‘লাইফ সাপোর্টে’ আছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিউরোসার্জন ডা. রিয়াজুল হক গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘তিনি এখনো অচেতন। ডিপ কোমায় আছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল নয়। তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন। ’
তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন জীবিত আছে কিনা তা দেখার জন্যে কয়েকবার “ব্রেন স্টেম ফাংশন” পরীক্ষা করা হবে। এর পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়া হবে কিনা। ’
এ দিকে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে জানান, আমার বাবা এখনো গভীর কোমায় আছেন। তার শারীরিক অবস্থা অপররিবর্তীত আছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সোমবার থেকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোহাম্মদ নাসিম।
বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরের কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় স্ট্রোক করায় অবস্থার অবনতি ঘটে।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে তার মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় এবং অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রাজিউল হককে ফোন করে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেন বলে বাসস জানায়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তিনি পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তাকে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি এক সঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলেও সেবার মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি তারর। তবে ২০১৪ সালে পরের মেয়াদে তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্বও পালন করে আসছেন নাসিম।