০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই বন্ধুর স্বপ্নের A.R. Tea Station

ফাহিম আহম্মেদ মন্ডল: বাঙালীর জীবনে ‘চা’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পানীয়। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি বিশেষ অংশ জুড়ে আছে ‘চা’। চা পান করা ছাড়া যেনো আমাদের অনেকের একটি দিনও ভাবা যায় না। বাসায় পরিবারের সঙ্গে কাটানো সুন্দর বিকেল, কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে টং দোকানের তর্ক-আড্ডা, অভিজাত রেস্টুরেন্টের বিজনেস মিটিং, অথবা যেকোনো অবসর, গ্রীষ্ম থেকে বসন্ত, চায়ের গুরুত্ব কখনোই কমার নয়।
চা এমন এক ধরনের সুস্বাদু পানীয়, যা আমাদের শরীরের ক্লান্তি কমিয়ে একধরনের প্রশান্তি আনতে সাহায্য করে। কিন্তু শুধুমাত্র প্রশান্তিই নয়, চা আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এসব ব্যাপারগুলোকেই একত্র করে “A.R Tea Station” নামে একটি চা’ পাতা সরবরাহ কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন দুই বন্ধু অর্পণ এবং রাতুল।
তরুণ দুই উদ্যোক্তা অর্পণ এবং রাতুল। সম্পূর্ণ নাম সাদমান ফাহিম অর্পণ এবং সামিউল আলম রাতুল। প্রথমজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ছেন ঢাকায় ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, দ্বিতীয়জন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কিশোর বয়স থেকেই দুজনের বন্ধুত্ব। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশন করিয়ে দিব্যি দিন কেটে যাচ্ছিলো তাঁদের, কিন্তু করোনার থাবা অন্য সবার মতো তাঁদের জীবনেও স্থবিরতা নিয়ে আসে। এই বন্ধকালীন অবসর সময়টা ঘরে বসেই কাটছিলো। কিন্তু কার্যত বেকার এবং অলস সময়টাতে বড্ড বেশিই হাপিয়ে উঠেছিলেন দুজন। তখনই মাথায় খেলে যায় এই চা সরবরাহ ব্যবসার চিন্তাটি।
কৃষি এবং প্রকৌশল, দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদেরই যেখানে পড়াশোনাতেই সারাদিন কেঁটে যায়, সেখানে ছাত্রাবস্থায় এই ধরণের সৃজনশীল ব্যবসায় জড়ানোর পেছনের গল্পটা শুনতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা হলো।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শাখা এবং চা সরবরাহের ব্যবসার দিকে অগ্রসর হবার বিষয়ে প্রশ্ন করতেই উত্তর দিলেন A.R Tea Station এর অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা সাদমান ফাহিম অর্পণ। তিনি বলেন,
“সকলেই জানেন, সিলেট বাংলাদেশের চা হাব। আমি ঢাকায় থাকি এবং রাতুল সিলেট। সে সুবাদে আমাদের আন্তঃ যোগাযোগের ব্যাপারটিও দারুণ সমন্বয় করা সম্ভব। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমরা যখন আমাদের ব্যবসার দিকে মন দেবো বলে ফিক্স করেছি, তখন শুরুতেই চা সরবরাহের ব্যবসার কথাই আমাদের মাথায় আসে।
আর আমাদের প্রধান শাখাটিও আমরা সিলেটে স্থাপন করেছি। এতে আমরা গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য পাবার এবং দেবার নিশ্চয়তা পাচ্ছি। আর আমরা সিলেটে প্রধান শাখা স্থাপনের পাশাপাশি ঢাকায়ও আরেকটি শাখা স্থাপন করেছি এবং এখান থেকেও আমরা বিভিন্ন জায়গায় সেল দিচ্ছি। সামনে দেশের সর্বত্র যেনো আমরা কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে পারি, সেজন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ।”
তাঁর কথার জের ধরেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম, “আপনারা চা কোথা থেকে সংগ্রহ করছেন এবং কেনোই বা আপনাদের চা মানুষ নিবে?”, এ প্রশ্নের জবাব দিলেন সামিউল আলম রাতুল। তাঁর ভাষ্যে,

