
ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব ক্রমাগত মজবুত ও গভীর হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার, ফরাসি রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক উপদেষ্টা ইমানুয়েল বোনের সাথে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
পরবর্তীতে এক টুইটবার্তায় মোদী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কূটনৈতিক উপদেষ্টা মিঃ ইমানুয়েল বোনের সাথে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে, যেখানে প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সংস্কৃতি পর্যন্ত বিস্তৃত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি আনন্দিত যে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর হচ্ছে। আমার ফরাসী রাষ্ট্রপতি বন্ধুকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”
এ বৈঠকের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, বোনের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক সহ কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। অন্যদিকে, ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকে স্বাগত জানিয়েছে ফ্রান্স।
এর আগে, বৃহস্পতিবার, নয়াদিল্লীতে, উভয় রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র কর্তাদের মধ্যকার ৩৬তম কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে, নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক অবস্থার পর্যালোচনা করেন প্রতিনিধিগণ।
বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং ফরাসি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোর কূটনৈতিক উপদেষ্টা ইমানুয়েল বোনে। এর আগে সর্বশেষ, ২০২১ সালের নভেম্বরে প্যারিসে দু দেশের মধ্যকার কৌশলগত সংলাপ আয়োজিত হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত অংশীদারিত্ব ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুত এবং সংস্কারকৃত ও কার্যকর বহুপাক্ষিকতাবাদ দ্বারা আকৃতির বহুমুখী বিশ্বে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে তৈরী।
ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, উভয় পক্ষ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দু দেশের ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব- প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ, স্বাস্থ্য এবং স্থায়িত্বকে অন্তর্ভুক্ত করে। উপরন্তু, বাণিজ্য ও ব্যবসা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা রয়েছে ভারত ও ফ্রান্সের। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক