০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘Gadget চাই?’ নিয়ে যাত্রা শুরু জাবি শিক্ষার্থী সুদীপ্ত-ফাহিম -এর

ফাহিম আহম্মেদ মন্ডল: প্রতিষ্ঠানের নাম ‘Gadget চাই?’!! নামটা শুনতে বেশ অদ্ভুত লাগছে, তাইনা? হ্যা, এই অদ্ভুত নামটি ব্যবহার করেই অতি সম্প্রতি একটি অনলাইন ব্যবসা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ৪৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত রায় এবং আল ফাহিম ইবনে আশরাফ। মূলত গুণগত মান নিশ্চিত করে সকল ব্র্যান্ডের অরিজিনাল গ্যজেট, স্মার্ট ওয়াচ এবং মোবাইল এসেসরিজ সুলভ মূল্যে বিক্রয় করাই ‘Gadget চাই? -এর মুখ্য উদ্দেশ্য।

ইউআরপি শিক্ষার্থীদের যেখানে নগর ব্যবস্থাপনার সুরতেহাল নিয়েই পড়াশুনা কিংবা গবেষণায় ব্যস্ত থাকার কথা, সেখানে পড়াশুনার পাশাপাশি ছাত্রাবস্থায় এই ধরণের সৃজনশীল কাজে জড়ানোর পেছনের গল্পটা বলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের একজন সুদীপ্ত রায় বলেন,

“মূলত স্ব-নির্ভর হওয়ার স্বপ্ন থেকেই এই ধরণের একটি উদ্যোগ নেয়ার চিন্তা প্রথম মনে এসেছিলো। লক্ষ্য করলেই দেখবেন, ইদানীং অনেক ধরণের অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই মাধ্যমে আপনি যে ব্যবসাই শুরু করুন না কেনো, তা জনপ্রিয় করে টিকে থাকা খুব কঠিন কাজ। আমরা আজকাল অনেক ভুঁইফোড় অনলাইন প্রতিষ্ঠানের দেখা পাই যেখানে গ্রাহক প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভিসিং সিস্টেম ভালো নয়, আবার কোন প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্টের মানের ঠিক নেই! আমি নিজেও আমার কলেজ জীবনে একবার এ ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। তাই প্রথম যখন ব্যবসা শুরুর কথা মনে আসে, একটু প্রসারিত চিন্তা থেকেই মূলত এই ব্যবসা মাধ্যমটি গড়ে তোলার দিকে মন দিলাম।”

তাঁর কথার সূত্র ধরেই পরের প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম। জানতে চাইলাম, ‘Gadget চাই?’ – এমন অদ্ভুত নাম রাখার পেছনের কারণ কী?! জবাবে সুদীপ্ত বলেন,

“এই ব্যাপারটা সহজেই বুঝতে পারবেন। মূলত সহজে এটেনশন পাবার কথা মাথায় রেখেই নামটি নেয়া হয়েছে।”

অনলাইনে এতো গ্যাজেট গ্রুপ থাকতে ‘Gadget চাই?’ থেকে মানুষ কেনো পণ্য অর্ডার করবে প্রশ্নটি ছুড়ে দিলে প্রতিষ্ঠানের আরেক উদ্যোক্তা আল ফাহিম ইবনে আশরাফ বলেন,

“এই উত্তরটি দিতে গেলে আমি তিনটা কারণ বলবো, প্রথমে, আমাদের বেস্ট প্রাইসিং, দ্বিতীয়ত, আমাদের ওয়ারেন্টি পলিসি এবং সবশেষে, আফটার সেলস সার্ভিস। আমাদের প্রোডাক্ট ইউজার যে কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, আমরা সবচেয়ে সুলভ মূল্যে ১০০% অরিজিনাল এবং অথেন্টিক প্রোডাক্ট সেল এর নিশ্চয়তা দিই এবং তা রক্ষা করি। প্রায় সকল প্রোডাক্টে আমরা দিচ্ছি ৭ দিনের রিপ্লেসমেন্ট (ম্যানুফ্যাকচারিং ফল্ট এর ক্ষেত্রে) এবং ১ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সার্ভিস ওয়ারেন্টি। বর্তমান বাজারে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের ব্যাপারটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