“সিলেটের বিভিন্ন বাগানের সেরা চা -গুলোই আমরা সংগ্রহ করে থাকি। মানের দিক থেকে আমাদের চা বাজারের যে কোন চা থেকে অবশ্যই অনেক এগিয়ে থাকবে। আমরা শুরু থেকেই আমাদের পণ্যের কোয়ালিটির দিকে কড়া নজর দিচ্ছি। আজকাল প্রতিযোগিতার মার্কেট। ক্রেতারাও আগের চেয়ে অনেক সচেতন। তাই এখানে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই গুণমান সম্পন্ন পণ্যই সরবরাহ করতে হবে। আমরা আমাদের চা’য়ে কোন রং বা ক্যামিকেল ব্যবহার করি না। যার ফলে বাগানের চা’য়ের যে আসল রং ও গন্ধ তা শুধু মাত্র আমাদের চা’য়েই পাওয়া যায়। আমাদের চা বাংলাদেশ সরকারের পণ্যের মান নিয়ন্ত্রক BSTI অনুমোদিত। এর মাঝে আমাদের সরবরাহকৃত গোল্ড টি সব জায়গায় পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র সিলেটের কয়েকটি জায়গায় এই চা পাওয়া যায় এবং এই ক্যাটাগরির চা টাই বিদেশে রপ্তানি করা হয়। তাই আমাদের চা শতভাগ স্বাস্থ্যকর। আর আমরা খুবই কম লাভে চা সরবারাহ করি। বাজারের প্রচলিত চা’ গুলোর সাথে তুলনা করলেই তা বুঝতে পারবনে।”

কথা বলতে গিয়েই তাঁদের থেকে সরবরাহকৃত পণ্যগুলোর মূল্য তালিকা জেনে নিলাম। A.R Tea Station এর পণ্য গুলোর মাঝে বেশ কয়েক রকমের প্রকারভেদ রয়েছে। প্রকারভেদে মূল্যও বিভিন্ন। উল্লেখযোগ্য কিছু চা এর মূল্য তালিকা হচ্ছে,
  • ক্ল্যাসিক টি – ৩০০-৩২০ টাকা/ কেজি
  • প্রিমিয়াম টি – ৩৮০-৪০০ টাকা /কেজি
  • গোল্ড টি – ৫২০ টাকা/কেজি
  • গ্রীণ টি -১১০০-১১৫০ টাকা /কেজি
তবে এই পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রেও একটি ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যারা ব্যবসার উদ্দেশ্যে পাইকারি মূল্যে চা নিতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য আলাদা মূল্য তালিকা তৈরী করেছে এ.আর টি স্টেশন।
এ বিষয়ে বলতে গিয়ে অর্পণ বলেন,
“আমরা চাই আমাদের মতো অন্যরাও উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসুন এবং সর্বোপরি আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখুন। আর সেজন্য আমরা শুধু নিজেদের ব্যবসা নিয়েই ভাবিনি। যদি নতুন কেউ পণ্য সরবরাহ শুরু করতে চায়, সে বিষয়েও আমরা নজর দিয়েছি। তাই নতুন ব্যবসা শুরু করতে ইচ্ছুক এবং পাইকারী মূল্যে নিতে ইচ্ছুক এমন সবাইকে আমরা সে সুযোগ করে দিচ্ছি। ইতোমধ্যে ৮ টি জেলায় পাইকারি সহ প্রায় সারাদেশে খুচরা সরবরাহ করছি আমরা। কেউ অর্ডার করলে দেশের যেকোনো যায়গাতেই আমরা পাইকারি/ খুচরা সরবরাহ দিতে পারবো।”
সবশেষে তরুণ শক্তির জয়গান ও উদ্যোক্তা জাগরণের কথাটা খুব জোর দিয়ে বললেন প্রতিষ্ঠানের দুজন উদ্যোক্তাই। এ বিষয়ে রাতুলের মন্তব্যটি,
“ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি স্বপ্ন দেখার শক্তি সবার থাকলেও, সেটাকে বাস্তবে রূপ দেবার সামর্থ্য সবার থাকে না। আমরা তারুণ্যের জয়গান সর্বত্রই শুনে এসেছি। সেই তারুণ্যের শক্তি থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি দু বন্ধু মিলে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেনো আমরা দ্রুতই পূর্ণ সততা এবং ঈমান এর সহিত আমাদের স্বপ্নের শিখরে পৌছাতে পারি।”
এ.আর টি স্টেশন থেকে যেকোনো পরামর্শ পেতে এবং অর্ডার করতে যোগাযোগ করুন, ০১৬২২৮২৬৫৪৯  নাম্বারে।
ফেসবুক পেইজ লিংকঃ https://www.facebook.com/AR-Tea-Station-105793697923341/ 
ট্যাগ:

