এসসিও-তে সড়কের মানোন্নয়নের বার্তা ভারতের

এসসিও-তে সড়কের মানোন্নয়নের বার্তা ভারতের

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়তে হবে, এসসিও বৈঠকে এমনই বার্তা দিলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শুক্রবার দিল্লিতে শুরু হয়েছে এসসিও সদস্যভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন। ভারচুয়ালি সেখানে যোগ দেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসদমন প্রসঙ্গে নাম না করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন রাজনাথ।

শুক্রবার বৈঠকের শুরুতেই সভাপতির ভাষণ দেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেখানে বলেন, “সন্ত্রাস দমন করতে গেলে সদস্য দেশগুলিকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে এখন নিজেদের আদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। এমনকি অর্থ সংগ্রহের জন্য সাধারণ মানুষের থেকে চাঁদাও তুলছে তারা। এসসিওকে যদি শক্তিশালী করে তুলতে হয়, তাহলে সমস্ত দেশগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই দেখা গিয়েছিল পেশোয়ারে চাঁদা তুলছে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ। এছাড়াও পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও জঙ্গিদের চাঁদা তুলতে দেখা গিয়েছে। আগেও একাধিকবার নানা জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এবার এসসিওর মঞ্চে সেই বিষয়টি তুলে ধরা হল ভারতের তরফে। নাম না করে পাকিস্তানের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এবার এসসিও দেশগুলিকে একজোট হওয়ার বার্তা দিলেন রাজনাথ।

বৈঠকের পরে টুইট করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “নিজেদের চিন্তাভাবনাগুলি সকলের সামনে তুলে ধরতে এসসিও এক আদর্শ মঞ্চ। সদস্য দেশগুলি কী ধরনের সমস্যার মধ্যে রয়েছে, তাও আলোচনা করা যায়। আগামী দিনের সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যেতে পারে, সেই মতামত পেশ করা যায় এই মঞ্চে।”

এদিকে, পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে সংঘর্ষের পর প্রথম মুখোমুখি বৈঠক করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল লি শাংফু। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’দিন দিল্লিতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিমন্ত্রীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লিতে এসেছেন লি। সম্মেলনের এক ফাঁকে ভারত ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পার্শ্ববৈঠকে বসেন।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজনাথ চীনা মন্ত্রী লিকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে থাকা চুক্তি এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার যাবতীয় জট ছাড়াতে হবে। সেই চুক্তি লঙ্ঘন গোটা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত নষ্ট করে দেবে। সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতির ওপরই নির্ভর করছে ভারত-চীন সম্পর্ক। এ ছাড়া সেনা পিছানোর পরই নিয়ম অনুযায়ী সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল প্রকাশ করা হবে না।

*