একদিন শর্বরীর চোখের কাজল-
গলে পড়বে না কোমল গালে,
নামবে না রিক্ততা নিয়ে শীতের বাদল।
শান্ত, সুন্দর সমুদ্রে ক্ষুদ্র ঢেউয়ের বুকে,
বিষাদের মিছিল ছড়িয়ে,
তপন আর উঠবে না সেদিন,
বেদনা জমা হবেনা নদীর বাঁকে বাঁকে।
কপালের কালো টিপ খসে পড়বেনা,
সর্পের ছোবলে, উত্তাল তরঙ্গ জমাবেনা কালো ফেনা।
সেদিন যন্ত্রের ঠোঁটে প্রিয়জন শুনবেনা আর্তনাদ,
সেদিন বেলাভূমিতে ঢেউয়ের হবেনা অবসান,
শর্বরীর তারাগুলো সেদিন করবে সুখের আবাদ।
সেদিন জ্যোৎস্না হবে শর্বরীর নাম,
যা কিছু হিংস্র সেদিন তার দৃঢ় পায়ে করবে প্রণাম।
সেদিন সে রোকেয়া, প্রীতিলতার সেনা,
পশুদের শূন্য মাথায় তারা করবে হানা।
সেদিন সে বদ্ধ ঘরে কিংবা লোকালয়ে,
হায়েনার হিংস্র চোখে গেঁথে দিবে বিজয় কেতন,
সে উপমা হবে; পথ চলবে নির্ভয়ে।
সেদিন সে জ্বলবে না, জ্বালাবে!
পশুদের শুষ্ক হৃদয় ভস্ম করে, ধরণীকে কাঁপাবে!
সেদিন সে হবেনা তিন ইঞ্চির চারণভূমি,
দু’পায়ের পশু অধিকার নিয়ে বলবেনা, আমি সেই ভূমির ভূস্বামী…।
কাজী ই সাকিব/দর্শন বিভাগ/ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।