Dhaka 1:09 pm, Thursday, 30 November 2023

  • Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/page/header_design_two.php on line 68

ভিসিরা দুর্নীতিতে জড়ালে অবস্থা কী হবে: রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • Update Time : 03:19:50 pm, Saturday, 11 January 2020
  • 57 Time View

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের (ভিসি) সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন এবং অনিয়ম ও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শনিবার (১১ জানুয়ারনি) রাজধানীর ধূপখোলা মাঠে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম সমাবর্তনে দেওয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘উপাচার্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপনাদের সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। আপনারা (ভিসিরা) নিজেরাই যদি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা কী হবে, তা ভেবে দেখবেন?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ সব ধরনের লোভ-লালসা বা অন্য কোনো মোহের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে পেশার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘চাইলেই অন্য যেকোনো লোভনীয় চাকরি বা পদ-পদবি জোগাড় করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে আপনারা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাই কোনো ধরনের লোভ-লালসা বা অন্য কোনো মোহের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে পেশার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখবেন। তাহলেই শিক্ষার্থীরা আপনাদের আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করবে।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘একশ্রেণির শিক্ষক রয়েছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। অনেক সময় সপ্তাহব্যাপী-সন্ধ্যাকালীন কোর্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে অতি ব্যস্ত সময় কাটান। এসব কাজকর্মে তাঁরা খুবই আন্তরিক।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, অন্যদিকে এসব শিক্ষকের যত অনীহা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ধারিত ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে।

আচার্য আবদুল হামিদ বলেন, ‘এসব শিক্ষক সিলেবাস শেষ করার ব্যাপারেও খুবই সিরিয়াস। তাই তাঁরা একসঙ্গে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা একটানা ক্লাস নেন। অনেক সময় ছুটির দিনে ছাত্রছাত্রীদের ডেকে একসঙ্গে কয়েক ঘণ্টা ক্লাস নেন। শিক্ষার্থীরা কতটুকু বুঝল বা কতটুকু গ্রহণ করতে পারল, সে ব্যাপারে তাঁদের কোনো দায়দায়িত্ব বা মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।’

প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা কঠোরভাবে মনিটরিং করতে ভিসিদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট খরচের সিংহভাগই সরকারি কোষাগার থেকে আসে, আর কোষাগারে টাকা আসে আপামর জনগণের পকেট থেকে।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘যে যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে ভিসিরা হলেন মূল চালিকা শক্তি উল্লেখ করে হামিদ বলেন, ‘প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য রয়েছে একটি নিজস্ব আইন। তাই আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এবং আইন মেনে দায়িত্ব পালন করবেন।’

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ইমেরিটাস অরুণ কুমার বসাক। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মীজানুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

Tag :

Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_two.php on line 177

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Choton Mia

Popular Post

Notice: Undefined index: footer_custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/footer.php on line 87

ভিসিরা দুর্নীতিতে জড়ালে অবস্থা কী হবে: রাষ্ট্রপতি

Update Time : 03:19:50 pm, Saturday, 11 January 2020

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের (ভিসি) সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন এবং অনিয়ম ও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শনিবার (১১ জানুয়ারনি) রাজধানীর ধূপখোলা মাঠে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম সমাবর্তনে দেওয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘উপাচার্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপনাদের সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। আপনারা (ভিসিরা) নিজেরাই যদি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা কী হবে, তা ভেবে দেখবেন?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ সব ধরনের লোভ-লালসা বা অন্য কোনো মোহের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে পেশার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘চাইলেই অন্য যেকোনো লোভনীয় চাকরি বা পদ-পদবি জোগাড় করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে আপনারা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাই কোনো ধরনের লোভ-লালসা বা অন্য কোনো মোহের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে পেশার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখবেন। তাহলেই শিক্ষার্থীরা আপনাদের আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করবে।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘একশ্রেণির শিক্ষক রয়েছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। অনেক সময় সপ্তাহব্যাপী-সন্ধ্যাকালীন কোর্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে অতি ব্যস্ত সময় কাটান। এসব কাজকর্মে তাঁরা খুবই আন্তরিক।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, অন্যদিকে এসব শিক্ষকের যত অনীহা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ধারিত ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে।

আচার্য আবদুল হামিদ বলেন, ‘এসব শিক্ষক সিলেবাস শেষ করার ব্যাপারেও খুবই সিরিয়াস। তাই তাঁরা একসঙ্গে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা একটানা ক্লাস নেন। অনেক সময় ছুটির দিনে ছাত্রছাত্রীদের ডেকে একসঙ্গে কয়েক ঘণ্টা ক্লাস নেন। শিক্ষার্থীরা কতটুকু বুঝল বা কতটুকু গ্রহণ করতে পারল, সে ব্যাপারে তাঁদের কোনো দায়দায়িত্ব বা মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।’

প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা কঠোরভাবে মনিটরিং করতে ভিসিদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট খরচের সিংহভাগই সরকারি কোষাগার থেকে আসে, আর কোষাগারে টাকা আসে আপামর জনগণের পকেট থেকে।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘যে যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে ভিসিরা হলেন মূল চালিকা শক্তি উল্লেখ করে হামিদ বলেন, ‘প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য রয়েছে একটি নিজস্ব আইন। তাই আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এবং আইন মেনে দায়িত্ব পালন করবেন।’

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ইমেরিটাস অরুণ কুমার বসাক। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মীজানুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।