তাঁর কথার সূত্র ধরে তাঁকে পরের প্রশ্নটি করলাম। ‘Gadget চাই?’ এতো কম দামে কিভাবে অরিজিনাল প্রোডাক্ট দেয়? জবাবে ফাহিম বললেন,

“আমরা চিন্তা করি অতিরিক্ত প্রফিটের চাইতে গ্রাহকের মুখের হাসিই আমাদের মন ভরাতে সক্ষম। মোটকথা তাঁদের খুশিই আমাদের প্রফিট। তাই সর্বনিম্ন লাভে তাঁদের কাছে বিক্রির মাধ্যমে আমরা নিজেদের এবং তাঁদের উভয়ের জন্যই কাজটিকে প্রফিটেবল করতে চাই।”

চাই?

সর্বোপরি তরুণ শক্তির জয়গান ও উদ্যোক্তা জাগরণের কথাটা খুব জোর দিয়ে বললেন প্রতিষ্ঠানের দুজন উদ্যোক্তাই। দুজনের বক্তব্যের সারমর্মটা ছিলো এমন,

“করোনায় পড়াশুনা থেকে আরম্ভ করে সবকিছুই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জনজীবন থমকে গিয়েছে। কিন্তু উদ্যোক্তাগন থমকে দাড়াতে পারেন না। একজন উদ্যোক্তার সবচেয়ে বড় শক্তি তাঁর মনের প্রেরণা। সেই প্রেরণা শক্তি থেকেই আমরা কাজে এগিয়ে যাচ্ছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেনো আমরা নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু প্রমাণে সমর্থ হই।”

 

ট্যাগ:

‘Gadget চাই?’ নিয়ে যাত্রা শুরু জাবি শিক্ষার্থী সুদীপ্ত-ফাহিম -এর

প্রকাশ: ০২:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

ফাহিম আহম্মেদ মন্ডল: প্রতিষ্ঠানের নাম ‘Gadget চাই?’!! নামটা শুনতে বেশ অদ্ভুত লাগছে, তাইনা? হ্যা, এই অদ্ভুত নামটি ব্যবহার করেই অতি সম্প্রতি একটি অনলাইন ব্যবসা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ৪৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত রায় এবং আল ফাহিম ইবনে আশরাফ। মূলত গুণগত মান নিশ্চিত করে সকল ব্র্যান্ডের অরিজিনাল গ্যজেট, স্মার্ট ওয়াচ এবং মোবাইল এসেসরিজ সুলভ মূল্যে বিক্রয় করাই ‘Gadget চাই? -এর মুখ্য উদ্দেশ্য।

ইউআরপি শিক্ষার্থীদের যেখানে নগর ব্যবস্থাপনার সুরতেহাল নিয়েই পড়াশুনা কিংবা গবেষণায় ব্যস্ত থাকার কথা, সেখানে পড়াশুনার পাশাপাশি ছাত্রাবস্থায় এই ধরণের সৃজনশীল কাজে জড়ানোর পেছনের গল্পটা বলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের একজন সুদীপ্ত রায় বলেন,