দুই বন্ধুর স্বপ্নের A.R. Tea Station

প্রকাশ: ০৩:২৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০
ফাহিম আহম্মেদ মন্ডল: বাঙালীর জীবনে ‘চা’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পানীয়। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি বিশেষ অংশ জুড়ে আছে ‘চা’। চা পান করা ছাড়া যেনো আমাদের অনেকের একটি দিনও ভাবা যায় না। বাসায় পরিবারের সঙ্গে কাটানো সুন্দর বিকেল, কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে টং দোকানের তর্ক-আড্ডা, অভিজাত রেস্টুরেন্টের বিজনেস মিটিং, অথবা যেকোনো অবসর, গ্রীষ্ম থেকে বসন্ত, চায়ের গুরুত্ব কখনোই কমার নয়।
চা এমন এক ধরনের সুস্বাদু পানীয়, যা আমাদের শরীরের ক্লান্তি কমিয়ে একধরনের প্রশান্তি আনতে সাহায্য করে। কিন্তু শুধুমাত্র প্রশান্তিই নয়, চা আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এসব ব্যাপারগুলোকেই একত্র করে “A.R Tea Station” নামে একটি চা’ পাতা সরবরাহ কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন দুই বন্ধু অর্পণ এবং রাতুল।
তরুণ দুই উদ্যোক্তা অর্পণ এবং রাতুল। সম্পূর্ণ নাম সাদমান ফাহিম অর্পণ এবং সামিউল আলম রাতুল। প্রথমজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ছেন ঢাকায় ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, দ্বিতীয়জন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কিশোর বয়স থেকেই দুজনের বন্ধুত্ব। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশন করিয়ে দিব্যি দিন কেটে যাচ্ছিলো তাঁদের, কিন্তু করোনার থাবা অন্য সবার মতো তাঁদের জীবনেও স্থবিরতা নিয়ে আসে। এই বন্ধকালীন অবসর সময়টা ঘরে বসেই কাটছিলো। কিন্তু কার্যত বেকার এবং অলস সময়টাতে বড্ড বেশিই হাপিয়ে উঠেছিলেন দুজন। তখনই মাথায় খেলে যায় এই চা সরবরাহ ব্যবসার চিন্তাটি।
কৃষি এবং প্রকৌশল, দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদেরই যেখানে পড়াশোনাতেই সারাদিন কেঁটে যায়, সেখানে ছাত্রাবস্থায় এই ধরণের সৃজনশীল ব্যবসায় জড়ানোর পেছনের গল্পটা শুনতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা হলো।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শাখা এবং চা সরবরাহের ব্যবসার দিকে অগ্রসর হবার বিষয়ে প্রশ্ন করতেই উত্তর দিলেন A.R Tea Station এর অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা সাদমান ফাহিম অর্পণ। তিনি বলেন,
“সকলেই জানেন, সিলেট বাংলাদেশের চা হাব। আমি ঢাকায় থাকি এবং রাতুল সিলেট। সে সুবাদে আমাদের আন্তঃ যোগাযোগের ব্যাপারটিও দারুণ সমন্বয় করা সম্ভব। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমরা যখন আমাদের ব্যবসার দিকে মন দেবো বলে ফিক্স করেছি, তখন শুরুতেই চা সরবরাহের ব্যবসার কথাই আমাদের মাথায় আসে।
আর আমাদের প্রধান শাখাটিও আমরা সিলেটে স্থাপন করেছি। এতে আমরা গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য পাবার এবং দেবার নিশ্চয়তা পাচ্ছি। আর আমরা সিলেটে প্রধান শাখা স্থাপনের পাশাপাশি ঢাকায়ও আরেকটি শাখা স্থাপন করেছি এবং এখান থেকেও আমরা বিভিন্ন জায়গায় সেল দিচ্ছি। সামনে দেশের সর্বত্র যেনো আমরা কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে পারি, সেজন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ।”
তাঁর কথার জের ধরেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম, “আপনারা চা কোথা থেকে সংগ্রহ করছেন এবং কেনোই বা আপনাদের চা মানুষ নিবে?”, এ প্রশ্নের জবাব দিলেন সামিউল আলম রাতুল। তাঁর ভাষ্যে,

