আল রাহাত, বিশেষ প্রতিনিধি, বশেমুরকৃবি: করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে বিদ্যমান লকডাউন পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে স্ব স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসছেন দেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে সাড়া দিয়ে সারাদেশের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মাঠপর্যায়ে কাজে নেমেছে। তাঁরই ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফজলে রাব্বী বাঁধন ও সাধারণ সম্পাদক মীর ওবায়দুর রহমান শাওন। তাঁরা হাতে নিয়েছে তিনটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। উদ্যোগ তিনটি যথাক্রমে,
(১) বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাঁদের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে স্ব স্ব বাড়িতেই শাকসবজী ও ফলমূল উৎপাদনের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ ও নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এর প্রায় প্রতিটি কর্মী নিজ নিজ বাড়িতে মৌসুমি শাকসবজী ও ফলমূল এর চাষ শুরু করেছে। উৎপাদিত সবজি এলাকার দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ এবং প্রায় ৫০০০ দরিদ্র কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণের উদ্দেশ্যে ‘কৃষিকাজে বশেমুরকৃবি ছাত্রলীগ’ ব্যানারে এই কার্যক্রম চলছে।
(২) দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে ভেটেরিনারি ডাক্তারদের দিয়ে প্রাণি স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে ‘ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম’ গঠন করা হয়েছে। হটলাইন নাম্বারে সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ফোন দিয়ে গবাদি প্রাণি ও পোল্ট্রি সংক্রান্ত যেকোনো সহযোগিতা নিতে পারবে দেশের যেকোনো প্রান্তের খামারি এবং পশু পাখি পালনকারীগণ।
(৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল ছাত্রছাত্রীদের জন্য বশেমুরকৃবি পরিবারের পক্ষ থেকে বশেমুরকৃবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর ওবায়দুর রহমান শাওন এর মাধ্যমে পৌছে দেওয়া হচ্ছে বশেমুরকৃবি পরিবারের উপহার সামগ্রী। পুরো রমজান মাস জুড়ে সাত দিন অন্তর অন্তর পৌঁছে যাবে বশেমুরকৃবি পরিবারের এই উপহার সামগ্রী।
এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জানান,
“বশেমুরকৃবি ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মী দেশের যেকোনো দূর্যোগে সাধারন মানুষের পাশে থেকেছে সবসময়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রথম থেকেই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আসছি মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং সর্বোচ্চ পরিমান সহযোগিতা করতে। এরই ধারাবাহিকতায় এই তিনটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি আমাদের এ উদ্যোগ সবার মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলতে সক্ষম হবে।”