বিশেষ প্রতিনিধি: গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের সঙ্গী হলো ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার জঙ্গলবাড়ী বাতিঘর। মঙ্গলবার (৩০ জুন, ২০২০ইং) গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আবদুস ছাত্তার খান জঙ্গলবাড়ী বাতিঘরের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের তালিকাভুক্ত পাঠাগারের সংখ্যা হলো ৬০ টি।
উল্লেখ্য, দেশের প্রতিটি গ্রামে পাঠাগার প্রতিষ্ঠায় এক যুগ ধরে কাজ করছে গ্রাম পাঠাগার আন্দোলন। পাঠাগারগুলো গড়ে উঠে স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে। এলাকার প্রয়োজন, চাহিদা, ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে স্থানীয়রাই সিদ্ধান্ত নেন কী হবে তাদের কর্ম পরিকল্পনা। কেমন হবে তাদের কার্যপদ্ধতি। নৈতিকভাবে সমমনা পাঠাগারসমূহ নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্যই কাজ করে গ্রাম পাঠাগার আন্দোলন।
ইতোমধ্যেই ঢাকা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চাঁদপুর, নাটোর, নওগাঁ, শরীয়তপুর, মেহেরপুর, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, পিরোজপুর, গাইবান্ধা, রংপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী, জামালপুর, বগুড়া, খাগড়াছড়ি, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ -সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় অর্ধশতাধিক পাঠাগার গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সেই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার জঙ্গলবাড়ী গ্রামে শিখরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও গ্রামের যুবসমাজের সহযোগিতায় ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত জঙ্গলবাড়ী বাতিঘর -এর সভাপতি মেহেদী কাউসার ফরাজীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের অন্তর্ভুক্ত করা হলো।