Notice: Undefined index: custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/header.php on line 27
Dhaka 7:53 am, Monday, 2 October 2023

  • Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/page/header_design_two.php on line 68

জাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২২

  • Reporter Name
  • Update Time : 03:45:20 pm, Thursday, 27 January 2022
  • 2 Time View

মান্নান, জাবি প্রতিনিধিঃ

বৈশ্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাতের ন্যূনতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য অন্তত একজন শিক্ষক থাকবেন। জাতীয় পর্যায়েও দেশের দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ মানদণ্ড অনুসরণে উৎসাহিত করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতি বছর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউজিসি। কমিশনের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২০ প্রকাশ করা হয় ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর। এতে উপস্থাপিত তথ্য বলছে, ২০২০ সালে পাবলিক ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে মোট ১৫৭ টি। যার মধ্যে ১৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রম চালু রয়েছে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৯৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর পাঠদানে নিয়োজিত শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ১৮৬ জন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:৫৪। অর্থাৎ প্রতি ৫৪ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন একজন করে, যা বৈশ্বিক ন্যূনতম মানদণ্ড থেকে অনেক বেশি।

অপরদিকে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাতের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। যার মধ্যে ২০১৯ সালে চালু হওয়া খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ৭৫ জন। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৩।

ইউজিসির ৪৭ তম বার্ষিক প্রতিবেদন- ২০২০ অনুযায়ী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৯২৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য নিয়োজিত শিক্ষকের সংখ্যা ৭৫৭ জন। সে হিসেবে জাবির শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২২ এর একটু বেশী। যা বৈশ্বিক ন্যূনতম মানদন্ডের থেকে বেশী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউট। এ ইন্সটিটিউটে ১২৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৩ জন। সে হিসেবে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৪২। অর্থাৎ গড়ে ৪২ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য শিক্ষক রয়েছেন ১ জন করে, যা বৈশ্বিক মানদন্ডের দ্বিগুণেরও বেশী।

অপরদিকে জাবির বিভাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভূক্ত নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ। এ বিভাগের ২৬২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ২৩ জন। শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১১, যা বৈশ্বিক মানদন্ডের প্রায় অর্ধেক।

জাবিতে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী রয়েছেন ৭ হাজার ১৮৮ জন এবং ছাত্র রয়েছেন ৯ হাজার ৭৪১ জন। যার মধ্যে  ১০ হাজার ৮১৭ জন স্নাতকে, ২ হাজার ১০৪ জন স্নাতকোত্তরে, ২ হাজার ১৫০ জন এম.ফিল ও পিএইচডি তে অধ্যায়নরত রয়েছেন।

এদিকে জাবির ৭৫৭ জন শিক্ষকের মধ্যে পিএইডি ডিগ্রীধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৩৫৪ জন, অধ্যাপক ২৮০ জন, সহযোগী অধ্যাপক ১৯৪ জন, সহকারী অধ্যাপক ১৯৪ জন এবং প্রভাষক ৬৪ জন রয়েছেন।

Tag :

Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_two.php on line 177

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Choton Mia

Popular Post

Notice: Undefined index: footer_custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/footer.php on line 87

জাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২২

Update Time : 03:45:20 pm, Thursday, 27 January 2022

মান্নান, জাবি প্রতিনিধিঃ

বৈশ্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাতের ন্যূনতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য অন্তত একজন শিক্ষক থাকবেন। জাতীয় পর্যায়েও দেশের দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ মানদণ্ড অনুসরণে উৎসাহিত করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতি বছর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউজিসি। কমিশনের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২০ প্রকাশ করা হয় ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর। এতে উপস্থাপিত তথ্য বলছে, ২০২০ সালে পাবলিক ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে মোট ১৫৭ টি। যার মধ্যে ১৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রম চালু রয়েছে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৯৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর পাঠদানে নিয়োজিত শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ১৮৬ জন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:৫৪। অর্থাৎ প্রতি ৫৪ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন একজন করে, যা বৈশ্বিক ন্যূনতম মানদণ্ড থেকে অনেক বেশি।

অপরদিকে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাতের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। যার মধ্যে ২০১৯ সালে চালু হওয়া খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ৭৫ জন। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৩।

ইউজিসির ৪৭ তম বার্ষিক প্রতিবেদন- ২০২০ অনুযায়ী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৯২৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য নিয়োজিত শিক্ষকের সংখ্যা ৭৫৭ জন। সে হিসেবে জাবির শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২২ এর একটু বেশী। যা বৈশ্বিক ন্যূনতম মানদন্ডের থেকে বেশী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউট। এ ইন্সটিটিউটে ১২৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৩ জন। সে হিসেবে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৪২। অর্থাৎ গড়ে ৪২ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য শিক্ষক রয়েছেন ১ জন করে, যা বৈশ্বিক মানদন্ডের দ্বিগুণেরও বেশী।

অপরদিকে জাবির বিভাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভূক্ত নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ। এ বিভাগের ২৬২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ২৩ জন। শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১১, যা বৈশ্বিক মানদন্ডের প্রায় অর্ধেক।

জাবিতে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী রয়েছেন ৭ হাজার ১৮৮ জন এবং ছাত্র রয়েছেন ৯ হাজার ৭৪১ জন। যার মধ্যে  ১০ হাজার ৮১৭ জন স্নাতকে, ২ হাজার ১০৪ জন স্নাতকোত্তরে, ২ হাজার ১৫০ জন এম.ফিল ও পিএইচডি তে অধ্যায়নরত রয়েছেন।

এদিকে জাবির ৭৫৭ জন শিক্ষকের মধ্যে পিএইডি ডিগ্রীধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৩৫৪ জন, অধ্যাপক ২৮০ জন, সহযোগী অধ্যাপক ১৯৪ জন, সহকারী অধ্যাপক ১৯৪ জন এবং প্রভাষক ৬৪ জন রয়েছেন।