এনামুল হক ছোটন:
গত রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বাড়েরা মৌজায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ৩য় পর্যায়ে নির্মাণাধীন ‘শতবর্ষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ এবং বাড়েরা মৌজায় ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প-৭১’ নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক প্রশাসন এ কে এম মনিরুজ্জামান। তিনি আরও বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের মুখে হাসি এনে দিয়েছে। প্রকল্পটি গৃহহীন মানুষের জন্য শুধু বাসস্থানই নয়, খাবার পানি ও স্যানিটেশন সুবিধাও দিয়েছে। যা আমাদের দেশের এসডিজির লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করছে। এসব মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পাওয়া যে কোন সরকারি কর্মকর্তার জীবনে শ্রেষ্ঠ কাজ। তিনি বলেন-মুজিবর্ষে গৃহহীন ভবঘুরে অসহায় ৭ লক্ষাধিক মানুষকে ঘরের আওতায় এনেছেন প্রধানমন্ত্রী।
চলতি বছরে আরো ১ লক্ষ মানুষকে জমিসহ ঘরের আওতায় আনা হবে। এসব রঙিন ঘরে এসকল মানুষের জীবনই পরিবর্তন হচ্ছেনা, তাদের ভবিষ্যত বংশধরদেরও পরিবর্তন হচ্ছে। এর আগে তিনি মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমর কান্তি বসাক,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা সহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
পরিদর্শনকালে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সিরতা,পরাণগঞ্জ,বাড়েরা,গন্ডপা, আকুয়া এই ৫টি এলাকায় ৩৩টি ঘর ভুক্তভোগীদের হাতে দেওয়া হয়েছে। ঐ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শতবর্ষ’ প্রকল্প।
প্রকল্পের আগে ঘিঞ্জি ঘনবসতি আর দুগন্ধময় পরিবেশের কারণে অনেকে যেটাকে বস্তি বলে অভিহিত করতো। এখন ঘর নির্মানের ফলে সেটাই হয়েছে উপজেলার সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান। সেখানে ৩৩টি পরিবারের জন্যে নির্মিত এই ঘরের পাশাপাশি রয়েছে বিনোদন কেন্দ্র, পুকুর, বৃক্ষরাজি শোভিত সৃজিত বনায়ন, পাকা সড়ক, মসজিদ সহ নানা সুযোগ- সুবিধা। চলতি বছরে উপজেলার সিরতা,পরাণগঞ্জ,বাড়েরা,গন্ডপা, আকুয়া এই ৫টি মৌজায় খাস জমি উদ্ধার করে ৩৩টি ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিটি ঘরের মূল্য ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। প্রায় কাজ শেষ হওয়া এই আশ্রয়ণ-৭১ প্রকল্পটি আগামী মার্চ মাসে ভুক্তভোগীদের হাতে হস্তান্তর করা হবে।