০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘শুভ্র গেছে বনে’,সে কি আদৌ ফিরবে?

হোমায়রা তাসনিম: হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দনীয় চরিত্র হলো “শুভ্র”। লেখকের রচিত ‘শুভ্র গেছে বনে’উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রটির নাম শুভ্র। বলতে গেলে শুভ্র একজন বিশুদ্ধ আঁতেল। পৃথিবীর শুদ্ধতম মানুষ। বাস্তবতা তাকে কখনো কলুষিত করতে পারেনি, চশমা পড়ে, একটু বোকাসোকা।

এই উপন্যাসে পাঠকের নজরে পড়বে যে বিষয়টি, তা হচ্ছে এই একবিংশ শতকে একটি শহরেই বাস করা গল্পের প্রধান চরিত্রগুলোর যোগাযোগের মাধ্যম হলো চিঠি। অনেকগুলো চিঠির দেখা মিলবে এই উপন্যাসে। এদের কারো সেলফোন নেই। হয়তো চিঠিতে লেখকের যে মুন্সীয়ানা ফুটে উঠে, তা কথোপকথনে সম্ভব না। চিঠিগুলো বেশভালোভাবেই উপন্যাসকে প্রভাবিত করেছে।

শুভ্র সিরিজের অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এই বইয়ে চরিত্রের সংখ্যা বেশি হওয়াই শুভ্রের উপস্থিতি নগন্য। শুভ্র ভক্তদের কাছে এটা খারাপ লাগতে পারে। তবে লেখকের সাফল্য হলো এতকিছুর পরেও তিনি মানুষের ভালো দিকটাকে তুলে ধরেছেন। তাই দরিদ্র বণিকা মর্জিনা মুহুর্তেই শুভ্রকে ভাই পাতিয়ে ফেলতে পারে। চরের মানুষ শুভ্রর জন্য জীবন বাজি রাখতে পারে। যে কাজগুলো ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও সাধারণ মানুষ করতে পারেনা, এই চরিত্রগুলো তা অবলীলায় করে ফেলে। আর তাই সব ছাপিয়ে হুমায়ুন আহমেদের গল্পগুলো মানুষের কাছে ইচ্ছাপুরণের গল্প হয়ে উঠে।

বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্যাদি: 

বই: শুভ্র গেছে বনে
লেখক: হুমায়ুন আহমেদ
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১৪৪
প্রথম প্রকাশ: একুশে বইমেলা-২০১০
প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ

লেখক: হোমায়রা তাসনিম, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ২য় বর্ষ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।

আরও পড়ুন,

“নির্বাসন” আমাদের অনিশ্চিত জীবনেরই গল্প

https://www.nabajug.com/feature/news/3742

ট্যাগ:

‘শুভ্র গেছে বনে’,সে কি আদৌ ফিরবে?

প্রকাশ: ০৭:১৯:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০

হোমায়রা তাসনিম: হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দনীয় চরিত্র হলো “শুভ্র”। লেখকের রচিত ‘শুভ্র গেছে বনে’উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রটির নাম শুভ্র। বলতে গেলে শুভ্র একজন বিশুদ্ধ আঁতেল। পৃথিবীর শুদ্ধতম মানুষ। বাস্তবতা তাকে কখনো কলুষিত করতে পারেনি, চশমা পড়ে, একটু বোকাসোকা।

এই উপন্যাসে পাঠকের নজরে পড়বে যে বিষয়টি, তা হচ্ছে এই একবিংশ শতকে একটি শহরেই বাস করা গল্পের প্রধান চরিত্রগুলোর যোগাযোগের মাধ্যম হলো চিঠি। অনেকগুলো চিঠির দেখা মিলবে এই উপন্যাসে। এদের কারো সেলফোন নেই। হয়তো চিঠিতে লেখকের যে মুন্সীয়ানা ফুটে উঠে, তা কথোপকথনে সম্ভব না। চিঠিগুলো বেশভালোভাবেই উপন্যাসকে প্রভাবিত করেছে।

শুভ্র সিরিজের অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এই বইয়ে চরিত্রের সংখ্যা বেশি হওয়াই শুভ্রের উপস্থিতি নগন্য। শুভ্র ভক্তদের কাছে এটা খারাপ লাগতে পারে। তবে লেখকের সাফল্য হলো এতকিছুর পরেও তিনি মানুষের ভালো দিকটাকে তুলে ধরেছেন। তাই দরিদ্র বণিকা মর্জিনা মুহুর্তেই শুভ্রকে ভাই পাতিয়ে ফেলতে পারে। চরের মানুষ শুভ্রর জন্য জীবন বাজি রাখতে পারে। যে কাজগুলো ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও সাধারণ মানুষ করতে পারেনা, এই চরিত্রগুলো তা অবলীলায় করে ফেলে। আর তাই সব ছাপিয়ে হুমায়ুন আহমেদের গল্পগুলো মানুষের কাছে ইচ্ছাপুরণের গল্প হয়ে উঠে।

বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্যাদি: 

বই: শুভ্র গেছে বনে
লেখক: হুমায়ুন আহমেদ
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১৪৪
প্রথম প্রকাশ: একুশে বইমেলা-২০১০
প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ

লেখক: হোমায়রা তাসনিম, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ২য় বর্ষ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।

আরও পড়ুন,

“নির্বাসন” আমাদের অনিশ্চিত জীবনেরই গল্প

https://www.nabajug.com/feature/news/3742