একদিন সাজানো পূর্ণিমায় এই ক্যাম্পাসে,
সমাজের হিয়া রুক্ষ চুলে জড়িয়ে,
সুমাইয়া এসেছিল,
আমরা ক’জন বসেছিলাম তখন সবুজ ঘাসে।
মেয়েটি কি জানে কী রং নিয়ে এই কোমল ঘাস সেজেছে?
জানবে কী করে! সে যে কালির সংকট দূর করতে নেমেছে!
..
সহস্র মানুষ চারিদিকে, অথচ সে এসেছে একা,
কেউ ছিল না তার পাশে!
কে থাকবে? ক্যাকটাসের ফুল ফুটেনি যে আজও।
যদি ফুটে যায় ফুল,
কাগজের নৌকায় তুলে কান রক্তাক্ত করতে হবেনা ভুল, ছিঁড়ে কানের দুল।
…
কত হবে বয়স? নয় কিংবা দশ,
হাসির রাজ্যের রাণী হয়ে,
কোমল হাতটি এগিয়ে দিয়েছে,
কিছু পেতে যা ছাড়া চলে না একটি দিবস!
দিয়েছি। কিন্তু হাত তুলে করেছে কোলে নেওয়ার আহবান,
সে বুঝেনি আমি মানুষ,
তাই দৃঢ়ভাবে করেছি প্রত্যাখ্যান।
ওর হাসির সাথে স্বপ্ন ঝরে,
বিজ্ঞাপন হয়ে আরো কিছু কাগজ জমে, কাগজের পাহাড়ে।
সুমাইয়া শুধু রয়ে যায় জলের আধারে,
মানুষের কালি মেখে মুখে, চঞ্চল মেয়েটি আছে বেশ সুখে।
….
কিন্তু একদিন সে হারাবে দুরন্তপনা,
ভুলে যাবে আঁকতে এক বিন্দু সুখের আলপনা।
কারণ এই আমরা, এই সমাজ তাকে মারছি,
তাকে থালায় আবদ্ধ রাখছি।
…..
খুলবো বলে নেকির খাতা,
আমরা হতে পারিনা একটি কলমের দাতা!
সেদিন সে খুলবে বিপণন,
কাগজের নৌকায় বিষাক্ত ধোঁয়ার ভিড়ে,
তার সাথে হবে আলাপন।
সেদিন তাকে প্রভেদ করবেনা কোন গোলাপি কামান,
কারণ এগুলোর ঊর্ধ্বে হবে তার অবস্থান।
~কাজী ই সাকিব, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।