শিক্ষায় সম্পর্কোন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রকে মোদীর ৫ প্রস্তাব

শিক্ষায় সম্পর্কোন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রকে মোদীর ৫ প্রস্তাব

মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের নিন্দায় সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসবাদকে মানবতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেন করেন তিনি। যৌথ অধিবেশনের মঞ্চ থেকে আগ্রাসন নিয়ে নাম না করে চিনকে বিঁধতেও ছাড়লেন না নমো।

মার্কিন যৌথ অধিবেশনে প্রায় ৬০ মিনিটের ভাষণে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বেশি সময় খরচ করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত যে সন্ত্রাসবাদের শিকার, তা তুলে ধরে ৯/১১ এবং ২৬/১১ মুম্বই হামলার ঘটনা তুলে ধরেন। এই দুই ঘটনার বেশ কয়েক দশক কেটে গেলেও, উগ্রপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে করছেন তিনিু।

বর্তমানে সন্ত্রাসবাদ মানবতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্ত দেশকে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে আসার জন্য আবেদন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে চিনকে নিশানা করতে ছাড়েননি নমো।

তিনি বলেন, সে কোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও যে ভাবে অন্যদেশের সীমানা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার উপর সওয়াল করেন মোদী। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তাঁর মতে, এই অঞ্চলে তৈরি হয়েছে সংঘর্ষের আবহ। স্থিতিশীলতা বজায় রাখাই ভারত ও আমেরিকার কাছে একমাত্র উদ্দেশ্য বলে স্পষ্ট করে দেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে লাদাখে চিনা আগ্রাসন ঘটে। সেই সময় দুই দেশের সেনা সংঘর্ষে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। চিনা আগ্রাসনের প্রতিবাদে সরব হয়েছিল নয়াদিল্লি।

এরপরেই সীমান্ত সমস্যা মেটাতে দুই দেশের সেনা পর্যায়ে হয় বেশ কয়েকটি বৈঠক। কয়েকটি ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হলেও, এখন রয়ে গেছে সমস্যা। চলতি বছরের প্রথম দিকে অরুণাচলে বেশ কয়েকটি স্থানের নাম পরিবর্তন করে নিজেদের বলে দাবি করেছিল বেজিং। নয়াদিল্লির পাশাপাশি ঘটনার নিন্দা করেছিল আমেরিকাও। এটা আগ্রাসনের মনোভাব বলে সেই সময় হোয়াইট হাউসের তরফে দেওয়া হয়েছিল বার্তা।

সম্প্রতি, মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী লস্কর সদস্য সাজিদ মির-কে ‘আন্তজার্তিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রসংঘে ভারত-মার্কিন যৌথ প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবের উপর ভেটো প্রয়োগ করে চিন। সেই ঘটনার পরেই নাম না করে প্রধানমন্ত্রীর বেজিংকে নিশানা যতেষ্ট ইঙ্গিপূর্ণ বলে মনে করেছেন কূটনীতি মহল। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল প্রকাশ করা হবে না।

*