জি২০ গোষ্ঠীর ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টারদের সামনে তিনি বলেন, সরকারি নীতি-নির্ধারণ এবং দক্ষতার সঙ্গে জন পরিষেবা দানের ক্ষেত্রে তথ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, ভারতে প্রায় ১০০-রও বেশি অনুন্নত জেলা ছিল। এই জেলাগুলিতে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে ডিজিটালাইজশন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক