Dhaka 11:41 am, Saturday, 2 December 2023

  • Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/page/header_design_two.php on line 68

মমতাজউদদীন আহমদ আর নেই

  • Reporter Name
  • Update Time : 03:47:51 am, Monday, 3 June 2019
  • 74 Time View

বিনোদন ডেস্ক: দেশবরেণ্য নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্যব্যক্তিত্ব ভাষাসৈনিক মমতাজউদদীন আহমদ আর নেই। দীর্ঘদিন রোগভোগের পর রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকাল ৩টা ৪৮ মিনিটে মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি স্ত্রী কামরুননেসা মমতাজ, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু ভক্ত-অনুরাগী রেখে গেছেন।

মমতাজউদদীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি শিক্ষা, নাটক ও সাহিত্যক্ষেত্রে মমতাজউদদীনের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, তার মৃত্যুতে শিক্ষা ও নাট্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। প্রধানমন্ত্রী নাটক ও শিক্ষাক্ষেত্রে মমতাজউদদীনের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, তার মৃত্যুতে শিক্ষা ও নাট্যজগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। এছাড়া তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গেল সপ্তাহে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে এ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তিনি জানান, মমতাজউদদীন আহমদ দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণ ও অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছিলেন।

মমতাজউদদীন আহমদের লাশ রোববার সন্ধ্যায় এ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় গুলশান আজাদ মসজিদে। সেখানে কাফন শেষে মিরপুর রূপনগরের মদিনা মসজিদে বাদ এশা তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফ্রিজিং ভ্যানে মিরপুর রূপনগরের বাসভবনের সামনে তার লাশ রাখা হবে।

গোলাম কুদ্দুছ জানান, আজ সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লাশ নেয়া হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে। সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তার লাশ সমাহিত করা হবে।

মমতাজউদদীন আহমদের মৃত্যুতে সংস্কৃতি এবং নাট্যজগতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুর সংবাদ শোনার সঙ্গে সঙ্গেই সংস্কৃতি ও নাট্যকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় জমান। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, উদীচী, মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় শোক প্রকাশ করেছে।

মমতাজউদদীন আহমদ ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম কলিমুদ্দিন আহমদ ও মায়ের নাম সখিনা বেগম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বিএ (অনার্স) ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ছাত্রাবস্থায় তিনি বাম রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫২ সালে গোলাম আরিফ টিপুর সঙ্গে তিনি রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজশাহী কলেজে বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণেও ভূমিকা পালন করেন। রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে চারবার কারাবরণও করেন।

মমতাজউদদীন আহমদ ৩২ বছরের বেশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ইউরোপীয় নাট্যকলায় শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন।

মমতাজউদদীন আহমদের লেখা জনপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘বিবাহ’, ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, ‘বর্ণচোরা’, ‘এই সেই কণ্ঠস্বর’, ‘কী চাহ শঙ্খচিল’, ‘সাতঘাটের কানাকড়ি’, ‘রাজা অনুস্বারের পালা’, ‘বকুলপুরের স্বাধীনতা’, ‘সুখী মানুষ’, ‘রাজার পালা’, ‘সেয়ানে সেয়ানে’, ‘কেস’, ‘ভোটরঙ্গ’, ‘উলটো পুরান’, ‘ভেবে দেখা’ উল্লেখযোগ্য। রচিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত’, ‘বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত’, ‘প্রসঙ্গ বাংলাদেশ’, ‘প্রসঙ্গ বঙ্গবন্ধু’, ‘আমার ভিতরে আমি’, ‘জগতের যত মহাকাব্য’, ‘সাহসী অথচ সাহস্য’, ‘নেকাবী এবং অন্যগণ’, ‘সজল তোমার ঠিকানা’, ‘এক যে জোড়া’, ‘এক যে মধুমতি’, ‘অন্ধকার নয় আলোর দিকে’। মমতাজউদদীন আহমদের লেখা নাটক ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ এবং ‘রাজা অনুস্বারের পালা’ রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

একজন জাঁদরেল অভিনেতা হিসেবেও তিনি অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। চির ঠাঁই করে নিয়েছেন মানুষের মনে। মমতাজউদদীন আহমদ শিক্ষক ও লেখক হিসেবে পরিচিতি পেলেও মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে তার কর্মজীবনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি সংস্কৃতি অঙ্গনের একজন কর্মী হিসেবে সক্রিয়ভাবে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। মমতাজউদদীন ১৯৭৭-৮০ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।

শিল্প ও সাহিত্যাঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ১৯৯৭ সালে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, শিল্পকলা একাডেমি বিশেষ সম্মাননা, শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশের বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