“মূলত স্ব-নির্ভর হওয়ার স্বপ্ন থেকেই এই ধরণের একটি উদ্যোগ নেয়ার চিন্তা প্রথম মনে এসেছিলো। লক্ষ্য করলেই দেখবেন, ইদানীং অনেক ধরণের অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই মাধ্যমে আপনি যে ব্যবসাই শুরু করুন না কেনো, তা জনপ্রিয় করে টিকে থাকা খুব কঠিন কাজ। আমরা আজকাল অনেক ভুঁইফোড় অনলাইন প্রতিষ্ঠানের দেখা পাই যেখানে গ্রাহক প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভিসিং সিস্টেম ভালো নয়, আবার কোন প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্টের মানের ঠিক নেই! আমি নিজেও আমার কলেজ জীবনে একবার এ ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। তাই প্রথম যখন ব্যবসা শুরুর কথা মনে আসে, একটু প্রসারিত চিন্তা থেকেই মূলত এই ব্যবসা মাধ্যমটি গড়ে তোলার দিকে মন দিলাম।”

তাঁর কথার সূত্র ধরেই পরের প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম। জানতে চাইলাম, ‘Gadget চাই?’ – এমন অদ্ভুত নাম রাখার পেছনের কারণ কী?! জবাবে সুদীপ্ত বলেন,

“এই ব্যাপারটা সহজেই বুঝতে পারবেন। মূলত সহজে এটেনশন পাবার কথা মাথায় রেখেই নামটি নেয়া হয়েছে।”

অনলাইনে এতো গ্যাজেট গ্রুপ থাকতে ‘Gadget চাই?’ থেকে মানুষ কেনো পণ্য অর্ডার করবে প্রশ্নটি ছুড়ে দিলে প্রতিষ্ঠানের আরেক উদ্যোক্তা আল ফাহিম ইবনে আশরাফ বলেন,

“এই উত্তরটি দিতে গেলে আমি তিনটা কারণ বলবো, প্রথমে, আমাদের বেস্ট প্রাইসিং, দ্বিতীয়ত, আমাদের ওয়ারেন্টি পলিসি এবং সবশেষে, আফটার সেলস সার্ভিস। আমাদের প্রোডাক্ট ইউজার যে কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, আমরা সবচেয়ে সুলভ মূল্যে ১০০% অরিজিনাল এবং অথেন্টিক প্রোডাক্ট সেল এর নিশ্চয়তা দিই এবং তা রক্ষা করি। প্রায় সকল প্রোডাক্টে আমরা দিচ্ছি ৭ দিনের রিপ্লেসমেন্ট (ম্যানুফ্যাকচারিং ফল্ট এর ক্ষেত্রে) এবং ১ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সার্ভিস ওয়ারেন্টি। বর্তমান বাজারে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের ব্যাপারটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

তাঁর কথার সূত্র ধরে তাঁকে পরের প্রশ্নটি করলাম। ‘Gadget চাই?’ এতো কম দামে কিভাবে অরিজিনাল প্রোডাক্ট দেয়? জবাবে ফাহিম বললেন,

“আমরা চিন্তা করি অতিরিক্ত প্রফিটের চাইতে গ্রাহকের মুখের হাসিই আমাদের মন ভরাতে সক্ষম। মোটকথা তাঁদের খুশিই আমাদের প্রফিট। তাই সর্বনিম্ন লাভে তাঁদের কাছে বিক্রির মাধ্যমে আমরা নিজেদের এবং তাঁদের উভয়ের জন্যই কাজটিকে প্রফিটেবল করতে চাই।”

চাই?

সর্বোপরি তরুণ শক্তির জয়গান ও উদ্যোক্তা জাগরণের কথাটা খুব জোর দিয়ে বললেন প্রতিষ্ঠানের দুজন উদ্যোক্তাই। দুজনের বক্তব্যের সারমর্মটা ছিলো এমন,

“করোনায় পড়াশুনা থেকে আরম্ভ করে সবকিছুই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জনজীবন থমকে গিয়েছে। কিন্তু উদ্যোক্তাগন থমকে দাড়াতে পারেন না। একজন উদ্যোক্তার সবচেয়ে বড় শক্তি তাঁর মনের প্রেরণা। সেই প্রেরণা শক্তি থেকেই আমরা কাজে এগিয়ে যাচ্ছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেনো আমরা নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু প্রমাণে সমর্থ হই।”