তন্ময়: একটু সুখের আশায় হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিদেশে যায় ভালো টাকা কামাই করে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখের মুখ দেখার আশায়। আমরা দেশে পরিবারের সবাই মিলে ঈদ করি, কিন্তু যেই মানুষ তা প্রবাসে থেকে আমাদের টাকা দেই আমরা কিন্তু তার খোঁজ নেই না আমাদের একা রেখে কত দূরে তারা কি ভাবে ঈদ করে।
আমাদের সবার উচিত যারা প্রবাসে থাকে তাদের কষ্ট গুলো বুঝার দরকার, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা রোজগার করে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে প্রবাসে থাকা বাংলাদেশের মানুষ গুলো। তাদের স্বপ্ন এক তাই দেশের অর্থনীতি যেন ভালো হয়, তবে আর কারো পরিজন ছেড়ে প্রবাসে যেতে হবে না ঈদ এলে কষ্ট করতে হবে না আপনজন কে ছাড়া ঈদ করতে হবে না, দেশের মানুষ দেশে চাকরি করবে, পরিবার নিয়ে সবার সাথে দেশে ঈদ করবে।
আজ আমরা সবাই এমন এক অবস্থায় আছি করোনা নামক ভাইরাস পুরো পৃথিবীকে অচল করে দিয়েছে, কেউ জানে না কবে পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরবে,,পৃথিবীর মানুষ গুলো আবার আগের মতো মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াবে , এরই মধ্যে মানুষ গুলো তাদের জীবন যাত্রা নিয়ে কত দুশ্চিন্তায় আছে, এক মাত্র আল্লাহর দয়া ছাড়া আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন উপায় নাই।
প্রবাসে থাকা মানুষ গুলো কত কষ্টে আছে আমরা কেউ জানি না, অনেকে চাকরি হারিয়ে অনাহারে দেশে ফিরে আসছে,, পারছে না সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে, কতো কষ্ট যে হচ্ছে বলার বাইরে, প্রতিটি ঈদে তারা কান্না করে বুক ভাসায় কিন্তু কাউকে পাশে পাই না, ঈদে তারা মা বাবার কথা মনে করে নিশ্চুপ হয়ে যায়, বুক চেপে কান্না করে কাউকে বুঝতে দেই না, সারা দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যেই মানুষ গুলো দেশের এত বড় অবদান রাখছে তারা হলো আমাদের প্রবাসী মানুষ গুলো।
আমার নিজের বাবা প্রবাসী আমি জানি আমার বাবা আমাদের জন্য কতো কষ্ট করে, বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করবো অনেকে চাকরি হারিয়ে দেশে চলে আসছে, তাদের জন্য কিছু করুন তাদের পরিবারকে বাচান, আজ তারা অসহায়।।
সব শেষে মহান প্রভুর নিকট দোয়া করি ভালো থাকুক সকল প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের সবাই কে ধৈর্য্য দরার তৌফিক দিক। আবার এক হয়ে পরিবারের সাথে ঈদ করবে এই কামনা করি। প্রত্যেক প্রবাসী বাংলাদেশি কে জানাই পবিত্র ঈদুল আজহার হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।
লেখক: তন্ময়, শিক্ষার্থী, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, ময়মনসিংহ।