আব্দুল মান্নান, জাবি প্রতিনিধি: গত বছরের ১১ এপ্রিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জার্নালিজম এবং মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের শিকার হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বিশেষ সভার কার্যবিবরণীতে ঘটনাটি তুলে ধরা হয়। র্যাগিংয়ের ঘটনা তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার জন্য ডিসিপ্লিন বোর্ডের সুপারিশ এবং সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জার্নালিজম এবং মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের র্যাগিংয়ের ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বছর র্যাগ বিরোধী যে সকল জনসচেতনতামূলক প্রচারণা প্রচার করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রণীত শৃঙ্খলা বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। এজন্য জার্নালিজম এবং মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের (৪৭তম ব্যাচ) ১১ জন শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন- হারুন-অর-রশিদ, এনামুল হক তামীম, রাইসুল ইসলাম রাজু, তাওসীফ আব্দুল্লাহ, সালগ্না রেমা, জাকির হোসেন জীবন, মুহাম্মাদ মাহাবুবুল আলম, মাহবুবুর আলম, সারাহ বিনতে সালাহ, সায়মা লিমা ও ফারিহা বিনতে হক।
৪৮তম ব্যাচের (২০১৮-১৯ সেশন) নবীন শিক্ষার্থীবৃন্দ সবাই র্যাগিংয়ের স্বীকার হওয়া সত্ত্বেও একযোগে যুক্তি করে এসে ৪৭তম ব্যাচের ইমিডিয়েট সিনিয়রদের সেভ করার জন্য অতিরঞ্জিত, অসত্য ও ভূল তথ্য পরিবেশন করে। এজন্য মিথ্যা বলা/ প্রকৃত ঘটনাকে কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের প্রণীত শৃঙ্খলা বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। এজন্য ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাইম হাসান ও আল ইমরাম হোসেন তালুকদার সহ আরো কয়েকজন কে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন ঘটনায় মিথ্যার আশ্রয় নিবে না এই মর্মে সতর্কীকরণ নোটিশ প্রদান করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনাপূর্বক ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার রহিমা কানিজ।