Tag :

Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_two.php on line 177

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

Notice: Undefined index: footer_custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/footer.php on line 87

মমতাজউদদীন আহমদ আর নেই

Update Time : 03:47:51 am, Monday, 3 June 2019

বিনোদন ডেস্ক: দেশবরেণ্য নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্যব্যক্তিত্ব ভাষাসৈনিক মমতাজউদদীন আহমদ আর নেই। দীর্ঘদিন রোগভোগের পর রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকাল ৩টা ৪৮ মিনিটে মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি স্ত্রী কামরুননেসা মমতাজ, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু ভক্ত-অনুরাগী রেখে গেছেন।

মমতাজউদদীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি শিক্ষা, নাটক ও সাহিত্যক্ষেত্রে মমতাজউদদীনের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, তার মৃত্যুতে শিক্ষা ও নাট্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। প্রধানমন্ত্রী নাটক ও শিক্ষাক্ষেত্রে মমতাজউদদীনের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, তার মৃত্যুতে শিক্ষা ও নাট্যজগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। এছাড়া তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গেল সপ্তাহে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে এ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তিনি জানান, মমতাজউদদীন আহমদ দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণ ও অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছিলেন।

মমতাজউদদীন আহমদের লাশ রোববার সন্ধ্যায় এ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় গুলশান আজাদ মসজিদে। সেখানে কাফন শেষে মিরপুর রূপনগরের মদিনা মসজিদে বাদ এশা তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফ্রিজিং ভ্যানে মিরপুর রূপনগরের বাসভবনের সামনে তার লাশ রাখা হবে।

গোলাম কুদ্দুছ জানান, আজ সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লাশ নেয়া হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে। সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তার লাশ সমাহিত করা হবে।

মমতাজউদদীন আহমদের মৃত্যুতে সংস্কৃতি এবং নাট্যজগতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুর সংবাদ শোনার সঙ্গে সঙ্গেই সংস্কৃতি ও নাট্যকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় জমান। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, উদীচী, মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় শোক প্রকাশ করেছে।

মমতাজউদদীন আহমদ ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম কলিমুদ্দিন আহমদ ও মায়ের নাম সখিনা বেগম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বিএ (অনার্স) ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ছাত্রাবস্থায় তিনি বাম রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫২ সালে গোলাম আরিফ টিপুর সঙ্গে তিনি রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজশাহী কলেজে বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণেও ভূমিকা পালন করেন। রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে চারবার কারাবরণও করেন।

মমতাজউদদীন আহমদ ৩২ বছরের বেশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ইউরোপীয় নাট্যকলায় শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন।

মমতাজউদদীন আহমদের লেখা জনপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘বিবাহ’, ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, ‘বর্ণচোরা’, ‘এই সেই কণ্ঠস্বর’, ‘কী চাহ শঙ্খচিল’, ‘সাতঘাটের কানাকড়ি’, ‘রাজা অনুস্বারের পালা’, ‘বকুলপুরের স্বাধীনতা’, ‘সুখী মানুষ’, ‘রাজার পালা’, ‘সেয়ানে সেয়ানে’, ‘কেস’, ‘ভোটরঙ্গ’, ‘উলটো পুরান’, ‘ভেবে দেখা’ উল্লেখযোগ্য। রচিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত’, ‘বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত’, ‘প্রসঙ্গ বাংলাদেশ’, ‘প্রসঙ্গ বঙ্গবন্ধু’, ‘আমার ভিতরে আমি’, ‘জগতের যত মহাকাব্য’, ‘সাহসী অথচ সাহস্য’, ‘নেকাবী এবং অন্যগণ’, ‘সজল তোমার ঠিকানা’, ‘এক যে জোড়া’, ‘এক যে মধুমতি’, ‘অন্ধকার নয় আলোর দিকে’। মমতাজউদদীন আহমদের লেখা নাটক ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ এবং ‘রাজা অনুস্বারের পালা’ রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

একজন জাঁদরেল অভিনেতা হিসেবেও তিনি অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। চির ঠাঁই করে নিয়েছেন মানুষের মনে। মমতাজউদদীন আহমদ শিক্ষক ও লেখক হিসেবে পরিচিতি পেলেও মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে তার কর্মজীবনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি সংস্কৃতি অঙ্গনের একজন কর্মী হিসেবে সক্রিয়ভাবে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। মমতাজউদদীন ১৯৭৭-৮০ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।

শিল্প ও সাহিত্যাঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ১৯৯৭ সালে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, শিল্পকলা একাডেমি বিশেষ সম্মাননা, শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশের বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।