“সিলেটের বিভিন্ন বাগানের সেরা চা -গুলোই আমরা সংগ্রহ করে থাকি। মানের দিক থেকে আমাদের চা বাজারের যে কোন চা থেকে অবশ্যই অনেক এগিয়ে থাকবে। আমরা শুরু থেকেই আমাদের পণ্যের কোয়ালিটির দিকে কড়া নজর দিচ্ছি। আজকাল প্রতিযোগিতার মার্কেট। ক্রেতারাও আগের চেয়ে অনেক সচেতন। তাই এখানে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই গুণমান সম্পন্ন পণ্যই সরবরাহ করতে হবে। আমরা আমাদের চা’য়ে কোন রং বা ক্যামিকেল ব্যবহার করি না। যার ফলে বাগানের চা’য়ের যে আসল রং ও গন্ধ তা শুধু মাত্র আমাদের চা’য়েই পাওয়া যায়। আমাদের চা বাংলাদেশ সরকারের পণ্যের মান নিয়ন্ত্রক BSTI অনুমোদিত। এর মাঝে আমাদের সরবরাহকৃত গোল্ড টি সব জায়গায় পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র সিলেটের কয়েকটি জায়গায় এই চা পাওয়া যায় এবং এই ক্যাটাগরির চা টাই বিদেশে রপ্তানি করা হয়। তাই আমাদের চা শতভাগ স্বাস্থ্যকর। আর আমরা খুবই কম লাভে চা সরবারাহ করি। বাজারের প্রচলিত চা’ গুলোর সাথে তুলনা করলেই তা বুঝতে পারবনে।”

কথা বলতে গিয়েই তাঁদের থেকে সরবরাহকৃত পণ্যগুলোর মূল্য তালিকা জেনে নিলাম। A.R Tea Station এর পণ্য গুলোর মাঝে বেশ কয়েক রকমের প্রকারভেদ রয়েছে। প্রকারভেদে মূল্যও বিভিন্ন। উল্লেখযোগ্য কিছু চা এর মূল্য তালিকা হচ্ছে,
  • ক্ল্যাসিক টি – ৩০০-৩২০ টাকা/ কেজি
  • প্রিমিয়াম টি – ৩৮০-৪০০ টাকা /কেজি
  • গোল্ড টি – ৫২০ টাকা/কেজি
  • গ্রীণ টি -১১০০-১১৫০ টাকা /কেজি
তবে এই পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রেও একটি ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যারা ব্যবসার উদ্দেশ্যে পাইকারি মূল্যে চা নিতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য আলাদা মূল্য তালিকা তৈরী করেছে এ.আর টি স্টেশন।
এ বিষয়ে বলতে গিয়ে অর্পণ বলেন,
“আমরা চাই আমাদের মতো অন্যরাও উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসুন এবং সর্বোপরি আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখুন। আর সেজন্য আমরা শুধু নিজেদের ব্যবসা নিয়েই ভাবিনি। যদি নতুন কেউ পণ্য সরবরাহ শুরু করতে চায়, সে বিষয়েও আমরা নজর দিয়েছি। তাই নতুন ব্যবসা শুরু করতে ইচ্ছুক এবং পাইকারী মূল্যে নিতে ইচ্ছুক এমন সবাইকে আমরা সে সুযোগ করে দিচ্ছি। ইতোমধ্যে ৮ টি জেলায় পাইকারি সহ প্রায় সারাদেশে খুচরা সরবরাহ করছি আমরা। কেউ অর্ডার করলে দেশের যেকোনো যায়গাতেই আমরা পাইকারি/ খুচরা সরবরাহ দিতে পারবো।”
সবশেষে তরুণ শক্তির জয়গান ও উদ্যোক্তা জাগরণের কথাটা খুব জোর দিয়ে বললেন প্রতিষ্ঠানের দুজন উদ্যোক্তাই। এ বিষয়ে রাতুলের মন্তব্যটি,
“ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি স্বপ্ন দেখার শক্তি সবার থাকলেও, সেটাকে বাস্তবে রূপ দেবার সামর্থ্য সবার থাকে না। আমরা তারুণ্যের জয়গান সর্বত্রই শুনে এসেছি। সেই তারুণ্যের শক্তি থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি দু বন্ধু মিলে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেনো আমরা দ্রুতই পূর্ণ সততা এবং ঈমান এর সহিত আমাদের স্বপ্নের শিখরে পৌছাতে পারি।”
এ.আর টি স্টেশন থেকে যেকোনো পরামর্শ পেতে এবং অর্ডার করতে যোগাযোগ করুন, ০১৬২২৮২৬৫৪৯  নাম্বারে।
ফেসবুক পেইজ লিংকঃ https://www.facebook.com/AR-Tea-Station-105793697923341/