
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে যোগাসন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই বললেন, যোগাসনের কোনও কপিরাইট নেই, সবাইকে একত্রিত করার এক উপায়। যোগাসনের মাধ্যমেই সুস্থ ভাবে আনন্দের সঙ্গে বেঁচে থাকা যায়। ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ হলেও যোগ আসলে আন্তর্জাতিক। বিশ্বব্যাপী ঐক্য গড়ে তুলতে যোগাসনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আগেই জানা গিয়েছিল, আমেরিকা সফরে গিয়েই যোগ দিবস পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পূর্ব পরিকল্পনা মতোই ২১ জুন সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত, এক ঘণ্টা রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরের উত্তরের লনে এই বিশেষ যোগ অধিবেশন হয়। এই প্রথমবার রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে যোগ অধিবেশনের নেতৃত্ব দিলেন মোদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজও। স্বতঃস্ফুর্তভাবেই যোগের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন বহু মানুষ।
রাষ্ট্রসংঘের ১৮০টি সদস্য দেশের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে কূটনীতিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ- সকলেই যোগ অধিবেশনে যোগ দেন। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষ আধিকারিকরাও মোদীর নেতৃত্বে যোগাভ্যাস করেন। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম তুলে ফেলল এই অধিবেশন। একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি দেশের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন, সেই নজির গড়ল রাষ্ট্রসংঘের যোগ অধিবেশন। প্রসঙ্গত, ৯ বছর আগে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা থেকেই ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসাবে ঘোষণা করার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
যোগাসনের পরেই বিশেষ বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, ভারতে উৎপত্তি হলেও যোগার কোনও সীমানা নেই। কপিরাইট, পেটেন্ট, রয়্যালটি-যাবতীয় জটিলতার উর্ধ্বে যোগের স্থান। বয়স, লিঙ্গ নির্বিশেষেই যোগে অংশ নেওয়া যায়। আজ যোগাসনের টানেই সারা বিশ্ব একত্রিত হয়েছে। শুধু নিজেকে সুস্থ রাখতেই যোগের প্রয়োজন এমনটা নয়, অন্যের প্রতি যত্ন নিতেও শেখায় যোগাসন। বন্ধুত্বের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তুলতে; সুন্দর-সবুজ পৃথিবী বানাতেও যোগাসনের ভূমিকা রয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক