Notice: Undefined index: custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/header.php on line 27
Dhaka 7:08 am, Monday, 2 October 2023

  • Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/page/header_design_two.php on line 68

শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিকের অঙ্গীকার ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:30:54 pm, Wednesday, 1 February 2023
  • 4 Time View

ভারতের সঙ্গে নতুন এক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশা করছেন এর মধ্য দিয়ে চীনের সামরিক সরঞ্জাম, সেমিকন্ডাক্টর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিরুদ্ধে দুই দেশ শক্ত প্রতিযোগিতা গড়ে তুলবে। এ জন্য চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডকে টক্কর দিতে পশ্চিমা মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ককে অধিক হারে ভারতীয় উপমহাদেশে দায়িত্ব দেবে ওয়াশিংটন। পক্ষান্তরে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানানো হবে ভারতীয় অধিক পরিমাণ কম্পিউটার চিপস স্পেশালিস্টদের। আর্টিলারি সিস্টেমের মতো সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে দুই দেশের কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করা হবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিটি দিক থেকেই সমস্যার মুখে। সেখানে সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ইমিগ্রেশন কর্মীদের জন্য ভিসার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আছে। অন্যদিকে সামরিক হার্ডওয়ারের জন্য মস্কোর ওপর দীর্ঘদিন ধরে নির্ভরশীল ভারত। এসব সমস্যাকে সামনে রেখে ইউএস-ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিক্যাল এন্ড ইমার্জিং টেকনোলজি বিষয়ক এক পদক্ষেপের শুরু করতে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে আলোচনায় বসার কথা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের।

তার আগে জ্যাক সুলিভান বলেছেন, চীন যেসব বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তার মধ্যে আছে তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, আগ্রাসী সামরিক অবস্থান, ভবিষ্যতের শিল্পকারখানায় তারা আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, সাপ্লাই চেইনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এটা নিয়ে ভারতের বড় করে ভাবার আছে।

এটা হচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ পুরো গণতান্ত্রিক বিশ্বে তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল। এর বিরুদ্ধে দুই নেতা কৌশলগত অবস্থান নিতে চান। যাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে গভীর ‘ইকোসিস্টেম’ গড়ে ওঠে। এতে দুই দেশের কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত স্বার্থ হাসিল হবে।

তবে রাশিয়ার সামরিক চর্চার সঙ্গে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে হতাশ করেছে নয়াদিল্লি। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা দেয়া সত্ত্বেও সেখান থেকে অশোধিত তেল ক্রমবর্ধমান হারে কিনছে ভারত। এর মধ্য দিয়ে ওই যুদ্ধে রাশিয়াকে অর্থের সংস্থান দেয়া হচ্ছে। সোমবার চেম্বার অব কমার্সের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সুলিভান ও অজিত দোভাল। এতে উপস্থিত ছিলেন লকহিড মার্টিন করপোরেশন, আদানি এন্টারপ্রাইজেস এবং অ্যাপ্লাইড ম্যাটেরিয়ালস ইনকরপোরেশনের নেতৃবৃন্দ।

জো বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ভারত। এটা হলো সাপ্লাই চেইন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি এবং দুর্নীতি বিরোধী একটি প্রকল্প। তা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের বাণিজ্য বিষয়ক সমঝোতায় যোগ দেয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত। এই নতুন উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত স্পেস এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে জেট ইঞ্জিন তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি। বিষয়টি হোয়াইট হাউজের রিভিউয়ের অধীনে রয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

Tag :

Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_two.php on line 177

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

Notice: Undefined index: footer_custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/footer.php on line 87

শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিকের অঙ্গীকার ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের

Update Time : 01:30:54 pm, Wednesday, 1 February 2023

ভারতের সঙ্গে নতুন এক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশা করছেন এর মধ্য দিয়ে চীনের সামরিক সরঞ্জাম, সেমিকন্ডাক্টর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিরুদ্ধে দুই দেশ শক্ত প্রতিযোগিতা গড়ে তুলবে। এ জন্য চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডকে টক্কর দিতে পশ্চিমা মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ককে অধিক হারে ভারতীয় উপমহাদেশে দায়িত্ব দেবে ওয়াশিংটন। পক্ষান্তরে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানানো হবে ভারতীয় অধিক পরিমাণ কম্পিউটার চিপস স্পেশালিস্টদের। আর্টিলারি সিস্টেমের মতো সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে দুই দেশের কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করা হবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিটি দিক থেকেই সমস্যার মুখে। সেখানে সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ইমিগ্রেশন কর্মীদের জন্য ভিসার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আছে। অন্যদিকে সামরিক হার্ডওয়ারের জন্য মস্কোর ওপর দীর্ঘদিন ধরে নির্ভরশীল ভারত। এসব সমস্যাকে সামনে রেখে ইউএস-ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিক্যাল এন্ড ইমার্জিং টেকনোলজি বিষয়ক এক পদক্ষেপের শুরু করতে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে আলোচনায় বসার কথা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের।

তার আগে জ্যাক সুলিভান বলেছেন, চীন যেসব বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তার মধ্যে আছে তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, আগ্রাসী সামরিক অবস্থান, ভবিষ্যতের শিল্পকারখানায় তারা আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, সাপ্লাই চেইনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এটা নিয়ে ভারতের বড় করে ভাবার আছে।

এটা হচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ পুরো গণতান্ত্রিক বিশ্বে তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল। এর বিরুদ্ধে দুই নেতা কৌশলগত অবস্থান নিতে চান। যাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে গভীর ‘ইকোসিস্টেম’ গড়ে ওঠে। এতে দুই দেশের কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত স্বার্থ হাসিল হবে।

তবে রাশিয়ার সামরিক চর্চার সঙ্গে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে হতাশ করেছে নয়াদিল্লি। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা দেয়া সত্ত্বেও সেখান থেকে অশোধিত তেল ক্রমবর্ধমান হারে কিনছে ভারত। এর মধ্য দিয়ে ওই যুদ্ধে রাশিয়াকে অর্থের সংস্থান দেয়া হচ্ছে। সোমবার চেম্বার অব কমার্সের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সুলিভান ও অজিত দোভাল। এতে উপস্থিত ছিলেন লকহিড মার্টিন করপোরেশন, আদানি এন্টারপ্রাইজেস এবং অ্যাপ্লাইড ম্যাটেরিয়ালস ইনকরপোরেশনের নেতৃবৃন্দ।

জো বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ভারত। এটা হলো সাপ্লাই চেইন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি এবং দুর্নীতি বিরোধী একটি প্রকল্প। তা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের বাণিজ্য বিষয়ক সমঝোতায় যোগ দেয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত। এই নতুন উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত স্পেস এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে জেট ইঞ্জিন তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি। বিষয়টি হোয়াইট হাউজের রিভিউয়ের অধীনে রয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক