Dhaka 1:08 pm, Thursday, 30 November 2023

  • Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/page/header_design_two.php on line 68

জামিন হলো না খালেদা জিয়ার, সঠিক চিকিৎসার নির্দেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:07:16 am, Thursday, 12 December 2019
  • 51 Time View

নিউজ ডেস্ক:

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া একাটার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বৃহত্তর আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের ওপর এবং তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন।

এদিন সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। বেলা ১১টা ৫ মিনিটে শুনানি মুলতবি করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর ফের শুনানি শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসনের জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের চারপাশে ও সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে নিরাপত্তা ব‌্যবস্থা জোরদার করা হয়।

গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার মেডিকেল প্রতিবেদন না আসায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার জামিন আবেদনের শুনানি ১২ ডিসেম্বর পুননির্ধারণ করা হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রতিবেদনটি জমাদানের জন্য সময় আবেদন করলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ ওই দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পিছিয়ে ৫ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই বেঞ্চ ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন জমাদানের নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে খারিজ হওয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আবেদনটি দায়ের করেন।

গত ৩১ জুলাই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দী আছেন বিএনপি প্রধান। অরফানেজের মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি। পরে হাইকোর্ট সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করে। এ রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর আদালতের আদেশে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। ৮ নভেম্বর তাকে চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অনুমোদনের পরে খালেদাকে বিএসএমএমইউ থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয় এবং নাইকো দুর্নীতি মামলায় পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি অস্থায়ী আদালতে হাজির করা হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Tag :

Notice: Trying to access array offset on value of type int in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_two.php on line 177

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Choton Mia

Popular Post

Notice: Undefined index: footer_custom_code in /home/nabajugc/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/footer.php on line 87

জামিন হলো না খালেদা জিয়ার, সঠিক চিকিৎসার নির্দেশ

Update Time : 10:07:16 am, Thursday, 12 December 2019

নিউজ ডেস্ক:

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া একাটার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বৃহত্তর আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের ওপর এবং তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন।

এদিন সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। বেলা ১১টা ৫ মিনিটে শুনানি মুলতবি করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর ফের শুনানি শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসনের জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের চারপাশে ও সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে নিরাপত্তা ব‌্যবস্থা জোরদার করা হয়।

গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার মেডিকেল প্রতিবেদন না আসায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার জামিন আবেদনের শুনানি ১২ ডিসেম্বর পুননির্ধারণ করা হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রতিবেদনটি জমাদানের জন্য সময় আবেদন করলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ ওই দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পিছিয়ে ৫ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই বেঞ্চ ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন জমাদানের নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে খারিজ হওয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আবেদনটি দায়ের করেন।

গত ৩১ জুলাই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দী আছেন বিএনপি প্রধান। অরফানেজের মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি। পরে হাইকোর্ট সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করে। এ রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর আদালতের আদেশে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। ৮ নভেম্বর তাকে চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অনুমোদনের পরে খালেদাকে বিএসএমএমইউ থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয় এবং নাইকো দুর্নীতি মামলায় পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি অস্থায়ী আদালতে হাজির করা হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।