কামরুজ্জামান মিনহাজ : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহ তথা স্বাধীন বাংলার মানচিত্রের ভূখন্ডে জন্ম নেওয়া ঐতিহ্যবাহী উপজেলা ত্রিশাল উপজেলা । এই ত্রিশাল জনপদের আওয়ামীলীগর সোনালী অর্জন পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবি এম আনিছুজ্জামান আনিছ। ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি এবি এম আনিছুজ্জামান আনিছ । ত্রিশালে আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ এবি এম আনিছুজ্জামান আনিছ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তৃণমূল আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সুনাম অর্জন করেছেন । তিনি শুধু থেমে থাকেননি পৌরসভার মেয়র হিসাবেই । ত্রিশাল আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতা- কর্মীদের নিয়ে ভেবেছেন গোটা ত্রিশাল উপজেলাকে নিয়ে । ত্রিশালে আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি তুলেছেন এই নেতা । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী , জেলহত্যা দিবস সহ প্রতিটি জাতীয় আওয়ামীলীগের প্রতিটি প্রোগ্রামকে জেলার সবচাইতে বড় প্রোগ্রাম এবং জনসাগম ঘটিয়ে বারবার প্রমাণিত করেছেন ত্রিশাল আওয়ামীলীগে তিনিই সর্বশক্তিশালী ভিত । সাংগঠনকে শক্তিশালী করে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যয়নের ইতিহাস রচনা করেছেন ।
মমতাময়ী নেত্রীর আস্থা অর্জন করে নেত্রীর মনে জায়গা করে নিয়েছেন এবি এম আনিছুজ্জামান আনিছ এমন বিশ্বাস ত্রিশাল আওয়ামীলীগের নেতা- কর্মীদের মুখে মুখে । পৌরসভার মেয়র হিসাবেই নন, এবি এম আনিছুজ্জামান আনিছ জনসেবাতেও সর্বোচ্চ জায়গা রয়েছেন ত্রিশালে । কারো দুরারোগ্য ব্যাধি কিংবা কোনো অসহায় ব্যক্তির সন্তান স্কুলে ভর্তি হতে পারছেন না । এমন ‘দুঃখী খবর’ শুনতে দেরি, ছুটতে দেরি নেই যাঁর তিনি হলেন এবি এম আনিছুজ্জামান আনিছ । সব সময় অসহায় মানুষের সহায় আছেন বলেই ত্রিশালের সকল পর্যায়ের মানুষের কাছ থেকে উপাধি পেয়েছেন ‘গরিবের বন্ধু’। নিজের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি খুব একটা নজর নেই তাঁর। সকাল-সন্ধ্যা কেবলই ছুটে বেড়ান মানুষের কল্যাণে। খুঁজে ফিরেন অসহায় মানুষকে। গরীবদের চিকিৎসা, পানীয় জলের ব্যবস্থা, টয়লেট স্থাপন করে দিয়েছেন অনেককেই । এবিএম আনিছুজ্জামান অসহায় মানুষের পাশে সব সময় দাঁড়ান। তাঁর আয়ের বেশির ভাগ টাকা তিনি মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেন । পাশাপাশি রাজনৈতিক তথা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রত্যেকটি প্রোগ্রামে যুক্ত আছেন তিনি । এবি এম আনিছুজ্জামান আনিছ ত্রিশালের সর্বস্তরের উন্নয়নমুলক কাজ করে যাচ্ছেন । সাধারণ মানুষের মধ্যে তার আকাশচুম্বি যে জনপ্রিয়তা রয়েছে বলেই তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেখতে চায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে। দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব। দল ও জনগণের অধিকার রক্ষায় তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ। জনবান্ধব এবং পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক। প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসার গা ভাসাননি তিনি। তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকে এখনও সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি দলীয় কর্মসূচী সফলভাবে পালনে একধাপ এগিয়ে। বিগত সালে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধ ঠেকাতে মাঠে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। শুধু এখানেই তিনি ক্ষান্ত নন, গরীব-দুঃখী ও অসহায়দের পাশে আছেন। এছাড়াও মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণে টাকা পয়সা দান করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি জনসেবার মাধ্যমে জয় করেছেন সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা। এজন্যই ত্রিশালবাসীও তাকে আগামীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দেখতে চান। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা- কর্মীরা বলেন, এবি এম আনিছুজ্জামান আনিছকে আমরা বিপদে-আপদে সবসময় কাছে পাই। মেয়রের পাশাপাশি আগামীতে তিনি ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলে এলাকার আরও অনেক উন্নয়ন হবে। তিনি নিজের জন্য আসেননি এসেছেন জনসেবা করতে। যার ফলে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জণে সক্ষম হয়েছেন। জনপ্রিয়তা, দলের প্রতি আস্থা, কর্মী বান্ধব নেতা ও সমাজ সেবক হিসেবে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই তিনি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সভাপতি হলে ত্রিশাল আওয়ামী লীগ আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন স্থানীয় আ.লীগ ও অঙ্গসংঠনের নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের কর্মীরা।